This Article is From Jan 31, 2020

Bank Strike: আজ ও কাল ধর্মঘট, রবিবার ছুটি, টানা ৩দিন ব্যাংক বন্ধে ভোগান্তি!

United Forum of Bank Unions: ৩১ থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধে এটিএম পরিষেবাও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা, ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার শুরু হবে স্বাভাবিক কাজ

Bank Strike: আজ ও কাল ধর্মঘট, রবিবার ছুটি, টানা ৩দিন ব্যাংক বন্ধে ভোগান্তি!

Bank strike 2020: বেতন বৃদ্ধি-সহ আরও কয়েক দফা দাবিতে এই ব্যাংক ধর্মঘট

হাইলাইটস

  • ৩১ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক ধর্মঘটের ডাক
  • ব্যাংক ধর্মঘটের ডাক দেয় কর্মচারী সংগঠনগুলি
  • ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার হওয়ায় টানা তিনদিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক
নয়া দিল্লি:

শনিবার সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, তার আগে টানা ৩ দিন ব্যাংক বন্ধে বেহাল হতে পারে দেশের অর্থনৈতিক আদানপ্রদানের কাজ। ৯টি কর্মী সংগঠনের জোট ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাংক ইউনিয়নের (United Forum of Bank Unions) প্রতিনিধিরা এই দাবি নিয়ে ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের (Bank Strike 2020) ডাক দেয়। সেই মতোই আজ (শুক্রবার) থেকেই ব্যাংকের কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে। আর এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যাংক গ্রাহকরা। দু'দিনের ধর্মঘটের (Bank Strike) পরের দিনটিই রবিবার অর্থাৎ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় টানা ৩ দিন যেহেতু বন্ধ থাকবে ব্যাংকিং পরিষেবা, তাই দেশের এটিএম গুলোতেও টাকার অভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন মানুষজন।

তবে আইসিআইসিআই ব্যাংক এবং এইচডিএফসি ব্যাংকের মতো বেসরকারি ব্যাংকগুলির পরিষেবা চালু থাকবে। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া সহ অনেক ব্যাংকই গ্রাহকদের জানিয়েছে যে এই ধর্মঘটের কারণে কিছুটা হলেও ব্যাহত হবে ব্যাংকের স্বাভাবিক কাজকর্ম। টাকা জমা, টাকা তোলা, চেক ক্লিয়ারেন্স সহ নানা কাজও বন্ধ থাকার আশঙ্কা।

বাপুর স্বপ্ন পূরণ করতেই সিএএ পাস করানো হয়েছে, বললেন রাষ্ট্রপতি Ram Nath Kovind

কমপক্ষে ১৫% মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে ব্যাংক ইউনিয়নগুলি। ১২.২৫% পর্যন্ত মজুরি বৃদ্ধিতে রাজি হয়েছে ইন্ডিয়ান ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন। তবে তা মানতে নারাজ কর্মী-অফিসারদের সংগঠনগুলি। দাবি না মানা হলে আগামী ১ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘটের হুমকিও দিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার রাতেও ইন্ডিয়ান ব্যাংকারস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক হয় ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাংক ইউনিয়নের । কিন্তু তাতে কোনও রফাসূত্র না মেলায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন ব্যাংককর্মীরা। এমন একটা সময়ে এই ধর্মঘট পালন হচ্ছে যখন আর্থিক সমীক্ষা ও বাজেট পেশ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

"বাজেট অধিবেশনে অর্থনীতি নিয়ে বিশদ আলোচনার আশা রাখছি": প্রধানমন্ত্রী Narendra Modi

তবে এখানেই শেষ নয়, দাবি না মিটলে ১১ মার্চ ফের ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যাংক কর্মীরা। জানানো হয়েছে তখন শনি ও রবিবার মিলিয়ে মোট পাঁচদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। তারপরেও দাবি না মানলে ফের ১ এপ্রিল থেকে লাগাতার ব্যাংক ধর্মঘটে যাবে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস। 

দু'দিনের এই ধর্মঘট আটকাতে শ্রম দপ্তর ও অর্থমন্ত্রক বহু চেষ্টা করেছিল। তাদের তরফে ব্যাংক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকও হয়, কিন্তু তাতে কোনও ফল মেলেনি। মূল বেতন ২০ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ফোরাম। যদিও, কর্তৃপক্ষ সাড়ে ১২ শতাংশের বেশি বেতন বাড়াতে রাজি নয়। এর বাইরেও সপ্তাহে ৫দিন কাজ, মূল বেতনের সঙ্গে বিশেষ ভাতা জুড়ে দেওয়া এবং নয়া পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিও রয়েছে। সব মিলিয়ে দুই তরফই নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় সমস্যা তো মেটেইনি বরং আরও জটিল হয়ে উঠেছে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে।

.