This Article is From May 31, 2019

বাবুল সুপ্রিয়: প্লে-ব্যাক গায়ক থেকে দাপুটে রাজনীতিক

ভাগ্যের ছলনায় প্লে-ব্যাক গায়ক থেকে বাবুল সুপ্রিয় চলে আসেন রাজনীতির ময়দানে। ক্রমে তিনিই হয়ে ওঠেন রাজনীতিবিদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

বাবুল সুপ্রিয়: প্লে-ব্যাক গায়ক থেকে দাপুটে রাজনীতিক

এবারের নির্বাচনে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন তিনি

কলকাতা:

ভাগ্যের ছলনায় প্লে-ব্যাক গায়ক থেকে বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) চলে আসেন রাজনীতির ময়দানে। ক্রমে তিনিই হয়ে ওঠেন রাজনীতিবিদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এবারের নির্বাচনে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। গতকাল শপথ নিলেন মন্ত্রী হিসেবে। ১৯৭০ সালে সুনীলচন্দ্র বড়াল ও সুমিত্রা বড়ালে‌র পুত্র বাবুলের জন্ম। পারিবারিক সূত্রেই সঙ্গীতের সঙ্গে সম্পর্ক। ঠাকুরদা বাণীকণ্ঠ বড়াল, প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী ও সুরকার। তাঁর প্রভাব বাবুলের জীবনে ব্যাপক ভাবে পড়েছিল। ১৯৯১ সালে বাণিজ্য নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে বাবুল সুপ্রিয় একজন ব্যাঙ্কার হিসেবে যোগ দেন স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাঙ্কে। কিন্তু পরের বছর, ১৯৯২ সালেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। চলে যান মুম্বই। দু'চোখে স্বপ্ন গায়ক হওয়ার। স্টেজ শো করে ও কিছু ছবিতে প্লে-ব্যাক করে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।

২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কহো না প্যার হ্যায়' ছবিতে তাঁর গাওয়া ‘দিল নে দিল কো পুকারা' গানটি প্রচণ্ড জনপ্রিয় হয়। রাজনীতিতে তাঁর চলে আসার পিছনে গুরু রামদেবের অবদান রয়েছে। তিনি একবার তাঁর পাশে বসে বিমানযাত্রার সময় তাঁর ভিতরকার রাজনৈতিক সম্ভাবনার আঁচ পান। অটলবিহারী বাজপেয়ী ও নরেন্দ্র মোদীর গুণমুগ্ধ রামদেব বাবুলকে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেন। বাবুল রাজি হয়ে যান। বাকিটা ইতিহাস।

আসানসোল থেকেবিপুল ব্যবধানে জেতেন বাবুল। তাঁকে নগরোন্নয়ন, নিবাস এবং নগর দারিদ্র দূরীকরণ মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়। পরে তা পরিবর্তন করে তাঁকে ভারী শিল্প ও কেন্দ্রীয় এমওএস করা হয়।

২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘ঝালমুড়ি'খেয়ে বিতর্কে জড়ান বাবুল। এই নিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন বাবুল। ব্যাপারটা নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হয়। বাবুল বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঝালমুড়ি খাওয়াটা কেবলই রাজনৈতিক সৌজন্য ছাড়া আর কিছু নয়।

২০১৯ সালে তিনি আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে পুনর্নিবাচিত হন। অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা মুনমুন সেনকে বিপুল ভোটে হারিয়ে দেন বাবুল। ৪৮ বছরের বাবুল জেতেন ১,৯৭,৬৩৭ ভোটে।

.