This Article is From Jun 24, 2018

বিহার: 8,500 টাকায় বিক্রি হলো 42,000 হারিয়ে যাওয়া দশম শ্রেণীর উত্তর পত্র

বিহার সরকারের কাছে এই মর্মে একটি অভিযোগপত্র এসে পৌঁছায় যে, এই ছাত্রছাত্রীরা মোটা অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

বিহার: 8,500 টাকায় বিক্রি হলো 42,000 হারিয়ে যাওয়া দশম শ্রেণীর উত্তর পত্র

শুক্রবার বিদ্যালয়ের কাছেই উত্তরপত্র রাখার প্রায় দুশোটি ব্যাগ খালি অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

পাটনা: বিহার বোর্ডের এক মূল্যায়ন কেন্দ্র থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল দশম শ্রেণির বিয়াল্লিশ হাজার পাঁচশোটি উত্তরপত্র। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। আর তাতেই উঠে আসে রহস্যজনক তথ্য। জানা গেছে, ধৃত ছাঁটমাল ব্যবসায়ীকে আট হাজার পাঁচশো টাকার বিনিময়ে এই উত্তরপত্রগুলি বিক্রি করা হয়।

পুলিশের বক্তব্য, ছাঁটমাল ব্যবসায়ী এবং তার সহকারী গোপালগঞ্জ বিদ্যালয় থেকে সযত্নে রক্ষিত উত্তরপত্রগুলিকে পিয়নের থেকে কিনেছিল এবং গভীর রাতে টেম্পো করে লোকচক্ষুর আড়ালে হস্তান্তরিত হয়েছিল সেই উত্তরপত্র। বিতর্কিত এই পরীক্ষা কেন্দ্রের পিয়ন এই ঘটনার সাথে যুক্ত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

খাতাগুলি মূল্যায়নের পর এখানে রাখা হয়েছিল। প্রথম সারির কৃতীদের খাতা নতুন করে দেখার জন্য খাতার সন্ধান করতেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। যখন বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় প্রথম সারি অধিকার করা বেশ কিছু পড়ুয়া বিভিন্ন বিষয়ের সাধারণ উত্তর দিতেও সমর্থ্য হয় না, তখনই টনক নড়ে শিক্ষা দপ্তরের। দপ্তর থেকে তাদের উত্তরপত্রগুলি পুনর্মূল্যায়ন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিহার সরকারের কাছে এই মর্মে একটি অভিযোগপত্র এসে পৌঁছায় যে, এই ছাত্রছাত্রীরা মোটা অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

তদন্ত করতে গিয়ে প্রকাশ পায় গোপালগঞ্জ বিদ্যালয়ের উওরপত্রের উধাও হওয়ার ঘটনা। পাটনা থেকে দেড়শো কিলোমিটার দূরের গোপালগঞ্জ জেলার এসএস গার্লস সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে তদন্তকারীরা পৌঁছে দেখেন উধাও উত্তরপত্র। শুক্রবার বিদ্যালয়ের কাছেই উত্তরপত্র রাখার প্রায় দুশোটি ব্যাগ খালি অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই ঘটনার জেরে দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশ ছয়দিনের মত পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে বিহার বোর্ড।

কিন্তু ঘোষণা অনুযায়ী 26 জুন তারিখে আদৌ ফল প্রকাশ হবে কিনা তা নিয়ে তীব্র সংশয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পুলিশ শ্রীঘ্রই উত্তরপত্র খুঁজে পাবে এই অনুমান থেকেই ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করেছিল বোর্ড কিন্তু গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের কাছে এখনও অধরা রয়ে গেল উওরপত্রের সন্ধান।

পুলিশের মতে অভিযুক্ত পিওন উত্তরপত্রগুলি নিজে থেকে বিক্রি করেছে নাকি এর পিছনে কাজ করছে বড় কোন চক্র তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্কুল বোর্ড ও নীতিশ কুমারের সরকারকে অপদস্থ করতেই এই চক্রান্ত বলে দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী কৃষ্ণ নন্দন প্রসাদ বর্মা। হাইকোর্ট মিডিয়ার থেকে হারিয়ে যাওয়া উত্তরপত্রের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল হয়েছেন এবং রাজ্য সরকারের কাছে জবাবদিহি চেয়েছেন।   
.