This Article is From May 05, 2020

লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় "অ্যাকশন প্ল্যান" তৈরি করছে কেন্দ্র

Coronavirus: ২৪ মার্চ, লকডাউন ঘোষণার পর থেকে সমস্ত সরকারি দফতর ও মন্ত্রক যে কাজ করেছে তার একটি তালিকাও প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে

লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায়

Coronavirus: লকডাউনের মধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা

হাইলাইটস

  • করোনা ভাইরাসের আক্রমণে বেসামাল গোটা দেশ
  • পরিস্থিতি মোকাবিলায় টানা লকডাউন চলছে, ধুঁকছে দেশের অর্থনীতি
  • লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাই পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার
নয়া দিল্লি:

করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) প্রাদুর্ভাব রুখতে দেশ জুড়ে যে লকডাউন ঘোষণা হয়েছে তা ওঠানোর পর কীভাবে সামগ্রিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা (COVID- 19 Policy Decision) করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী দুই মাসের জন্যে একটি কার্যকরী পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে সরকারের অভ্যন্তরে বিরাট আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে। প্রতিটি মন্ত্রককে এবিষয়ে একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করে কিছু পরামর্শ দেওয়ার জন্যেই বলা হয়েছে। এই সমস্ত পরামর্শ ও অ্যাকশন প্ল্যানের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), NDTV-কে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। এমনকী ২৪ মার্চ, লকডাউন চালু করার ঘোষণার পর থেকে সমস্ত সরকারি দফতর ও মন্ত্রক যে কাজ করেছে তার একটি তালিকাও প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। আগামী দুই মাসের জন্য করোনা পরিস্থিতির আশু মোকাবিলায় একটি অ্যাকশন প্ল্যানও প্রস্তুত করতে হবে সব সরকারি দফতরকে।

“সন্ত্রাসবাদের মতো প্রাণঘাতী ভাইরাস”,ছড়াচ্ছে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

লকডাউন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বহু সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে সরকারকে। একটি সরকারি সূত্র মতে, "সরকার বিশ্বাস করে যে, লকডাউন জারি করার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া সেই সময় কোনও বিকল্প ছিল না। আর সেই সময় যা পরিস্থিতি ছিল তাতে সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই রকম কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো যথেষ্ট সময়ও ছিল না সরকারের হাতে"।

সরকারি সূত্রের তরফে বলা হয়েছে, "সরকারও মনে করে যে হয়তো অনেকগুলি সিদ্ধান্তই সফলভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু সেই সময় এছাড়া কোনও উপায় ছিল না। তবে গৃহীত পদক্ষেপগুলো নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দেবে সরকার এবং ভবিষ্যতেও যে যে পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেগুলোও সুষ্ঠ পরিকল্পনা করেই নেওয়া হবে"।

মার্চ মাসে লকডাউন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপদকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকার দেশের গরিবদের সাহায্যের জন্যে ১.৭০ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করে। কিন্তু করোনা ভাইরাসকে রুখতে টানা যে লকডাউন চলেছে তাতে ক্ষতিগ্রস্থ শিল্পগুলিকে পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে পারে এমন কোনও আর্থিক প্যাকেজ এখনও ঘোষণা করেনি মোদি সরকার। তবে অর্থনীতিতে করোনা ভাইরাসের প্রভাব মূল্যায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স তৈরি করে দিয়েছেন।

করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্যে গলদ রয়েছে স্বীকারোক্তি রাজ্য সরকারের

এরই মধ্যে লকডাউনের ফলে যেসব পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিনরাজ্যে আটকে ছিলেন তাঁদের ফেরানোর খরচখরচা নিয়ে কেন্দ্র কথা তোলায় তীব্র সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয়েছে সরকারকে। এই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। তারা জানিয়েছে যে, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে রেলের যে ব্যয় হবে অর্থাৎ ট্রেনের ভাড়া বাবদ অর্থ মেটাবে তারাই। যদিও আগেই কেন্দ্র প্রস্তাব দেয় যে, অভিবাসী শ্রমিকদের পরিবহনের জন্য পরিচালিত বিশেষ ট্রেনের ক্ষেত্রে রেলের ভাড়া বাবদ ৮৫ শতাংশ ভর্তুকি দেবে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বাকি ১৫ শতাংশ রাজ্য সরকারগুলোকে দিতে হবে।

.