This Article is From Jan 27, 2020

সিএএ নিয়ে নাসিরুদ্দিনের মন্তব্যের জবাবে কী বললেন সাক্ষী মহারাজ

নাসিরুদ্দিনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষী মহারাজ বলেন, নাসিরুদ্দিন একজন মুসলিমকে দেখান, যিনি হুমকি পেয়ে দেশ ছেড়েছেন।

সিএএ নিয়ে নাসিরুদ্দিনের মন্তব্যের জবাবে কী বললেন সাক্ষী মহারাজ

শাহিনবাগের আন্দোলনেরও নিন্দা করেন সাক্ষী মহারাজ। (ফাইল)

নয়াদিল্লি:

উন্নাও লোকসভার সাংসদ বিজেপির (BJP) সাক্ষী মহারাজ (Sakshi Maharaj) সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রবীণ অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহর মন্তব্যের জবাবে কটাক্ষ করলেন। নাসিরুদ্দিন শাহ (Naseeruddin Shah) দাবি করেছিলেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ভারতের আত্মাকে আঘাত করেছে। সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষী মহারাজ বলেন, নাসিরুদ্দিন একজন মুসলিমকে দেখান, যিনি হুমকি পেয়ে দেশ ছেড়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘নাসিরুদ্দিন শাহর এই সাধারণ জ্ঞানটা থাকা উচিত যে, মুসলিমরা যে সুরক্ষা ও সম্মান ভারতে পান তেমনটা বিশ্বের আর কোথাও পান না। যদি তারা হুমকির মুখেই পড়ে থাকে, তাহলে কেন একজনও দেশ ছেড়ে চলে গিয়ে পাকিস্তান, আফগানিস্তান অথবা বাংলাদেশে গিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করল না? নাসিরুদ্দিন কি একজন মুসলিমের নামও করতে পারেন যিনি এমন করেছেন?''  

উত্তরপ্রদেশ সরকারের থেকে সিএএ আন্দোলন প্রতিরোধে পুলিশের কার্যকলাপের রিপোর্ট চাইল আদালত

তিনি আরও বলেন, ‘‘সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। বরং যারা প্রতিবেশী দেশে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন।''

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ আন্দোলনকে সমর্থন করে যে ৩০০ জন চিঠি লিখেছেন তাঁদের অন্যতম নাসিরুদ্দিন শাহ। সেই চিঠিতে এই আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসিকে ভারতাত্মার প্রতি বিপজ্জনক বলে দাবি করা হয়েছে।  

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাস Anti-CAA প্রস্তাব, দেশের মধ্যে চতুর্থ রাজ্য বাংলা

সেপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ওঁদের কোনও সমস্যা নেই সিএএ নিয়ে। ওঁদের সমস্যা নরেন্দ্র মোদিজি ও অমিত শাহকে নিয়ে। যেভাবে ওঁরা ৩৭০ ধারা বাতিল করলেন, তিন তালাকের বিষয়টি সমাধান করলেন কিংবা অযোধ্যা সমস্যারও সমাধান করলেন তাতে তাঁদের বিরোধীরা বিপন্ন বোধ করছেন।''

নাসিরুদ্দিনকে আক্রমণ করার পাশাপাশি শাহিনবাগের আন্দোলনেরও নিন্দা করেন তিনি। বলেন, ‘‘শাহিনবাগে কী হচ্ছে দেখুন। তাঁরা সাংবাদিকদের সেখানে আক্রমণ করছেন। ওঁরা ভেবেছেন বেআইনি রোহিঙ্গাদের ছুঁড়ে ফেলা হবে। সেটা অবশ্যই করা হবে, কেননা আমরা এখানে অনুপ্রবেশকারীদের থাকতে দেব না। কিন্তু যাঁরা সুরক্ষা চাইবেন তাঁদের আশ্রয় দেওয়াটাও আমাদের কর্তব্য।''

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, ফার্সি, জৈন ও বৌদ্ধ শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, এই সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হবে না। তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সমালোচকদের মতে, এই আইন মুসলিমদের জন্য বৈষম্যমূলক। এবং এটি সংবিধানের বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।

.