This Article is From Feb 01, 2020

Budget 2020: কৃষক-স্বার্থে ১৬ টি নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা

Union Budget: অর্থনৈতিক সমীক্ষা মতে, কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ, জল সংরক্ষণ এবং উন্নত কৃষিকাজের মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলিতে জোর দেওয়া প্রয়োজন

Budget 2020: কৃষক-স্বার্থে ১৬ টি নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা

কৃষি ও গ্রামীণ খাতে এবং এর সঙ্গে জড়িত নানা কাজের জন্য ২.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন Nirmala Sitharaman

হাইলাইটস

  • কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের সময় কৃষক-দরদী হওয়ার চেষ্টায় কেন্দ্রীয় সরকার
  • কৃষক স্বার্থে ১৬ টি পরিকল্পনার ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের
  • কিষান রেল ও কৃষি উদ্যানের মতো প্রকল্পও থাকছে তার মধ্যে
নয়া দিল্লি:

শিল্পের মতোই ধুঁকছে দেশের কৃষিক্ষেত্রও, এবার তাই কৃষকদের অবস্থা ফেরাতে একটু বেশিই মনোযোগ দিতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। কেন্দ্রীয় বাজেট (Budget 2020) পেশ করার সময় কৃষিক্ষেত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে ১৬ টি নতুন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করতে দেখা গেল তাঁকে। অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) বলেন, কৃষি ও গ্রামীণ খাতে এবং এর সঙ্গে জড়িত নানা কাজের জন্য ২.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবারের বাজেটে (Union Budget)। সরকার "২০২২ সালের মধ্যে কৃষির আয় দ্বিগুণ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ", তাই কৃষিক্ষেত্রে জল-সঙ্কটে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সমাধান প্রদান ছাড়াও দেশের সামুদ্রিক সম্পদের উন্নতি করার পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

শুক্রবারই দেশের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভি সুব্রহ্মনিয়ন তাঁর অর্থনৈতিক সমীক্ষায় কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ, জল সংরক্ষণ এবং উন্নত কৃষিকাজের মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলিতে জোর দেন। আর তারই প্রতিফল দেখা গেল শনিবার নির্মলা সীতারামনের পেশ করা কেন্দ্রীয় বাজেটে। ওই সমীক্ষায় কৃষকদের বাজারে দ্রব্য বিক্রিতে সুবিধা, নির্ভরযোগ্য সংস্থা থেকে ঋণলাভের সুবিধা এবং কৃষি ও অকৃষি খাতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংযোগের মতো বিষয়গুলিও তুলে ধরা হয়।

Budget 2020: দেশে দুধ, মাংস এবং মাছ পরিবহণে চালু হবে 'কিষান রেল', ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব অর্থাৎ পিপিপি মডেলে বিশেষ 'কিষান রেল' চালুর ঘোষণা করেছেন নির্মলা সীতারামন। বাজেট পেশের সময় তিনি বলেন, "নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবণতা সম্পন্ন কৃষিপণ্যগুলিকে যাতে রেলপথের মাধ্যমে সহজে এবং দ্রুত গতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হিমঘরে পাঠানো যায় তার জন্যেই কিষান রেল চালানো হবে। এর ফলে দেশের মধ্যে কোল্ড সাপ্লাই চেইন তৈরি করা যাবে। পিপিপি মডেলের মাধ্যমেই এই কিষান রেলের কাজ শুরু হবে"। মনে করা হচ্ছে এর ফলে অনেকটাই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবেন দেশের কৃষকরা।

পাশাপাশি কৃষি উদ্যান নামে একটি প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। এর ফলে আকাশপথেও কৃষকরা শস্য পরিবহণ ও উৎপাদন করা পণ্য নিয়ে যেতে পারবেন দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। এর জন্যে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের সঙ্গে একটি চুক্তি করার কথাও বলেন সীতারামন।

সংরক্ষণের লক্ষ্যে তিনি বলেন, নাবার্ড (ন্যাশনাল ব্যাংক ফর রুরাল অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট) কৃষকদের সহায়তা করার জন্য জিওট্যাগ কোল্ড স্টোরেজ এবং গুদামজাতকরণের একটি মানচিত্র তৈরি করবে।

কেন্দ্রীয় সরকার এই জাতীয় আরও সুবিধার বিষয়ে জোর দেবে এবং এই জায়গাতেও পিপিপি মডেলে কাজ করার বিষয়ে উৎসাহিত করবে।

কৃষকদের উর্বর জমির বিকল্প ব্যবহারের লক্ষ্যে সোলার বা সৌরশক্তি সম্পন্ন জমি তৈরির কথা ভাবার প্রস্তাব দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০ লক্ষ কৃষককে স্বতন্ত্র সোলার পাম্প এবং ১৫ লক্ষ সোলার চালিত, গ্রিড-সংযুক্ত পাম্প সেট সরবরাহ করবে।

Budget 2020: শিক্ষাখাতে ৯৯,৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল মোদি সরকার, আসছে নয়া শিক্ষা নীতিও

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি বিঘ্নিত অঞ্চলগুলিতে সুষ্ঠু উপায়ে চাষের ব্যবস্থার সম্প্রসারণ করা হবে।

"আমাদের সরকার রাসায়নিক সারের ব্যবহারে উৎসাহ দেয় না। বরং জৈব সার সহ সব ধরণের সারের সুষম ব্যবহারকেই উৎসাহিত করবে সরকার", বলেন নির্মলা সীতারামন।

কৃষিক্ষেত্রের জন্য করা পরিকল্পনাগুলির  মধ্যে একটি পরিকল্পনাকে নির্মলা সীতারামন "ব্লু ইকোনমি" বলেও উল্লেখ করেন। সামুদ্রিক সম্পদ থেকে আয় বাড়ানোর জন্যে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন যে ২০২২ / ২৩ সালের মধ্যে মাছের উৎপাদন বাড়িয়ে ২০০ মিলিয়ন টন করা হবে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন যে আরও বেশী করে নারী স্বনির্ভর গোষ্ঠী স্থাপন করা হবে।  উদ্যান চাষে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়াতে সরকার "১ পণ্য, ১ জেলা" নামে একটি প্রস্তাব রাখছে যা রাজ্য সরকারগুলিও সমর্থন করতে পারে।

তার এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে নির্মলা সীতারামন আশা করছেন যে জিডিপির নিম্নগামী অবস্থা গতি পাবে ভবিষ্যতে। জুলাই-সেপ্টেম্বর কোয়ার্টারে এটি কমে ৪.৪ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে, যা কিনা ২০১৩ সালের পর থেকে সবচেয়ে কম।

.