This Article is From Feb 24, 2020

সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত হলেই তা জাতীয়তা-বিরোধী হয় না, বললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক গুপ্তা

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক গুপ্তা জানালেন, সরকারের কোনও অধিকার নেই কোনও প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করার যতক্ষণ না সেটা সহিংস হয়ে উঠছে।

সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত হলেই তা জাতীয়তা-বিরোধী হয় না, বললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক গুপ্তা

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক গুপ্তা জানালেন, সরকার সব সময় ঠিক নাও হতে পারে।

নয়াদিল্লি:

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court ) বিচারপতি দীপক গুপ্তা (Deepak Gupta) জানালেন, ‘হতাশা বা নিরুৎসাহজনক ভিন্নমত'-এর গণতন্ত্রে একটা শিরশিরে প্রভাব রয়েছে। এবং সরকারের কোনও অধিকার নেই কোনও প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করার যতক্ষণ না সেটা সহিংস হয়ে উঠছে। বিচারপতি পরে আরও বলেন, সরকার সব সময় ঠিক নাও হতে পারে। সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত হওয়াকে ‘জাতীয়তা-বিরোধী' বলে দাগানোর প্রচেষ্টায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দেশজুড়ে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনপিআর ও এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা যদি ভিন্নমতকে নিরুৎসাহ করি তাহলে গণতন্ত্রে একটা শিরশিরে প্রভাব পড়ে। সরকার সব সময় ঠিক হতে পারে না। আমরা সবাই ভুল করি। সরকারের কোনও অধিকার নেই কোনও প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করার যতক্ষণ না সেটা সহিংস হয়ে উঠছে।''

রাজধানীতে ‘ভিন্নমত ও গণতন্ত্র' প্রসঙ্গে ভাষণ দিতে গিয়ে একথা বলেন তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দিল্লি আসার কয়েক ঘণ্টা আগে রাজধানীতে সংঘর্ষে মৃত্যু পুলিশকর্মীর

তিনি আরও বলেন, ‘‘যদি কোনও দল ৫১ শতাংশ ভোট পায়, তার অর্থ কি এই যে, বাকি ৪৯ শতাংশ আগামী ৫ বছর কোনও কথা বলবে না? গণতন্ত্রে প্রত্যেক নাগরিকের ভূমিকা রয়েছে। সরকার সব সময় ঠিক হয় না।''

বিচারপতি আরও বলেন, বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গির অর্থ দেশকে অসম্মান করা নয়। তিনি বলেন, আইডিয়ার বৈপরীত্য হলে ভিন্নমত তৈরি হয়। প্রশ্ন করার অধিকার গণতন্ত্রে অপরিহার্য অঙ্গ বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, ‘‘আজ এই দেশে ভিন্নমতকে জাতীয়তাবিরোধী বলে দেখা হয়। সরকার ও দেশ দু'টি ভিন্ন বিষয়। আমি দেখছি বার অ্যাসোসিয়েশন জানাচ্ছে কোনও কোনও বিষয়ে তারা থাকবে না সেটা জাতীয়তা-বিরোধী বলে। এটা ঠিক নয়। আপনারা আইনি সাহায্যকে অস্বীকার করতে পারবেন না।''

বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘যদি সকলেই এক পথ ধরে চলেন তাহলে মনের কোনও প্রসার হবে না। গান্ধি, মার্ক্স, মহম্মদ সকলেই পুরনো চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।''

এই নিয়ে এমাসে সু্প্রিম কোর্টের দ্বিতীয় কোনও বিচারপতি ভিন্নমতের অবদমন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন। এর আগে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

.