This Article is From Jan 12, 2020

রাহুল গান্ধিকে ধন্যবাদ দিয়ে ট্যুইট, বিজেপিকে একহাত নিলেন প্রশান্ত কিশোর

ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করেছে কংগ্রেস

রাহুল গান্ধিকে ধন্যবাদ দিয়ে ট্যুইট, বিজেপিকে একহাত নিলেন প্রশান্ত কিশোর

প্রশান্ত কিশোর বলেন, বিহারে কার্যকর করা হবে না নাগরিকত্ব আইন (ফাইল)

নয়াদিল্লি:

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আবারও বিজেপিকে একহাত নিলেন নীতীশ কুমার ঘনিষ্ঠ প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor), ট্যুইট করে জানালেন রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) কার্যকর করা হবে না বলে ট্যুইট করলেন তিনি। “আনুষ্ঠানিক এবং স্পষ্টভাবে নাগিরকত্ব আইন এবং এনআরসির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য” রাহুল গান্ধি এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রাকে ধন্যবাদ জানালেন তিনি। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম দুটি পদক্ষেপ। আইনটি নিয়ে ভোটাভুটির সময় দলের নো-সিএএ (CAA) অবস্থান থেকে সরে এসেছিলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar), এনআরসি  নিয়ে এখনও পর্যন্ত নীরবতা বজায় রেখেই চলেছেন তিনি।

গতমাসে, জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁর সরকার, যেটিকে এনআরসির (NRC) প্রথম পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।

ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করেছে কংগ্রেস।

কংগ্রেস নেতাদের একাংশের নরম হিন্দুত্ববাদী অবস্থা নেওয়া থেকে রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধির জয় বলেই মনে করা হচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের এই অভিনন্দন করে ট্যুইট। সূত্র মারফৎ ইঙ্গিত মিলেছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারের হতাশা কাটাতে বিপরীত অবস্থান নিতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস নেতত্বের ওই একাংশ।

ওয়ার্কিং কমিটিতে ভাষণে, দলীয় নেতৃত্বের ওই অংশকে সতর্ক করে দিয়ে সনিয়া গান্ধি বলেন, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের মনে করা চলবে না, জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী “ভাল কাজ”। তিনি বলেন, “রূপ এবং বিষয়বস্ত অনুসারে, জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী ২০২০, ছ্দ্মবেশী এনআরসি”। নাগরিকত্ব আইনকে “পক্ষপাত এবং বিভাজনমূলক” বলেও মন্তব্য করেন কংগ্রেস সভানেত্রী,  ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করতেই এর উথ্থান বলে মন্তব্য করেন তিনি।  

কংগ্রেস নেতাদের একাংশ উল্লেখ করেন, জোটের ধর্ম অনুযায়ী, যদি নীতীশ কুমার জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী করতে রাজি হয়, পরে, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী করতেও তাঁর কোনও আপত্তি থাকবে না।

সেই কারণেই এর আগেই প্রশান্ত কিশোর দাবি করেছিলেন, পরিষ্কারভাবে এনআরসি খারিজ করে দিন মুখ্যমন্ত্রী। এই মতামতের ফলে, প্রায় দলের সঙ্গে ভাঙনের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর, নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি নিয়ে বিজেপির সঙ্গে সংঘাত দলে ভাঙনের ছায়া পড়েছিল।

জাতীয় জনসংখ্যা অনুযায়ী, সূত্রের খবর, প্রশান্ত কিশোর ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি বেশি করে পড়ছে রাজ্যবাসী।

তিনি বলেন, “যদি দেখা যায়, বাংলা ও কেরল বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, একবার যদি সবাই বুঝতে পারে এটি বিভাজনমূল এরআসির দিকেই নিয়ে যাচ্ছে, তাহলে সবাই বিরোধিতা করবে”।

.