This Article is From Jul 14, 2019

তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা জোরদার করতে কার্তারপুর করিডোর নিয়ে আজ বৈঠকে মুখোমুখি ভারত-পাক

বৈঠকে ভারতের হয়ে আলোচনায় বসবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (বিদেশ) যুগ্ম-সচিব অনিল মালিক। ইসলামাবাদের প্রতিনিধিত্ব করবেন দক্ষিণ এশিয়ায় অধিকর্তা তথা পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহম্মদ ফয়সল

তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা জোরদার করতে কার্তারপুর করিডোর নিয়ে আজ বৈঠকে মুখোমুখি ভারত-পাক

কর্তারপুরের দরবার সাহিবকে গুরুদাসপুরের ডেরা বাবা নানক গুরুদ্বারের সঙ্গে জুড়বে এই করিডোর

নিউ দিল্লি:

কার্তারপুর করিডোর (Kartarpur corridor) নিয়ে রবিবার দ্বিতীয় দফার বৈঠকে (second round of talks ) মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান দুই প্রতিবেশি দেশের উচ্চপদস্থ অফিসারেরা (Indian and Pakistan)। দুই দেশের শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্য তৈরি এই করিডোরের পাক কমিটি থেকে সদ্য সরিয়ে দেওয়া হয়েছে খালিস্তান নেতা গোপাল সিং চাওয়ালকে। তার ঠিক একদিন পরেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই বৈঠক। 

বৈঠকে ভারতের হয়ে আলোচনায় বসবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (বিদেশ) যুগ্ম-সচিব অনিল মালিক। ইসলামাবাদের প্রতিনিধিত্ব করবেন দক্ষিণ এশিয়ায় অধিকর্তা তথা পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহম্মদ ফয়সল। ওয়াঘায় আজ সকাল সাড়ে ন-টায় বসবে এই বৈঠক। ভারতের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা বিষয়ক পরিকাঠামো সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে এই বৈঠক থেকে।

পশ্চিমবঙ্গের কলেজ গুলোতে অতিথি লেকচারার নিয়োগের আগে জানাতে হবে সরকারকে :শিক্ষামন্ত্রী

দুই দেশের শিখ তীর্থযাত্রীরা যাতে সহজেই ভারত এবং পাকিস্তানের গুরুদ্বারে অবাধে তীর্থযাত্রায় যোগ দিতে পারে তার জন্য ইতিমধ্যেই জিরো লাইনে একটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।

এবিষয়ে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ অফিসারের বক্তব্য, "বর্ষাকালে এলাকাটি প্রায়ই বন্যায় ভেসে যায়। বিশেষ করে ভারতের অন্তর্গত রবি নদীতে জল বেড়ে গেলেই সেই জল প্লাবিত করে করিডোরের একাংশ। তাই ইসলামাবাদের কাছে আমাদের সনির্বন্ধ অনুরোধ, আমাদের তরফ থেকে যেমন একটি সেতু তৈরি করা হচ্ছে একই ভাবে ইসলামাবাদ যদি তাদের অংশে আরও একটি সেতু নির্মাণ করে তাহলে তীর্থযাত্রীরা বর্ষার মরশুমেও নিশ্চিন্তে যাতাযাত করতে পারবেন।" 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই অফিসার আরও জানান, "ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে করিডোরের প্রযুক্তিগত দিক নিয়ে তিনবার বৈঠক করেছে ভারত। কিন্তু বন্যা থেকে নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি বাঁচাতে করিডোরে সেতু নির্মাণের অনুমতি এখনও পায়নি দেশ।" 

অসমের বন্যায় মৃত ৭, ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ, ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র

প্রসঙ্গত, গুরপদাসপুরের যে অংশ থেকে এই করিডোর তৈরি করা হবে সেটি বন্যাপ্রবণ এলাকা বলে বরাবর চিহ্নিত। ২০১৩-য় রবি নদীর বন্যায় ভেসে গিয়েছিল পাঞ্জাবের এই অঞ্চল।  ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল সাধারণ মানুষের।

"এই মরশুমে আমরা দেখব, সেতু নির্মাণের ফলে কতটা উপকৃত হচ্ছে অঞ্চলের সাধারণ মানুষ", জানান অফিসার। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, হাইওয়ে তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে সেপ্টেম্বরেই। অক্টোবরে শেষ হবে বাকি সাইটের কাজ। করিডোর নির্মাণের পর গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক গুরুদ্বারের সঙ্গে  পাকিস্তানের কার্তরপুরের দরবার সাহেব সংযুক্ত হলেই এই করিডোর দিয়ে অবাধে যাতাযাত করতে পারবেন ভারতীয় শিখ তীর্থযাত্রীরা। এই যাতাযাতের জন্য তাঁদের কোনও ভিসা লাগবে না। 

গত ১৪ ই মার্চ করিডোর নিয়ে প্রথম আলোচনায় বসে দুই দেশ। গত ২ এপ্প্ররিল দ্থবিতীয় স্তরের আলোচনা ভেস্তে যায় নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে। গত মে মাসে ভারতের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়, তীর্থযাত্রার জন্য নির্মিত এই করিডোর নিয়েও তলায় তলায় খালিস্তানিদের মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। এরপরেই চলতি মাসে কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় গোপাল সিং চাওয়ালকে।

.