This Article is From Jan 23, 2020

‘‘চিন খুব ভাল বন্ধু’’: উইঘুর মুসলিমদের প্রতি নীরবতা প্রসঙ্গে ইমরান খান

আন্তর্জাতিক আঙিনায় সংখ্যালঘুদের প্রতি চিনের আচরণ নিন্দিত হচ্ছে। উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চিনের দমন নীতি নিয়ে সরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। নীরব পাকিস্তান।

‘‘চিন খুব ভাল বন্ধু’’: উইঘুর মুসলিমদের প্রতি নীরবতা প্রসঙ্গে ইমরান খান

চিন বন্ধু, তাই নীরবতা, জানান ইমরান খান।

হাইলাইটস

  • উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চিনের নির্যাতন নিয়ে চুপ পাকিস্তান
  • ইমরান খান জানান, চিনের সঙ্গে বন্ধুত্বের কারণেই তাঁদের এই নীরবতা
  • গোটা বিশ্ব নিন্দা করছে উইঘউরদের প্রতি চিনের আচরণের
Bonn:

সংখ্যালঘুদের প্রতি চিনের আচরণ নিয়ে সারা পৃথিবী জুড়ে নিন্দার পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের (Pakistan)প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) কিন্তু সে বিষয়ে নীরবতাই বেছে নিয়েছেন। উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চিনের আচরণ (Uighur Repression In China) নিয়ে সারা বিশ্ব যখন ক্ষুব্ধ, তখন ইমরান জানিয়ে দিচ্ছেন, চিন তাঁদের ‘‘ভাল বন্ধু'' এবং চিন ‘‘বহু কঠিন পরিস্থিতিতে'' পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে। জার্মানির এক পত্রিকা ‘ডিউটসে ওয়েলে'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুললেও চিনের বিষয়ে চুপচাপই ছিলেন। তিনি জানান, চিন ‘‘স্পর্শকাতর''। তাই উইঘুর ইস্যু নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি পাকিস্তানের। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কেন তিন‌ি কাশ্মীর বিষয়ে কড়া সমালোচনা করেও উইঘুর মুসলিমদের বিষয়ে সেভাবে মুখ খুলছেন না। সেই প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন ইমরান।

CAA অপ্রয়োজনীয় কিন্তু এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়: শেখ হাসিনা

উইঘুর সম্পর্কে পাকিস্তানের নীরবতা প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, ‘‘দু'টি কারণে। প্রথমত, ভারতে যা হচ্ছে তার সঙ্গে চিনের উইঘুরদের বিষয়টি তুলনীয় নয়। দ্বিতীয়ত, চিন খুব ভাল বন্ধু। তারা আমাদের সবচেয়ে কঠিন সময়ে সাহায্য করেছে যখন উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়তে হয়েছিল আমার সরকারকে। সেই কারণে এবিষয়ে চিনের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে কথা বলেছি আমরা, প্রকাশ্যে নয়। কেননা ওটা স্পর্শকাতর ইস্যু।''

আন্তর্জাতিক আঙিনায় সংখ্যালঘুদের প্রতি চিনের আচরণ নিন্দিত হচ্ছে। উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চিনের দমন নীতি নিয়ে সরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। কিন্তু নীরব পাকিস্তান।

Iran বিমান দুর্ঘটনায় মৃত বাবা, ভেজা চোখে স্মৃতিচারণে ১৩ বছরের ছেলে

গত আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নিয়ে তাকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে ভারত। এরপরই সেখানকার মুসলিমদের পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে পাকিস্তান। ইমরান খান নিজেকে কাশ্মীরিদের ‘দূত' বলেও দাবি করেন।

কাশ্মীরের মুসলিমদের সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হলেও চিনের উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে পাকিস্তান কোনও মন্তব্য করেনি। আমেরিকা পাকিস্তানকে বলে, কাশ্মীরের মুসলিমদের প্রতি পাকিস্তানের উদ্বেগের সম পরিমাণ উদ্বেগ তাদের প্রকাশ করা উচিত পশ্চিম চিনের মুসলিমদের প্রতিও। 

.