This Article is From May 26, 2019

জ্বলন্ত বিল্ডিংয়ে ঢুকে ছাত্রদের প্রাণ বাঁচিয়ে নায়ক সুরাতের যুবক

জ্বলন্ত সুরাতের কোচিং সেন্টারে এক যুবক একটি মইয়ের সাহায্যে সক্ষম হন অন্তত ১০ জন ছাত্রের প্রাণ বাঁচাতে।

একার চেষ্টায় বহু প্রাণ বাঁচিয়ে কেতন জোরাওয়াদিয়া এখন একজন নায়ক

হাইলাইটস

  • ১০ জনের বেশি পড়ুয়াকে আগুনের কবল থেকে বাঁচালেন সুরাতের যুবক
  • সুরাতের যুবক বাঁচালেন বহু পড়ুয়ার প্রাণ
  • সুরাতের অগ্নিকাণ্ডে পড়ুয়াদের বাঁচিয়ে নায়ক এক যুবক
সুরাট:

দাউদাউ আগুনে তখন জ্বলছে সুরাতের কোচিং সেন্টারটি। ঠিক তখনই এক যুবক নিজের প্রাণের মায়া না করে ঢুকে পড়েন তক্ষশীলা আর্কেডে। উদ্দেশ্য ভিতরে আটকে থাকা ছাত্রদের প্রাণ বাঁচানো। একটি মইয়ের সাহায্যে কমপ্লেক্সটির পিছন দিক দিয়ে ঢুকে পড়েন কেতন জোরাওয়াদিয়া। আর সক্ষম হন অন্তত ১০ জন ছাত্রের প্রাণ বাঁচাতে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, ‘‘ধোঁয়ায় সব ঢেকে ছিল। বুঝতে পারছিলাম না কী করব। চোখের সামনে এক ছাত্রী নীচে লাফ দিল আগুনের শিখা থেকে বাঁচতে।'' ওই দুর্ঘটনায় মর্মাহত হয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন কিছু একটা করার।

‘‘আমি মইটা নিয়ে প্রথমেই সাহায্য করি বাচ্চাদের ওখান থেকে বের করে আনার। ৮ থেকে ১০ জন পড়ুয়াকে বিল্ডিংয়ের পিছন দিক দিয়ে বের করে আনতে সমর্থ হই। পরে আরও দু'জনকে উদ্ধার করি। আমার পক্ষে যত জন ছাত্রছাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব ছিল, করেছি।'',/p>

এমন সাহসী কর্মকাণ্ডের ফলে অনলাইনে মানুষের হৃদয় জিতে নিয়েছেন কেতন। যারা ওই অগ্নিকাণ্ডে মারা গেল, তাদের বের করে আনতে না পেরে আক্ষেপ করছেন তিনি।তিনি বলেন, ‘‘দমকল ঘটনার ৪০-৪৫ মিনিট পরে এসে পৌঁছয়। তারা বেশ খানিকটা সময় নেয় আগুন নেভানোর সরঞ্জামের বন্দোবস্ত করতে।তিনি আরও বলেন, ‘‘দমকলের কর্মীদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে সরঞ্জাম ছিল না। যদি ওদের কাছে একটা জাল বা ওই জাতীয় কিছু থাকত, তাহলে কিছু পড়ুয়া লাফ দিয়ে পড়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে পারত।''

ওখানকার এখ বাসিন্দার বক্তব্য, ‘‘যাদের উদ্ধার করা সম্ভব করা হয়েছে, কেতন জোরাওয়াদিয়া তাদের কাছে একজন নায়ক। যে পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে পারেনি তাদের কাছে ও আশ্বাসের প্রতীক।''শহরের সারথানা এলাকায় অবস্থিত তক্ষশীলা আর্কেডে অবস্থিত কোচিং সেন্টারটিতে আগুন লেগে ২০ বা তার বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আহতের সংখ্যা বহু। কোনও কোনও পড়ুয়াকে আগুনের হাত থেকে বাঁচতে বিল্ডিং থেকে লাফ দিতে দেখা যায়। অনেকে পালাতে না পেরে ওখানেই দগ্ধ হয়।উদ্ধারকার্য শুরু হওয়ার পরে দগ্ধ দেহগুলির সন্ধান মেলে। সুরাত অগ্নিকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ওই কোচিং সেন্টারের অপারেটর ভৈরভ ভুটানিকে পুলিশ আটক করেছে। তিনি ছাড়াও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বিল্ডিংয়ের দুই মালিক হর্ষল ভেকারিয়া ও জিগনেশ পদগল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি এবং আরও বহু নেতারা টুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন ওই দুর্ঘটনায়। তদন্ত শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

.