This Article is From Feb 04, 2019

কোন কোন রাজ্যে সিবিআই প্রবেশের অনুমতি নেই? জেনে নিন কী এই ধারা ৫ ও ধারা ৬?

এই আইনের ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী দেশের সমস্ত অঞ্চলে সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তের অধিকার রয়েছে, কিন্তু একই সঙ্গে ওই ৬ নম্বর ধারাতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে, রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া সিবিআই সেই মামলায় প্রবেশ করতে পারবে না।

কোন কোন রাজ্যে সিবিআই প্রবেশের অনুমতি নেই? জেনে নিন কী এই ধারা ৫ ও ধারা ৬?

সিবিআই বনাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিউ দিল্লি:

সারদা চিটফান্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোজা কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে পৌঁছেছে সিবিআই। গতকাল সন্ধ্যেয় এই ঘটনার পরেই বদলে যায় এই রাজ্যের রাজনৈতিক চিত্রটাই। সিবিআই এবং কোনও রাজ্যের পুলিশের মধ্যে এমন সরাসরি সংঘর্ষের নজির এই প্রথম। সিবিআই গঠনের আইন অনুযায়ী কোনও রাজ্যে তদন্ত নিয়ে পদক্ষেপ করার আগে সেখানে রাজ্য সরকারের অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। দিল্লি বিশেষ পুলিশ প্রতিষ্ঠা আইন -১৯৪৬ এর মাধ্যমে সিবিআই গঠিত হয়। এই আইনের ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী দেশের সমস্ত অঞ্চলে সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তের অধিকার রয়েছে, কিন্তু একই সঙ্গে ওই ৬ নম্বর ধারাতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে, রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া সিবিআই সেই মামলায় প্রবেশ করতে পারবে না।

কলকাতা পুলিশ-সিবিআই সংঘাত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠালেন রাজ্যপাল

কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় সরকার ৬ নম্বর ধারা ব্যবহার করেই সরকারের অনুমতি ছাড়া সিবিআইয়ের কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ, সরকারি উদ্যোগ এবং ব্যক্তিদের তদন্ত সরাসরি করতে পারবে না। তবে আদালতের আদেশের পরে রাজ্যের নির্দেশ বাতিল করা সম্ভব।

সিবিআই এবং পুলিশের মধ্যে তৈরি হওয়া সংঘাতের সঙ্গে যোগীর যোগ আছে কি?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিবিআই রোববার চিটফান্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়ি পৌঁছয়। সেখানে কলকাতা পুলিশ সিবিআই কর্তাদের আটক করে নেন। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ধর্নায় বসে যান। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইয়ের পিটিশন বিষয়ে জানিয়েছে যে, প্রমাণ লোপাটের বিষয়ে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালতে পেশ করতে হবে এবং মামলার শুনানি হবে ৫ ফেব্রুয়ারি।

বিরোধী দলের সমর্থন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 

 

.