This Article is From Jun 17, 2020

যুদ্ধের প্রস্তুতি? গভীর রাতে লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধান ও ৪ মন্ত্রীর সঙ্গে মোদির বৈঠক

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী সীতারামন ও সেনা প্রধানরা ছিলেন

India-China Clash: ভারত-চিন পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর একাধিক বৈঠক হয় (ফাইল চিত্র)

হাইলাইটস

  • ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমেই প্রবল আকার ধারণ করছে
  • দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে
  • গোটা পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার রাতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
নয়া দিল্লি:

ভারত-চিন (India-China) সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমশই বাড়ছে। সোমবার দুই দেশের সেনার মধ্যে পারস্পরিক সংঘর্ষে প্রাণ হারাতে হয়েছে ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ানকে। যেভাবে ক্রমশই এই সীমান্ত সমস্যা (India-China Clash) জটিল আকার ধারণ করছে তাতে উদ্বিগ্ন মোদি সরকার। মঙ্গলবার রাত ১০ টার সময় লাদাখ (Ladakh) পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। গত পাঁচ দশকে বরাবরই চিনের ডি-ফ্যাক্টো সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সমস্যা ছিল। এবার যেন ক্রমশই সেই সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।

লাদাখে চিনা সেনার হামলার ঘটনায় আরও ৪ ভারতীয় সেনার অবস্থা আশঙ্কাজনক, এখনও পর্যন্ত মৃত ২০

এদিকে লাদাখে চিনা সেনার ওই হামলার ঘটনায় আরও ৪ ভারতীয় সেনার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বুধবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতিতে প্রথমে একজন কর্নেল ও দুই ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় এবং "উভয় পক্ষেই বেশ কিছু সেনা হতাহত" হয়েছে একথা বলা হয়। পরে আবার নতুন এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, আশঙ্কাজনক আরও ১৭ জনেরও মৃত্যু হয়েছে। এদিকে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে যে, ক্ষতি এড়াতে পারেনি চিনও। ওই সংঘর্ষে সেদেশে হতাহত কমপক্ষে ৪৩ জন জওয়ান। যদিও চিনের সেনা সূত্র থেকে এব্যাপারে কোনও নিশ্চিত বিবৃতি মেলেনি।

চিন সীমান্তে নিহত সেনা জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

ভারতের তরফ থেকে এই সংঘর্ষের জন্যে চিনকেই দায়ী করা হয়েছে। "চিনা সেনারা একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করেছে", বলা হয় এদেশের তরফে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফেও বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, "সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট দায়িত্বশীল আচরণই করে এসেছে ভারত ৷ ওই এলাকায় যে কার্যকলাপ করা হয়েছে, তার সবটাই ভারতীয় এলাকার মধ্যে করা হয়েছে ৷ চিনের থেকেও আমরা একইরকম ব্যবহারের আশা রাখি আমরা ৷ ভারত সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা এবং যে কোনও সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে বিশ্বাসী ৷ তবে একই সঙ্গে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা বজায় রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে"। ওদিকে চিন আবার ভারতের এই দাবি খণ্ডন করে পাল্টা দাবি করেছে যে ভারতীয় সেনারাই নাকি সীমান্ত অতিক্রম করে ওই দেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে।

এদিকে গোটা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চিনের সঙ্গে ট্রাম্পের দেশের বেশ কিছু বিষয়ে মতবিরোধ ঘটলেও ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখেই চলতে চাইছে আমেরিকা। তাই গোটা পরিস্থিতির যাতে "শান্তিপূর্ণ সমাধান" হয়, তারই প্রত্যাশা করছে তারা।

রাষ্ট্রসংঘও ভারত ও চিন, দুই দেশকেই "সর্বোচ্চ সংযম রাখার" আহ্বান জানিয়েছে।

.