This Article is From Jun 18, 2020

গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে চিনের দাবি "অতিরঞ্জিত এবং অসমর্থনযোগ্য": ভারত

India-China: "এই পরিস্থিতিতে যে আরও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ করা উচিত সেবিষয়ে সম্মত হয়েছে দুই দেশই...", জানান বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব

Galwan Valley Faceoff: লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন মুখোমুখি সংঘর্ষে উভয় পক্ষেরই সেনা হতাহত হয়েছেন

হাইলাইটস

  • সোমবার গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে
  • এই সংঘর্ষের জেরে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়
  • চিন যে দাবি করছে তাকে কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না, বলল বিদেশমন্ত্রক
নয়া দিল্লি:

গালওয়ান উপত্যকা (Galwan Valley) নিয়ে চিন যে দাবি করছে তা "অতিরঞ্জিত এবং অসমর্থনযোগ্য", স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল ভারত। মোদি সরকার বলেছে, সীমান্ত সমস্যা (Eastern Ladakh) সমাধানের লক্ষ্যে গত ৬ জুন যে বৈঠক হয়, তাতে ভারত ও চিনের সামরিক কর্তারা যে সমঝোতায় পৌঁছেছিল, চিনের এই দাবি পুরোপুরি তার বিরোধী। সোমবার ভারত ও চিনের সেনাদের (India China Ladakh) মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ২০ জন ভারতীয় সেনা আত্মবলিদান দিয়েছেন। ওদিকে সংবাদসংস্থা এএনআই জানায় যে, ক্ষতি এড়াতে পারেনি চিনও। ওই সংঘর্ষে সেদেশে হতাহত কমপক্ষে ৪৩ জন জওয়ান। চিনা সেনারা "পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই পদক্ষেপ" নিয়েই সোমবার গালওয়ান উপত্যকায় ওই সংঘর্ষের পরিস্থিতি (Galwan Valley Faceoff) তৈরি করে যার ফলে ২০ জন ভারতীয় সেনা মারা যায়, বুধবার কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়িকে ফোন মারফত একথা বলেন।

লাদাখ সংঘর্ষ নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

পরে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, "আমরা এর আগেও যেমন জানিয়েছি, সেই মতোই আমাদের বিদেশমন্ত্রী চিনের কাউন্সিলর এবং বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে লাদাখের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির বিষয়ে ফোনে কথাবার্তা চালিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে যে আরও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ করা উচিত সেবিষয়ে সম্মত হয়েছে দুই দেশই এবং ৬ জুন সিনিয়র কমান্ডারদের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছিল তা প্রয়োগে সচেষ্ট হওয়া উচিত। অতিরঞ্জিত এবং অসমর্থনযোগ্য এই দাবি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না"।

৪ জি পরিষেবার উন্নতিতে ব্যবহার করা যাবে না চিনা সরঞ্জাম, বিএসএনএল-কে নির্দেশ কেন্দ্রের

সীমান্তে ওই সংঘর্ষের সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে যে, ৬ জুনের সামরিক স্তরের বৈঠকের পর চিন সেনার অধিগৃহীত জমি থেকে ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার কথা ছিল। সেই কাজ খতিয়ে দেখতে শহিদ কর্নেল বিএল সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে এলাকা পরিদর্শনে বেরোয় ভারতীয় বাহিনী। তাঁর সঙ্গে ছিল প্রায় ১০০ জন জওয়ান। এর পরেই তাঁরা ১৫,০০০ ফুট উচ্চতায় গালোয়ান উপত্যকা এলাকা গিয়ে দেখে সেখানে দিব্যি তাঁবুতে ঘাঁটি গেড়ে বসে লালফৌজ। তাঁদের বের করে সেই তাঁবু ভাঙতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কিছু তাঁবুতে। এতেই বিপদ বুঝে কাঠের তক্তা, লোহার রড, কাটা তার জড়ানো বাটাম-সহ আরও চিনা সেনা জড়ো হয় গালোয়ান এলাকায় । শুরু হয় দু'পক্ষের হাতাহাতি ও সংঘর্ষ। আর তাতেই নিহত হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে যে, ক্ষতি এড়াতে পারেনি চিনও। ওই সংঘর্ষে সেদেশে হতাহত কমপক্ষে ৪৩ জন জওয়ান। যদিও চিনের সেনা সূত্র থেকে এব্যাপারে কোনও নিশ্চিত বিবৃতি মেলেনি।

আপাতত, যা পরিস্থিতি তাতে ভারতীয় সেনারা সশস্ত্র অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও, চিনের সেনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে গুলি না চালানোরই সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। তবে কয়েকটি সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে যে, সীমান্তের এই রক্তারক্তি কাণ্ডের পর যাতে ভারতীয় সেনাদের উপর গুলি চালানোর বিষয়ে জারি করা বিধিনিষেধ পুনর্বিবেচনা করা হয় সেবিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কিছু হয়নি।

.