This Article is From Sep 03, 2019

প্রথমে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করব না, বললেন ইমরান খান

Imran Khan: পাকিস্তান (Pakistan) প্রথমে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে না, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার আবহে বললেন ইমরান খান

প্রথমে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করব না, বললেন ইমরান খান
নয়াদিল্লি:

পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) সোমবার বললেন, প্রথমে পরমাণু অস্ত্রের (Nuclear Weapons) ব্যবহার করবে না তাঁর দেশ, এমনটাই খবর সংবাদসংস্থা রয়টার্সের। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্তের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে, তারমধ্যেই এই মন্তব্য পাক প্রধানমন্ত্রীর। লাহোরের পূর্বাংশে শিখ সম্প্রদায়ের একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা দুজনেই পরমাণু অস্ত্রশালী দেশ। যদি এই উত্তেজনা বাড়ে, বিশ্বের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হতে পারে”।

সংবাদসংস্থা রয়টার্সের তরফে তাঁকে উদ্ধৃত করা বলা হয়েছে, “আমাদের দিক থেকে কখনই প্রথম ব্যবহার হবে না”।

ভারতের সঙ্গে আকাশপথ পুরোপুরি বন্ধের কথা ভাবছেন ইমরান খান: পাক মন্ত্রী

কয়েক সপ্তাহ আগেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “প্রথমে ব্যবহার নয়”, এই নীতি বদলের অধিকার আটকে রেখেছে ভারত, কয়েকদশক ধরেই ভারতের পরমাণু নীতির কোণঠাসা নীতি এটি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, সরকার কঠোরভাবে, প্রথমে ব্যবহার না করার নীতিতে রয়েছে, তবে “ভবিষ্যতে কী হবে, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে”।

গত মাসে কাশ্মীর নিয়ে সরকারের পদক্ষেপের পরে, পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবনতি ঘটায় পাকিস্তান, এবং ভারতের রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার করে। পাশাপাশি বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ চেয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারস্থ হয় তারা। একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর, নিরাপত্তা পরিষদের বেশীরভাগ সদস্যই ভারতের অবস্থানের সঙ্গে সহমত হয় যে, কাশ্মীর সমস্যা, ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়।

FATF-এর এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের কালো তালিকায় পাক সন্ত্রাসবাদ

রাষ্ট্রসংঘের এই অবস্থানের পর, ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন ইমরান খান। গত মাসে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সমস্ত আন্তর্জাতিক মঞ্চের দ্বারস্থ হবেন তিনি।

কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেয় পাকিস্তান।

গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক টাইমসে একটি নিবন্ধ লেখেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানেই তিনি লেখেন, ভারতের পদক্ষেপ “কাশ্মীর ও সেখানকার মানুষের প্রতি অপমান”। তিনি আরও দাবি করেন, বিষয়টিতে আন্তর্জাতিক মহল হস্তক্ষেপ না করলে, দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের সামরিক উত্তেজনা আসন্ন।

নিবন্ধটি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সাতটি শব্দে রুঢ়ভাবে উত্তর দেন এবং নিশ্চিতভাবেই শান্তস্বরে। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এটি পড়ার মতো সময় নেই”।

ইমরান খানকে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরামর্শ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের

পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা পুনরায় শুরু করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন তিনি...যেমনটা প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইমরান খান...যেহেতু প্রতিবেশী দেশ তাদের রাস্তা বদল করেছে। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তানের অন্ধকার দিকে হয় না। দিনের আলোয় হয়”। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে অর্থের জোগান দেওয়া এবং নিয়োগ করা বন্ধ করা পর্যন্ত নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের আলোচনার টেবিলে বসার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।

গতমাসে ফ্রান্সে G-7 সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি সাফ জানিয়ে দেন, কাশ্মীর একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। তিনি বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক অনেক বিষয় রয়েছে, আমরা তৃতী. কোনও দেশকে বিরক্ত করতে চাই না। দ্বিপাক্ষিকভাবেই আমরা এগুলো নিয়ে আলোচনা করে মিটিয়ে ফেলতে পারব”।

.