This Article is From Mar 02, 2020

"দিল্লি হিংসা রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট নরহত্যা," কলকাতায় সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী

দিল্লি হিংসাকে "রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট নরহত্যা"র তকমা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূল কংগ্রেসের এক সভায় দিল্লি হিংসার প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

"নিরীহ মানুষের হত্যা দেখে অত্যান্ত মর্মাহত," সোমবার বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

হাইলাইটস

  • দিল্লির হিংসা রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট, অভিযোগ তুললেন মমতা
  • বিজেপি এই নরহত্যার জন্য ক্ষমা চাক! দাবি করেছেন তিনি
  • নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিমের এক দলীয় জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি
কলকাতা:

দিল্লি হিংসাকে "রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট নরহত্যা"র তকমা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূল কংগ্রেসের এক সভায় দিল্লি হিংসার প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। এই ঘটনার (Delhi violence) জন্য বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে তাঁর অভিযোগ, "দিল্লিতে হিংসা বাঁধাতে গুজরাত মডেলকে দত্তক নেওয়া হয়েছিল।" গত রবিবার থেকে টানা ৪ দিন হিংসা দীর্ণ ছিল উত্তরপূর্ব দিল্লি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৫ ছাড়িয়েছে। সেই হিংসায় হত্যা করা হয়েছে নিরীহ নাগরিকদের। এতে আমি খুব মর্মাহত। এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, "আমি মনে করি এটা পরিকল্পিত নরহত্যা (Genocide)। আমি একে নরহত্যা বলছি কারণ এটা প্রথমে রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট ছিল। পরে একে সংঘর্ষের চেহারা দেওয়া হয়েছে।" 

অমিত শাহর সভায় যাওয়ার সময় ‘গোলি মারো' স্লোগান, গ্রেফতার তিন বিজেপি সমর্থক

নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভা থেকে তিনি "গুলি মারো" স্লোগানের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন। অমিত শাহের সভায় উপস্থিত হওয়ার আগে কলকাতায় এই স্লোগান তুলতে দেখা গিয়েছে। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা এদিন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাষ্ট্র মদতপুষ্ট নরহত্যার পিছনে যুক্তি খাড়া করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রের অধীনস্ত। সেখানে পুলিশ, সিআরপিএফ আর সিআইএসএফ, সকলেই ছিল। কিন্তু নীরব দর্শক হিসেবে।" দিল্লি হিংসার জন্য বিজেপি ক্ষমা চাক। এদিন দাবি তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata banerjee) সোমবার দলের নতুন জনসংযোগ কর্মসূচির সূচনা করলেন। এই কর্মসূচির নাম ‘বাংলার গর্ব মমতা' (Banglar Gorbo Mamata)। সামনেই পুরসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচন ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে চোখ রেখেই এই কর্মসূচির পরিকল্পনা। এই কর্মসূচি অনুযায়ী, রাজ্যের লক্ষাধিক তৃণমূল সমর্থক বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁদের বোঝাবেন, রাজ্যের উন্নয়নের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি রাজ্যের সাম্প্রদায়িক ঐক্য বজায় রাখতে এবং পশ্চিমবঙ্গের উন্নতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা কতটা প্রয়োজনীয় বোঝাবেন সেটাও। তৃণমূল কংগ্রেসের সূত্রে এমনটা জানা জানা যাচ্ছে।

.