This Article is From Feb 27, 2020

দিল্লি সংঘর্ষ নিয়ে “দায়িত্বজ্ঞানহীন” মন্তব্য থেকে মার্কিন সংগঠনকে বিরত থাকতে বলল ভারত

বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায়, USCIRF এবং “কয়েকজনের” দিল্লি সংঘর্ষ নিয়ে করা মন্তব্যকে বৃহস্পতিবার “ঘটনাগতভাবে বেঠিক, ভুল বোঝানো” এবং রাজনীতিকরণের চেষ্টা বলে মন্তব্য করে ভারত

দিল্লি সংঘর্ষ নিয়ে “দায়িত্বজ্ঞানহীন” মন্তব্য থেকে মার্কিন সংগঠনকে বিরত থাকতে বলল ভারত

USCIRF এর দাবি, দিল্লিতে সংঘর্ষে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে টার্গেট করা হচ্ছে

ওয়াশিংটন:

দিল্লিতে সংঘর্ষ নিয়ে “গভীর উদ্বেগ” প্রকাশ করে নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য বার্তা দিয়েছে আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক একটি কমিশন (US Commission on International Religious Freedom) । তাদের তরফে বলা হয়, মুসলিমদের ওপর আঘাতের আবহে, ভারত সরকারের উচিত, ধর্মের ঊর্দ্ধে উঠে তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা, পাশাপাশি হিংসার ঘটনা নিয়ে “গভীর উদ্বেগ”ও প্রকাশ করেছে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক সংগঠনটি (USCIRF) । সংখানকার চেয়ারম্যান টনি পার্কিন্স একটি বিবৃতিতে বুধবার বলেন, “আমরা ভারত সরকারকে মুসলিম এবং অন্যান্য আক্রান্তদের রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে বলছি”।

বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায়, USCIRF  এবং “কয়েকজনের” দিল্লি সংঘর্ষ নিয়ে করা মন্তব্যকে বৃহস্পতিবার “ঘটনাগতভাবে বেঠিক, ভুল বোঝানো” এবং রাজনীতিকরণের চেষ্টা বলে মন্তব্য করে ভারত

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার বলেন, “আমরা মার্কিন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন, সংবাদমাধ্যমের একাংশ এবং বেশ কয়েকজন ব্যক্তির দিল্লিতে হিংসা নিয়ে মন্তব্য দেখেছি। এগুলি ঘটনাগতভাবে বেঠিক, ভুল বোঝানো, এবং ইশ্যুকে রাজনীতিকরণের পদক্ষেপ”।

দিল্লিতে হিংসা ছড়িয়ে পড়া এবং ৩৫ জনের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বেরিন স্যান্ডার্স এবং সেখানকার প্রথমসারির বেশ কয়েকজন নেতা।

যদিও ওই সমস্ত নেতাদের সম্পর্কে বিশদে কিছু জানায়নি বিদেশমন্ত্রক, তবে দিল্লি সংঘর্ষ নিয়ে মার্কিন সাংসদদের যাঁরা ভারতের সমালোচক, তাঁদের বলেই মনে করা হচ্ছে।

মার্কিন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, “দিল্লিতে যে সংঘর্ষ চলছে এবং মুসলিমদের ওপর আক্রমণের যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাঁদের বাড়ি, দোকানপাট এবং প্রার্থনাঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা খুবই খারাপ। যে কোনও দায়িত্ববান সরকার সত্ত্বর প্রয়োজন ধর্মের ঊর্দ্ধে নাগরিকদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা”।

আন্তর্জাতি ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশনার অনুরিমা ভার্গব বলেন, দিল্লিতে “নৃশংস এবং উদ্দাম হিংসা চলতে পারে না”। তাঁর কথায়, “তাদের নাগরিকদের অতি সত্ত্বর সুরক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত ভারত সরকারের”। তিনি আরও বলেন, “মুসলিমদের বিরুদ্ধে হামলা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি দিল্লি পুলিশ, এবং নাগরিকদের সুরক্ষার কর্তব্য পালনে ব্যর্থ সরকার”।

অনুরিমা ভার্গবের কথায়, “ভারতে মুসলিমদের বঞ্ছিত করা এবং টার্গেটের মধ্যেই মধ্যেই এই ঘটনা আরও উদ্বেগজনক, এটা আন্তর্জাতিক মানবধিকার নিয়মের পরিপন্থী”।

২০১৯ সালের রিপোর্টে, ভারতকে ধর্মীয় স্বাধীনতায় সহনশীলতা যা, আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের “মতো, চলতি, নির্দিষ্ট অবস্থায় ফেলার জন্য গুরুতর অবস্থা” বলে বর্ণনা করে “দ্বিতীয় স্তরে” রাখে মার্কিন সংগঠনটি।

হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন এবং ইন্দো-মার্কিন মুসলিম কাউন্সিল এই  সংঘর্ষের নিন্দা করে বিবৃতি জারি করেছে। সংগঠনের তরফে সুহাগ শুক্লা বলেন, “আমরা সংঘর্ষ, প্রাণহানি, এবং ভারতে কয়েক সপ্তাহে ঘটে চলা প্রার্থনাঘর ধ্বংসের তীব্র নিন্দা করি। নয়াদিল্লিতে যা হচ্ছে, তার কোনও ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অথবা ঐতিহাসিক যুক্তি নেই”।

ইন্দো-মার্কিন মুসলিম কাউন্সিল “আন্তর্জাতিক মহলকে ভারতে সংখ্যালঘু এবং প্রান্তিকদের ওপর হামলা নিয়ে সরব হওয়ার” আহ্বান জানিয়েছে।

বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, হিংসা এড়াতে এবং শান্তি ও মানুষের মধ্যে মনোবল বাড়াতে ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে আইনবিভাগ।

.