
Nizamuddin: তবে তাবলিগি জামাত দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করেছে, একথাও বলেন ওমর আবদুল্লা (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- দিল্লির মসজিদ থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোয় অনেকে মুসলিমদের দোষারোপ করছেন
- "এটা মুসলিমদের দোষারোপ করার অজুহাত মাত্র", বললেন ওমর আবদুল্লা
- "যেন মুসলিমরাই করোনা ভাইরাস তৈরি করেছে ও বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে", কটাক্ষ
দিল্লির নিজামুদ্দিন (Nizamuddin) মসজিদে তাবলিগি জামাতের আয়োজনে যে ধর্মীয় সমাবেশ হয়েছিল তা থেকেই প্রচুর মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাস (Coronavirus) ছড়িয়ে পড়িয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর যখন গোটা দেশ বিচলিত, ঠিক সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা দাঁড়ালেন বৃহত্তর মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশেই। এই একটি ঘটনা দিয়ে "মুসলিমদের বদনাম করার সুযোগ" খুঁজছেন অনেকেই, বললেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওই নেতা (Omar Abdullah)। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মতে, হ্যাশট্যাগ দিয়ে যাঁরা "তাবলিগি ভাইরাস" টুইট করছেন সেটা দেশের পক্ষে করোনা ভাইরাসের থেকে "আরও বিপজ্জনক" হতে পারে। কেননা একটি প্রাকৃতিক ভাইরাস একটা সময়ের পর ধ্বংস হয়ে যায়, কিন্তু এই ধরণের বিদ্বেষ বড় ছাপ ফেলে রেখে যায় সমাজে।
ওমর আবদুল্লা টুইট করেন, "এখন # তাবলিগি জামাত কারও কারও কাছে সব জায়গায় মুসলিমদের বদনাম করার জ্ন্যে একটি বড়সড় অজুহাত হয়ে উঠবে, যেন আমরাই #COVID তৈরি করেছি এবং বিশ্ব জুড়ে ওই ভাইরাস ছড়িয়ে দিচ্ছি"।
দিল্লির মসজিদের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া তেলেঙ্গানার ৬ জনের করোনায় মৃত্যু
যদিও এর পাশাপাশি তাবলিগি জামাতের সমালোচনা করেও তিনি লেখেন, "প্রথম দর্শনে যদিও এটাই মনে হচ্ছে যে এই ঘটনা # তাবলিগি জামাতের দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপেরই ফল, তবে এটাও ঠিক যে, এই ধরণের সমাবেশ তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। তবে ভারতের বেশিরভাগ মুসলমানরাই কিন্তু সরকারি নির্দেশিকাগুলি মানছেন এবং অন্যদের সেই নির্দেশ মেনে চলারই পরামর্শ দিচ্ছেন"।
For the record this was the statement put out by them clarifying their position & the steps taken by them. The stink of communalism in a lot of the criticism is nauseating. pic.twitter.com/htTJb1z1MM
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) March 31, 2020
Now the #TablighiJamat will become a convenient excuse for some to vilify Muslims everywhere as if we created & spread #COVID around the world.
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) March 31, 2020
People tweeting stuff with hash tags like Tablighi virus are more dangerous than any virus nature could ever conjure up because their minds are sick while their bodies may very well be healthy.
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) March 31, 2020
দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদের ওই অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেওয়া ৯১ জন মানুষের শরীরে ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের প্রমাণ মিলেছে। তাঁরা ১ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত আযোজিত ওই সমাবেশে যোগ দিয়েই ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ধর্মীয় সমাবেশে যোগদানকারীদের মধ্যে ৭ জনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে এক বিবৃতিতে দিল্লির পশ্চিম নিজামুদ্দিনে তবলিগ-ই-জামাতের "মার্কাজ" কর্তৃপক্ষ আত্মপক্ষ সমর্থন করে জানিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী মোদি ২২ মার্চ "জনতা কারফিউ" ঘোষণা করার পরে এই অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে ওই মসজিদ চত্বরে প্রচুর মানুষের জমায়েত ছিল। তাঁরা ওই কারফিউয়ের কারণে আটকা পড়ে। তাঁদের আর অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না। আর এরপরেই শুরু হয়ে যায় দেশ জুড়ে লকডাউন। তাই বাধ্য হয়েই মসজিদ সংলগ্ন এলাকাতেই গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকতে বাধ্য হন ওই মানুষজন।
দেশে অমিল করোনা সুরক্ষা কিট, এর মধ্যে সার্বিয়াকে চিকিৎসা সামগ্রী রফতানি ভারতের!
ভারতে করোনা ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১,৩৯৭ জন। ওই মারণ ভাইরাসের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ জন মানুষ।