This Article is From Apr 28, 2020

খুব সামান্য করোনা লক্ষণ যুক্ত রোগীদের বাড়িতেই পর্যবেক্ষণে রাখা যেতে পারে, পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

Coronavirus India: হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা করোনা রোগীদের নিয়মিত সরকারি করোনা নজরদারি আধিকারিক ও স্থানীয় হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে

Coronavirus in India: ২৪x৭ দিনই করোনা আক্রান্তের সেবায় একজন স্বাস্থ্যকর্মীর বহাল থাকা প্রয়োজন

হাইলাইটস

  • হোম আইসোলেশনে থাকা নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
  • আরোগ্য সেতু অ্যাপের দিকে সব সময় নজর রাখার কথা বলা হয়েছে সেখানে
  • একজন দেখভালকারীকে রোগীর দিকে ২৪x৭ দিনই নজর রাখতে হবে
নয়া দিল্লি:

যাঁদের শরীরে সবেমাত্র করোনার (Coronavirus Pandemic) উপসর্গ দেখা দিয়েছে এবং সেই উপসর্গ যদি খুবই সামান্য হয় তবে তাঁদের নিজেদের বাড়িতেই (Home Isolation) পরিবারের অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। করোনা ভাইরাসের (Coronavirus in India) সংক্রমণ রোধে হোম কোয়ারান্টাইন বিষয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে তারা। স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছে, যাদের করোনা সংক্রমণের খুব সামান্য লক্ষণ রয়েছে তারা আসলে "প্রি-সিমটোম্যাটিক" বা "প্রাক-লক্ষণ যুক্ত"। এই সামান্য লক্ষণ চোখে পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে তাঁর নিজের ঘরের মধ্যে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা উচিত। বেশ কিছুদিন এভাবেই তাঁদের আলাদা রাখলেই ওই ব্যক্তির থেকে নতুন করে আর তাঁর পরিবারের অন্য কারোও শরীরে করোনা সংক্রমণ ছড়াবে না। যারা COVID-19 পজিটিভ তাঁদের যদি আগে থেকেই নিজেদের বাড়িতে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয় এবং তারপর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তাহলে করোনার জেরে গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়ানো যাবে।

"শুধু ভাষণ নয়, রেশনও দিন": কেন্দ্রকে কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সরকার জানিয়েছে যে "খুব হালকা / প্রাক-লক্ষণজনিত রোগী" যাদের নিজের ঘরে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখার সুযোগ রয়েছে তাঁরা তা থাকতে পারেন। তবে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা করোনা রোগীদের নিয়মিত সরকারি করোনা নজরদারি আধিকারিক ও স্থানীয় হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে এবং তার পাশাপাশি ওই সংক্রান্ত চুক্তিতেও স্বাক্ষর করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, রোগীদের অবশ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করতে হবে এবং এটায় দেওয়া নির্দেশের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মুম্বইয়ে করোনায় মৃত ৩ পুলিশ কর্মী, ৫৫ বছরের বেশি বয়সী কর্মীদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ

হোম আইসোলেশনে থাকার যোগ্য কারা?

  • সেই সব রোগীই বাড়িতে স্বেচ্ছা-বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে পারবেন যাঁদের শরীরে করোনার খুবই সামান্য উপসর্গ বা প্রাক লক্ষণ রয়েছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই তাঁকে এই কাজটি করতে হবে।
  • সামান্য উপসর্গ বা প্রাক লক্ষণ যুক্ত করোনা রোগীরা তখনই বাড়িতে হোম আইসোলেশনে থাকতে পারবেন যখন সরকারি তরফে খতিয়ে দেখা হবে যে ওই ব্যক্তির বাড়িতে পরিবারের সকলের থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার জন্যে প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্য়বস্থা রয়েছে।
  • ২৪x৭ দিনই করোনা আক্রান্তের সেবায় একজন স্বাস্থ্যকর্মীর বহাল থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি বাড়িতে স্বেচ্ছাবিচ্ছিন্ন থাকাকালীনও ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়মিত স্থানীয় হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে হবে।
  • যিনি ওই রোগীর দেখভালের দায়িত্বে থাকবেন তাঁকেও যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের পরামর্শ মেনে প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন প্রোফিল্যাক্সিস খেতে হবে।
  • মোবাইল ফোনে সরকারের আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করতে হবে। ওই নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনটি ব্লুটুথ এবং ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে সবসময় চালু অবস্থায় রাখতে হবে।
  • রোগীকে তাঁর স্বাস্থ্যের উপর নজরদারিতে সম্মতি দিতে হবে এবং নজরদারি দলগুলিকে নিয়মিত ফলোআপ দেওয়ার জন্যে করোনা সংক্রান্ত জেলা নজরদারি আধিকারিককে নিজের স্বাস্থ্যের খুঁটিনাটি সব জানাতে হবে। 
  • রোগীকে স্ব-বিচ্ছিন্নকরণ অবস্থায় থাকার সময় সরকারি সব নির্দেশ মেনে চলতে হবে এবং অবশ্যই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া হোম কোয়ারেন্টাইন গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।

রোগীর কখন চিকিৎসকের নিয়মিত নজরদারিতে থাকা উচিত?

করোনা আক্রান্ত রোগী বা তাঁর দেখভালকারী যদি মনে করেন যে ওই ব্যক্তির শরীরে COVID- 19 এর গুরুতর লক্ষণ দেখা দিচ্ছে তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের নজরদারিতে থাকা উচিত। যেসব লক্ষণগুলো গুরুতর সেগুলো হল:
 

  • শ্বাস নিতে অসুবিধা
  • বুকে ক্রমাগত ব্যথা / চাপ অনুভব হওয়া
  • মানসিক বিভ্রান্তি বা ঝিমিয়ে পড়তে শুরু হওয়া
  • ঠোঁট / মুখ নীল বর্ণ হয়ে যাওয়া বা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া
  • যে চিকিৎসা আধিকারিকের পরামর্শ মেনে সেল্ফ আইসোলেশনে আছেন, অবস্থা গুরুতর দেখে তিনি যদি হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন

হোম আইসোলেশনে থাকা কখন বন্ধ করে দিতে হবে?

যদি দেখা যায়, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে বাড়িতে থাকা ও ওষুধ খাওয়ার পর রোগীর শরীরে সংক্রমণজনিত কোনও লক্ষণ নেই এবং ল্যাব টেস্ট করার পরে নজরদারি মেডিকেল অফিসার যদি রোগীকে সংক্রমণমুক্ত বলে ঘোষণা করে সার্টিফিকেট দেন, তবেই হোম আইসোলেশন থেকে বেরিয়ে আসা যাবে।

.