This Article is From Apr 26, 2020

লকডাউনে বাড়ি ফিরতে মরিয়া, রাতারাতি সবজি ব্যবসায়ী হলেন বিমানকর্মী

ওই ব্যক্তি কিনে ফেলেন ২৫,৫২০ কেজি পেঁয়াজ। প্রতি কেজির দাম পড়ে ৯.১০ টাকা। সব মিলিয়ে তাঁকে দিতে হয় ২.৩২ লক্ষ টাকা।

লকডাউনে বাড়ি ফিরতে মরিয়া, রাতারাতি সবজি ব্যবসায়ী হলেন বিমানকর্মী

২.৩২ লক্ষ টাকা খরচ করে পেঁয়াজ কেনেন ওই ব্যক্তি।

এলাহাবাদ:

লকডাউনে (Lockdown) স্তব্ধ দেশের জনজীবন। এই অবস্থায় কেমন করে মুম্বই থেকে এ‌লাহাবাদ পৌঁছনো সম্ভব? সমস্যা নেই। ২৫ টন পেঁয়াজ (Onion) কিনুন। একটি ট্রাকে তা ভর্তি করে ‌নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন পথে। এলাহাবাদের প্রান্তিক স্থানে অবস্থিত নিজের গ্রামে ফিরতে মরিয়া প্রেমমূর্তি পাণ্ডে নামের এক ব্যক্তি এমনই কাণ্ড করে বসলেন। তিনি মুম্বই (Mumbai) বিমান বন্দরের কর্মী। লকডাউনের প্রথম পর্যায়টা মুম্বইতেই কাটিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরই বুঝতে পারেন, লকডাউন আরও কিছুটা সময় চলবে। তখনই তিনি পরিকল্পনা করেন বাড়ি ফেরার। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘‘আসলে আন্ধেরির পূর্বদিকে আজাদ নগরে যেখানে আমি থাকতাম সেটা একটা জনবহুল এলাকা। ফলে সেখানে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও বেশি।'' 

‘মন কি বাত': প্রধানমন্ত্রী জানালেন মাস্ক হয়ে উঠেছে সভ্যতার প্রতীক

বাস-ট্রাম চলছে না। বিমান পরিষেবাও বন্ধ। করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের নিয়ম মেনেই স্তব্ধ গোটা দেশের জনজীবন। এই অবস্থায় বাড়ি ফিরতে অভিনব পরিকল্পনা করেন প্রেমমূর্তি। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘আমি অনুভব করেছিলাম সরকার কেবল একটা রাস্তাই খোলা রেখেছে।'' আসলে অত্যাবশ্যক পণ্যের সরবরাহে কোনও বাধা নেই, এই কথাই প্রেমমূর্তির মনে আশার আলো জাগিয়ে তুলেছিল।

কেবল পেঁয়াজই নয়, ১,৩০০ কেজি তরমুজও কিনে ফেলেন তিনি। এরপর ১৭ এপ্রিল নাসিকের কাছে পিম্পলগাঁওয়ের এতটি ছোট ট্রাক ভাড়া করেন। ১০,০০০ টাকা দিয়ে তরমুজ কিনে তিনি ট্রাকটি মুম্বই পাঠান। ততক্ষণে মুম্বইয়ে এক বিক্রেতার সঙ্গে চুক্তি হয়ে গিয়েছে তাঁর।

২৬,০০০ পেরোল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ২৭টি জেলাতেই ৬৮.২ শতাংশ সংক্রমণ: ১০ তথ্য

এরপর তিনি বেরিয়ে পড়েন পেঁয়াজের খোঁজে। কিনে ফেলেন ২৫,৫২০ কেজি পেঁয়াজ। প্রতি কেজির দাম পড়ে ৯.১০ টাকা। সব মিলিয়ে তাঁকে দিতে হয় ২.৩২ লক্ষ টাকা।

এৱপর ৭৭,৫০০ টাকা খরচ করে একটি ট্রাক ভাড়া করে ২০ এপ্রিল রওয়ানা দেন তিনি। গন্তব্য ১,২০০ কিমি দূরের এলাহাবাদ।

২৩ এপ্রিল তিনি সেখানে পৌঁছে সরাসরি চলে যান মুন্দেরা পাইকারি বাজারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এমন কাউকেই তিনি খুঁজে পাননি যিনি ওই পেঁয়াজ কিনবেন। অগত্যা সব নিয়েই তিনি চলে আসেন তাঁর গ্রাম কোতোয়া মুবারকপুরে। কিন্তু পেঁয়াজ সেখানেও বিক্রি হয়নি।

টিপি নগরের পুলিশ পোস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত অরবিন্দকুমার সিংহ জানাচ্ছেন, প্রেমমূর্তি ধুমানগঞ্জ থানায় আসেন শুক্রবার। তাঁকে পরীক্ষা করে মেডিক্যাল টিম। এরপর তাঁকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়।

প্রেমমূর্তির আশা, পেঁয়াজগুলি ঠিকই বিক্রি হবে। কেউ না কেউ সেগুলি ঠিকই কিনবেন।

তিনি জানাচ্ছেন, এই মুহূর্তে মধ্যপ্রদেশের সাগর থেকে আসা পেঁয়াজে এখন ভর্তি রয়েছে সেখানকার বাজার। সেটা ফুরোলেই নাসিকের পেঁয়াজের ক্রেতা তিনি পেয়ে যাবেন।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.