This Article is From Mar 16, 2020

দেশে করোনা সংক্রমণ রুখতে যে ৫টি পদক্ষেপ অবিলম্বে করা উচিত

বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও ভাবে দেশে হঠাৎই হাজার হাজার মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এবং সেক্ষেত্রে তা জানাও যাবে না।

দেশে করোনা সংক্রমণ রুখতে যে ৫টি পদক্ষেপ অবিলম্বে করা উচিত

Coronavirus:দেশে শতাধিক মানুষ এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাসে। (ফাইল)

নয়াদিল্লি:

বহু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের দাবি, করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের রুখতে ভুল করছে ভারত। তাঁদের বক্তব্য, ভারতে যথেষ্ট পরিমাণে মানুষকে পরীক্ষা করা হচ্ছে না। তাঁদের মতে, যে কোনও ভাবে দেশে হঠাৎই হাজার হাজার মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এবং সেক্ষেত্রে তা জানাও যাবে না। এবং তখন ওই সংক্রমণের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সংস্পর্শে লাফিয়ে বাড়তে পারে সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা। দক্ষিণ কোরিয়া যেভাবে করোনা সংক্রমণ রুখতে পদক্ষেপ করেছে, তার অন্যতম কারণ হল সেদেশে বিপুল সংখ্যক মানুষের শরীরে করোনার পরীক্ষা করা হয়েছে।

করোনা রুখতে ভারতের যে সব পদক্ষেপ অবিলম্বে করা দরকার রইল সেগুলি—

 ১) পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হোক বেসরকারি ক্ষেত্রকেও। এখনও পর্যন্ত বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিকে ১৮৯৬ সালের আইন মেনে পরীক্ষা নেওয়া থেকে বিরত রেখেছে সরকার। প্রসঙ্গত, সে সময় প্লেগ সংক্রমণ রুখতে ওই আইন করা হয়েছিল।

২) বিদেশে ব্যবহৃত বহু ‘টেস্টিং কিট' এদেশে ব্যবহার করা হচ্ছে না। আমেরিকা ও ইউরোপে ওই সব কিট ব্যবহার করে করোনা সংক্রমণের পরীক্ষা করা হচ্ছে।

৩) সরকারি হাসপাতালে মানুষের লাইন দেওয়ার বিষয়টি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এইভাবে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। বরং পরীক্ষার ক্ষেত্রে অসুস্থ ব্যক্তির বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা যেতে পারে। এর জন্য বিপুল সংখ্যক সংগ্রাহকের প্রয়োজন। ফলে সেটা করতে গেলে বেসরকারি ক্ষেত্রকে এর অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

৪  পরীক্ষা অবশ্যই বিনামূল্যে করা উচিত। সেজন্য সরকারকে অবিলম্বে বিরাট পরিমাণে তহবিল গঠন করতে হবে। 

৫)  বেসরকারি হাসপাতালে সংক্রামিত ব্যক্তির ভর্তি হওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া উচিত সরকারের। প্রকৃতপক্ষে সরকারের উচিত বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড গড়ে তোলার ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া এবং সেখানে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভর্তি হওয়ার অনুমতি দেওয়া।

.