This Article is From Apr 08, 2020

"মোদি সত্যিই দুর্দান্ত": আমেরিকাকে ভারত ওষুধ পাঠাবে বলায় খুশি ডোনাল্ড ট্রাম্প

Coronavirus: আপাতত হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইনের মোট ২৯ মিলিয়ন ডোজ গুজরাটের তিনটি কারখানা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে

Donald Trump with PM Modi: ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সুসম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন ট্রাম্প

হাইলাইটস

  • আমেরিকাকে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন রফতানি করার সিদ্ধান্ত ভারতের
  • আর তাতেই দারুণ খুশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
  • ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরলেন তিনি
নয়া দিল্লি:

হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন না পাঠালে ভারতকে দেখে নেবে আমেরিকা, দু'দিন আগেই অনেকটা এরকম হুমকি দেওয়ার পরেই হঠাৎ পাল্টি খেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন রফতানি করবে এই ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গেল মার্কিন সর্বেসর্বাকে (Donald Trump)। "মোদি সত্যিই একজন দুর্দান্ত ব্যক্তি", এমন তারিফের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক বোঝাপড়া যে কতটা ভালো তাও বোঝানোর চেষ্টা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সম্প্রতি ভারতবর্ষে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইনের (Hydroxychloroquine) রফতানির উপরে থাকা বিধিনিষেধ সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই আবেদনে সাড়া দেয় ভারত।

করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে গোটা বিশ্বে। এই রোগে (Coronavirus) বেসামাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, স্পেন সহ অন্যান্য বহু দেশ। এবার ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশগুলোর মধ্যে কিছু দেশে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন রফতানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। এরপরেই এই বিষয়ে নিজেদের সন্তোষ প্রকাশ করলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তহবিল ব্লক করে দেওয়ার হুমকি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আপাতত হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইনের মোট ২৯ মিলিয়ন ডোজ গুজরাটের তিনটি কারখানা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।  নিশ্চিতভাবে এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সুর নরম করেন ট্রাম্প। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৪ লক্ষ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং ১৩,০০০ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে সেদেশে।

2dgcoqes

নিউইয়র্কের কমপক্ষে ১,৫০০ করোনা আক্রান্তের উপর হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন ড্রাগ প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত

"আমি কয়েক মিলিয়ন ডোজ কিনেছি ... ২৯ মিলিয়নেরও বেশি। আমি প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র) মোদির সঙ্গেও এই নিয়ে কথা বলেছি, এই ওষুধের বেশিটাই ভারত থেকে এসেছে। আমি তাঁকে আগেই এবিষয়ে অনুরোধ করেছিলাম। সত্যিই উনি দুর্দান্ত মানুষ। প্রকৃতঅর্থেই ভাল উনি", মার্কিন চ্যানেল ফক্স নিউজকে এই কথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

অথচ সোমবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প বলেন, “ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খুব সহযোগিতা করছে এবং আমি এমন কোনও কারণ দেখতে পাচ্ছি না যাতে তারা আমেরিকায় প্রয়োজনীয় ওষুধের রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। আমি রবিবার সকালেও প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমি বলেছি যে আপনি যদি হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন সরবরাহের ব্যবস্থা করে দেন তবে আমরা সেই পদক্ষেপের সম্মান করব। আর যদি সরবরাহের অনুমতি না দেন, তাহলেও ঠিক আছে! কিন্তু হ্যাঁ, আমাদের থেকেও এরপর এমনই ব্যবহার পাবেন এটাও জেনে রাখুন।”

লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে সিদ্ধান্ত শনিবার? সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী

এরপরেই কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, COVID-19 মহামারীর প্রভাব দেখে ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সংহতি ও সহযোগিতা বজায় রাখবে দেশ। করোনা ভাইরাস থেকে নিরাময়ে সক্ষম প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হবে অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতেও।

"গোটা বিশ্বে এই মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে। এই সময় মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ভারত নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বেশ কিছু প্রতিবেশী দেশে উপযুক্ত পরিমাণে প্যারাসিটামল এবং হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন সরবরাহ করবে। আমরা এমন কিছু দেশকেই এই প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করব যারা এই মহামারীতে খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সুতরাং আমরা এই বিষয় নিয়ে কোনও জল্পনা চাইছি না। আবার এই বিষয়টি নিয়ে কোনও রাজনীতি করা হোক এমনটাও চাইছি না আমরা", বলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র শ্রীবাস্তব।

যদিও মোদি সরকারের এই ওষুধ রফতানির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন বিরোধীরা। সরকারকে প্রথমে ভারতীয়দের প্রয়োজনকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত একথাও বলে কংগ্রেস সহ অন্য বিরোধী দলগুলো।

রাহুল গান্ধি টুইট করেন, "এই সময় বন্ধুত্ব বজায় রাখার বা প্রতিশোধ নেওয়ার সময় নয়। ভারতকে অবশ্যই প্রয়োজনের সময় সমস্ত দেশকে সহায়তা করতে হবে তবে প্রথমে জীবনদায়ী এই ওষুধগুলো যাতে দেশের মানুষের জন্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে, সেই বুঝেই এই ওষুধ বাইরের দেশে সরবরাহ করা উচিত"।

.