This Article is From Nov 08, 2018

আবর্জনা থেকে বিষাক্ত ধোঁয়া, নাজেহাল বাসিন্দারা, কলকাতার আদর্শ নগর যেন দিল্লি!

দিল্লির বায়ু দূষণ ক্রমশ চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। দিল্লির চেয়ে  দেশের অন্য মেট্রো শহর গুলির পরিস্থিতি এ দিক থেকে অনেকটা ভাল।

বাসিন্দাদের অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে  এলাকা ত্যাগ করার কথা ভাবছেন

হাইলাইটস

  • দিল্লির বায়ু দূষণ ক্রমশ চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে
  • উত্তর শহরতলির আদর্শ নগরের ড্যাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা ফেলা হয়
  • 10 বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ড্যাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে
কলকাতা:

দিল্লির বায়ু দূষণ ক্রমশ চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। দিল্লির চেয়ে দেশের অন্য মেট্রো শহর গুলির পরিস্থিতি এ দিক থেকে অনেকটা ভাল। তবে কলকাতার আদর্শ নগর ব্যতিক্রম।  উত্তর শহরতলির এই এলাকার ড্যাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা ফেলা হয়।  আশাপাশের পাঁচটি পুরসভা এলাকা থেকে আসা এই  সমস্ত আবর্জনা থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে  দীর্ঘদিন ধরে। চরম সমস্যায় স্থানীয় বাসিন্দারা।  10 বছরেরও বেশি সময় ধরে 10 হাজার বাসিন্দা আবর্জনা থেকে  ছড়ানো দূষণ থেকে মুক্তির পথ খুঁজে চলেছেন। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অন্য সমস্যা। জমে থাকা আবর্জনায় মাঝে  মধ্যে  আগুন লেগে যাচ্ছে। তা থেকে ছড়াচ্ছে  দূষণ। বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢাকা পড়ছে চারপাশ।

ccmtaia4

কথা হচ্ছিল এলাকার এক প্রবীণ নাগরিকের সঙ্গে। তাঁর মতে এই এলাকা বসবাসের অযোগ্য। বাকি অনেকই বললেন  দূষণের জন্য চামড়ায় নানা রকম রোগ হচ্ছে।  কেউ আবার চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে  এলাকা ত্যাগ করার কথা  ভাবছেন।

 গত 50  বছর  ধরে 20 একর জায়গা জুড়ে আবর্জনা ফেলা  হচ্ছে। দমদম, দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদমম বরানগর এবং নিউ ব্যারাকপুর পুরসভা এই ড্যাম্পিং গ্রাউন্ডের ব্যবহার করে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা  গ্রিন নাগরিক বিষয়টি পুরসভার নজরে নিয়ে আসে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকেও উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করে। কিন্তু সুরাহা না হওয়ায়  2016 সালে ন্যাশনাল  গ্রিন ট্রাইবুনালে দায়ের হয় মামলা। 2017 সালের মে মাসে রায় দেয় ট্রাইবুনাল।  তাতে রাজ্য সরকারের  সমালোচনা করা হয়।  তারপর এই ড্যাম্পিং গ্রাউন্ডে বায়োগ্যাস ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরির কথা  ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। এ বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে  কাজ শেষ হয়ে  যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজে তেমন অগ্রগতি নেই। ফলে  ওই সময়ের মধ্যে  ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট  তৈরি করা  যাবে কি না  তা  নিয়ে  সংশয় আছে। দূষণের প্রকোপ কামতে  ড্যাম্পিং গ্রাউন্ডের দুপাশে দেওয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাসিন্দারা  বলছেন তা  দিয়ে আর যাই হোক দূষণ  কমানো সম্ভব নয়।

.