This Article is From Apr 19, 2019

জেলে তাঁর ওপর অত্যাচারের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সাধ্বী প্রজ্ঞা

১২ মে ভোট রয়েছে ভোপালে। সাধ্বী প্রজ্ঞা তাঁর মনোনয়পত্র জমা দেবেন ২৩ এপ্রিল। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে তিনি বারবার কেবল তাঁর ওপর হওয়া অত্যাচারের কথাই বলে গেলেন।

জেলে তাঁর ওপর অত্যাচারের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সাধ্বী প্রজ্ঞা

২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ-কাণ্ডে তাঁকে ফাঁসিয়েছে কংগ্রেস, বললেন সাধ্বী প্রজ্ঞা

নিউ দিল্লি:

জেলে তাঁর ওপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছে, এই কথা বলতে গিয়ে রীতিমত কান্নায় ভেঙে পড়লেন মালেগাঁও বিস্ফোরণের অভিযুক্ত ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। বুধবারই বিজেপিতে যোগ দিলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর এবং তারপরই ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা করা হয় তাঁর। তাঁর বিজেপিতে যোগদানের পরই তা নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। তাদের বক্তব্য, শুধুমাত্র ভোটে ফায়দা তোলার জন্যই এমন একজন সন্ত্রাসবাদী হানায় অভিযুক্তকে দাঁড় করালো বিজেপি। ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ-কাণ্ডে তাঁকে ফাঁসিয়েছে কংগ্রেস, এ কথাও বৃহস্পতিবার বলেন ৪৯ বছর বয়সী সাধ্বী প্রজ্ঞা। মসজিদের সামনে হওয়া ওই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় সাতজন ব্যক্তির। আহত হন ১০০ জনেরও বেশি।

প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী, বললেন ফিরদৌস আহমেদ

টানা ন'বছর জেলে ছিলেন তিনি। আপাতত স্বাস্থ্যের কারণে জেলের বাইরে। তাঁর নির্বাচনে লড়াই করার খবর পেয়েই মালেগাঁও বিস্ফোরণে নিহতের বাবা আদালতে গিয়ে একটি পিটিশন দাখিল করেন এবং বলেন, “স্বাস্থ্যের কারণে জেলের বাইরে নিয়ে আসা হল সাধ্বী প্রজ্ঞাকে, অথচ, মজার ব্যাপার, এই এত সাংঘাতিক গরমেও তাঁর নির্বাচনে লড়তে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না! এর মানে, তিনি আদালতকে ভুলপথে চালিত করার চেষ্টা করছেন”।

১২ মে ভোট রয়েছে ভোপালে। সাধ্বী প্রজ্ঞা তাঁর মনোনয়পত্র জমা দেবেন ২৩ এপ্রিল। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে তিনি বারবার কেবল তাঁর ওপর হওয়া অত্যাচারের কথাই বলে গেলেন।

“আমাকে বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছিল। তারপর জেল হেফাজতে রেখে দেওয়া হল ১৩ দিনের জন্য। প্রথম দিন থেকেই ওরা আমাকে প্রবলভাবে মারতে শুরু করল। যখন বেল্ট দিয়ে মারত, আমার গোটা স্নায়ুতন্ত্র অবশ হয়ে যেত। প্রতি দিন এবং রাতে নিয়ম করে নির্মমভাবে মারধর করত আমায়। ওরা চাইত, আমি সেই মারের মুখে স্বীকার করে নিই যে, ওই বিস্ফোরণে আমার হাতও রয়েছে। সারারাত ধরে মারত। সেটা চলত ভোর অবধি। অত্যাচারীদের মুখ বদলে যেত, কিন্তু, অত্যাচারটা বদলাত না”।

তিনি বলে যেতেই থাকেন, “যখন মারতে মারতে ওদের মনে হত, এবার আমার হাত থেকে রক্ত বেরিয়ে আসতে পারে, তখনই ভয়ে থেমে যেত। তারপর গরম জলে নুন মিশিয়ে এনে তাতে আমার হাতটা চুবিয়ে রাখত। যাতে তারপর হাতটা নরম হয়ে গেলে আবার ওই অত্যাচার শুরু করতে পারে”। তিনি আরও দাবি করেন, বহু নারকো টেস্ট ও পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য তাঁকে ক্যানসারের চিকিৎসাও করাতে হয়েছিল।

প্রচারে অংশগ্রহণ: 'ভারত ছাড়ো' নোটিস দেওয়া হল আর এক বাংলাদেশি অভিনেতাকে

তাঁর কথায়, “কংগ্রেস সবসময়ই হিন্দুত্বকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে। হিন্দুত্বে যারাই বিশ্বাসী, তারাই ওদের চোখে সন্ত্রাসবাদী। একজন মহিলার ওপর অত্যাচার করতেও ওদের অসুবিধা হয় না। আমি আপনাদের কাছে আমার কষ্টের কথা মনে করতে চাইছি না। কেবল চাইছি, আর কোনও বোনকে যেন এমন অত্যাচারের শিকার না হতে হয়”।

মালেগাঁও বিস্ফোরণের প্রধান অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞাকে ২০১৫ সালে এনআইএ ‘ক্লিনচিট' দিলেও আদালত তাঁকে ছাড়তে রাজি হয়নি। এনআইএ জানিয়েছিল, সাধ্বী প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পায়নি তারা। সেই দাবি খারিজ করে আদালত জানায়, যেহেতু বিস্ফোরণের সময় তাঁর মোটরবাইকটি ব্যবহার করা হয়েছিল, তাই তাঁকে এত সহজে ‘নিরপরাধ' বলে মেনে নেওয়া যায় না।   

.