This Article is From Mar 18, 2020

"রাজ্যসভার গড় বয়স ৬৪", করোনার জেরে সংসদের অধিবেশন বন্ধ রাখার অনুরোধ ডেরেক ও'ব্রায়েনের

Coronavirus: "এই পরিস্থিতিতে এখনও কেন সংসদ চলছে? প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করুন, এর সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের কোনও যোগসূত্র আছে কি?" প্রশ্ন তৃণমূল সাংসদের

Derek O'Brien: সংসদ বন্ধ করে দেওয়া হলে তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই, বলেন তৃণমূল সাংসদ

হাইলাইটস

  • করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বন্ধ রাখা হোক সংসদ, সওয়াল ডেরেকের
  • প্রধানমন্ত্রী কেন সংসদ বন্ধের কথা বলছেন না, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তিনি
  • প্রধানমন্ত্রী যদিও বলেছেন সংসদ চলবে
নয়া দিল্লি:

করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ রোধে যখন দেশে একের পর এক পাবলিক প্লেস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, তখন সংসদ (Parliament) কেন এখনও কার্যকর থাকবে তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। রাজ্যসভার (Rajya Sabha) গড় বয়স যেখানে ৬৪ সেখানে কেন এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি (Derek O'Brien)। "এই পরিস্থিতিতে এখনও কেন সংসদ চলছে? প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করুন, এর সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের কোনও যোগসূত্র আছে কি?" প্রশ্ন ওই তৃণমূল সাংসদের। মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ সরকারকে আস্থা ভোটের জন্যে লাগাতার চাপ দিচ্ছে বিজেপি। এদিকে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ২৬ মার্চ পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির দাবি আস্থা ভোট পিছোনোর জন্যেই বিধানসভা স্থগিত করে দিয়েছেন কমল নাথ। মধ্যপ্রদেশের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এই বিষয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন,"করোনা ভাইরাসও পারবে না কমলনাথ সরকারকে বাঁচাতে"।

করোনা আতঙ্ক? বিজেপি কর্মীদের মিছিল করতে বারণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন সংসদ বন্ধ করাও আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "এটা কোনও ৫৬ ইঞ্চি বুকের ছাতি দেখানোর জায়গা নয়। আপনি একদিকে বলছেন যে বড় কোনও জমায়েত করবেন না। অন্যদিকে সংসদ চলছে। আমাদের মধ্যে ৩ ইঞ্চিও ফারাক নেই। শুধু সাংসদরাই নন নিরাপত্তা কর্মী, প্রবীণ আমলা, সহায়তা কর্মীরাও এখানে রয়েছেন"।

করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান "স্টেজ টু", এর মানে কী? জানুন...

ডেরেকের দাবির পাল্টা দাবি ওঠে যে, এই পরিস্থিতিতে সংসদও যদি বন্ধ করে দেওয়া হয় তবে দেশে আর বেশি করে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে। সেই যুক্তি নস্যাৎ করে দিয়ে তিনি বলেন, "করোনা ভাইরাসই হোক বা রেলপথ, যাইই হোক না কেন, সরকারের কাছে সবসময় সবকিছুর জবাব থাকতে পারে না। যদি আপনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হন তবে নিজের অহংকে নিজের পকেটে রাখুন এবং একে অন্যকে নিয়ে চিন্তা করতে শিখুন"।

কিছু সংসদ করোনা আশঙ্কার কথা তুলে সংসদের অধিবেশন বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করার পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে জনগণের প্রতিনিধিদের উদাহরণ হয়ে ওঠা উচিত। যেভাবে এই পরিস্থিতিতেও দেশের বিমান সংস্থার কর্মীরা এবং সশস্ত্র বাহিনী কর্মীরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সেই উদাহরণ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

.