This Article is From Mar 30, 2020

NDTV Exclusive: লকডাউনের ফলে সমস্যায় ‘কোভিড-১৯ প্রোটেক্টিভ গিয়ার' সরবরাহ

ইমেলে সংস্থাটি পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, ২৫ থেকে ৩০টি কর্ম দিবসের আগে তাদের পক্ষে সেফটি গিয়ার রফতানি করা সম্ভব হবে না.  কেননা বাজারে এর জোগানে খামতি রয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রক সোমবার একটি বিবৃতি পেশ করে জানিয়েছে দেশের হাসপাতালে ১১.৯৫ লক্ষ এন৯৫ মাস্ক রয়েছে এই মুহূর্তে।

হাইলাইটস

  • ‘কোভিড-১৯ প্রোটেক্টিভ গিয়ার’ সরবরাহে বিলম্ব হতে পারে জানা যাচ্ছে
  • সরবরাহকারী এক সংস্থা একথা ইমেলে দক্ষিণ-পশ্চিম রেলকে জানিয়েছে
  • দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
New Delhi:

দেশব্যাপী লকডাউন (Lockdown) ও কার্ফুর পরিস্থিতিতে চিকিৎসার পেশাদারদের প্রোটেকটিভ গিয়ারের (Protective Gear) সরবরাহ অন্তত এক মাস পিছিয়ে যেতে পারে বলে এক সরকারি এজেন্সি মেনে নিয়েছে। করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লড়ছেন এই পেশাদাররা। গত ২৮ মার্চ এইচএলএল লাইফকেয়ার নামে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ এক সরকারি সংস্থা দক্ষিণ-পশ্চিম রেলের মুখ্য মেডিক্যাল ডিরেক্টরকে এক ইমেলে একথা জানায়। এই সংস্থা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় ‘সেফটি গিয়ার' সরবরাহের অন্যতম মুখ্য সংস্থা। দক্ষিণ-পশ্চিম রেলের তরফে ওই সংস্থাকে এক মেলে ১৩,০০০ ‘সেফটি গিয়ার'-এর জন্য কোটেশন দেওয়া হয়। তার জবাবে এইচএলএল কোটেশনের সঙ্গে এও জানিয়ে দেয় বাজারে এর জোগানের খামতি রয়েছে।

ওই ইমেলে সংস্থাটি পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, ২৫ থেকে ৩০টি কর্ম দিবসের আগে তাদের পক্ষে সেফটি গিয়ার রফতানি করা সম্ভব হবে না.  কেননা বাজারে এর জোগানে খামতি রয়েছে।

ভারত এখনও স্থানীয় সংক্রমণের স্তরেই রয়েছে, করোনা সংক্রমণ নিয়ে জানাল সরকার

খামতির পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের তরফে থাকা বিপুল চাহিদার কারণে ডেলিভারি দিতে যে সর্বোচ্চ ৩০ দিন লাগতে পারে সেকথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রক সোমবার একটি বিবৃতি পেশ করে ‘সেফটি গিয়ার'-এর বর্তমান কী পরিস্থিতি সে সম্পর্কে জানিয়েছে।

রক্ষাকবচ পরে পথে মন্ত্রী! লকডাউনে ঘর থেকে না বেরোনোর অনুরোধ মাইক্রোফোনে

সেই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সরকার মাত্র ৬০,০০০ ‘কভার অল' সংগ্রহ করেছে। এবং প্রায় ৬০ লক্ষ ‘পিপিই কিট' অর্ডার করেছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক ঘরোয়া সামগ্রী দ্বারা নির্মিত হবে। বাকিটা বিদেশ মন্ত্রকের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা হবে। দেশে ৪ লক্ষ পিপিই স্টকে রয়েছে। তবে ওই বিবৃতিতে এটা পরিষ্কার করা হয়নি বিদেশ থেকে আমদানি কবে আসতে পারে।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের হাসপাতালে ১১.৯৫ লক্ষ এন৯৫ মাস্ক রয়েছে এই মুহূর্তে। এছাড়া দু'টি ঘরোয়া সংস্থা দৈনিক ৫০,০০০ মাস্ক জোগান দেবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সেই জোগান ১ লক্ষ মাস্ক হতে চলেছে।

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের চাহিদার পক্ষে এই সংখ্যা পর্যাপ্ত কিনা তা পরিষ্কার নয়।

কেবল তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রীই জানিয়েছেন, তাঁরা ২৫ লক্ষ এন৯৫ মাস্ক অর্ডার করেছেন। যা দেশের সামগ্রিক স্টক ১১.৯৫ লক্ষের প্রায় দ্বিগুণ!

.