This Article is From Apr 01, 2020

দিল্লির মসজিদে যোগদানকারীদের মধ্যে ১৩৪ জন করোনা আক্রান্ত: ১০টি তথ্য

Coronavirus Cases: সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম লঙ্ঘন করে দিল্লির নিজামুদ্দিনের শতাব্দী প্রাচীন মসজিদে জড়ো হন প্রায় শতাধিক মানুষ

দিল্লির মসজিদ থেকে খালি করে দেওয়া হয়েছে ২,১০০ জনকেই, আক্রান্তদের খোঁজে তল্লাশি

হাইলাইটস

  • দিল্লির নিজামুদ্দিন মার্কাজকে করোনা ভাইরাসের আতুঁরঘর চিহ্নিত করা হয়েছে
  • তামিলনাড়ুর ৫০ জনের শরীরে মিলেছে ভাইরাস
  • মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে
নয়া দিল্লি: দিল্লির নিজামুদ্দিনের প্রায় ১৩৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার পরেই, ২,৩০০ জনকে বের করে দেওয়া হয় দিল্লির ওই বিল্ডিং থেকে। দিল্লিতে তবলিঘি জামাত গোষ্ঠীর লদর দফতর “মার্কাজ নিজামুদ্দিন”- এ জড়ো হয়েছিলেন শতাধিক ব্যক্তি। করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতজনের মৃত্যু হওয়ার পরেই, নিজামুদ্দিন বিল্ডিং টিকে করোনা ভাইরাসের আতুঁরঘর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, তারপরেই সোমবার বিল্ডিংটি খালি করে দেওয়া হয়। মার্কাজের কর্মকর্তাদের দাবি, তাঁদের বিল্ডিং এ ছিলেন মোটামুটি ১,০০ জন। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় মসজিদ সংলগ্ন এলাকার রাস্তা মুড়ে ফলে হয়েছিল। মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পুলিশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এখানে রইল ১০'টি তথ্য:

  1. মৌলানা সাদ, জিশান, মুফতি শেহজাদ, এম সফি, ইউনুস, মহম্মদ সলমন এবং মহমম্মদ আসরাফ নামে সাতজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ২৮ মার্চ থেকেই নিখোঁজ মহম্মদ সাদ, তখনই তাঁকে দিল্লি পুলিশ নোটিশ পাঠায় বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই।
     

  2. ৮ মার্চ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত দুদিনের জমায়েতের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তবলিঘি সদস্যদের খোঁজ করতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। তামিলনাড়ুতে ৫০ জনের শরীরের করোনা মিলেছে, দিল্লিতে ২৪, তেলেঙ্গানায় ২১, অন্ধ্রপ্রদেশে ২১, আন্দামানে ১০, অসমে ৫, পদুচেরিতে দুই, এবং জম্মু ও কাশ্মীরে একজনের শরীরে করোনা ভাইরাস মিলেছে ওই জমায়েতে যোগ দেওয়ার পর।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ৮২৪ জন বিদেশি বিভিন্ন রাজ্যে যান এবং তাঁদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পুলিশ প্রধানদের দেওয়া হয়েছে।
     

  3. সমস্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম লঙ্ঘন করে, ৮ মার্চ থেকে শতাব্দী প্রাচীন ওই বিল্ডিং এ জমায়েত করেছিলেন শতাধিক ব্যক্তি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, ২১ মার্চ, সেখানে ছিলেন ১,৭৪৬ জন, তাঁদের মধ্যে বিদেশির সংখ্যা ২১৬ জন।
     

  4. সরকারের তরফে বলা হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের ২,১৩৭ জন তবলিঘি সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাঁদের শারিরীক পরীক্ষা করে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ,  মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর এবং আন্দামান ফেরাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
     

  5. তেলেঙ্গানায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শ্রীনগরে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দে সেমিনারিতে গিয়েছিলেন। আন্দামান ও নিকোবরে ফেরা আরও ১০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। আন্দামানে ১,৮০০ জনকে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। কাশ্মীর থেকে প্রায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে যোগ দেওয়া ৭০০ জন সদস্যের খোঁজ চলছে।
     

  6. ১৯২৬ সালে তৈরি হয় ইসলামিক মিশন বা আশ্রম তবলিঘি জামাত, বিশ্বজুড়ে তাদের সদস্য রয়েছেন। ফেব্রুয়ারি-মার্চে একই ধরণের জমায়েত হয়েছিল মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানে, যার সঙ্গে করোনা যোগ রয়েছে।
     

  7. এই জমায়েতে হাজির ছিলেন মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, মায়ানমার, কিরগিজস্তান, এবং সৌদি আরবের সদস্যরা। এছাড়াও আফগানিস্তান, আলজিরিয়া, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, ফিজি, ফ্রান্স এবং কুয়েতের সদস্যরাও এসেছিলেন। 
     

  8. ৩০০ জন বিদেশি পর্যটন ভিসায় এসে যোগ দিয়েছিলেন ওই জমায়েতে, তাঁদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তবলিঘি জামাতে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক কোনও বিদেশিকে পর্যটন ভিসা দেওয়া হবে না।
     

  9. ২০ মার্চ ইন্দোনেশিয়ার ১০ জন সদস্যের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে তেলেঙ্গানায়। এমনকী, তারপরেও, মসজিদে ছিলেন প্রায় ১,২০০ জন সদস্য। পুলিশের দাবি, তাঁদের অনেকজনকেই বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ২৬  মার্চ, দেশজুড়ে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে তাঁরা ফিরে আসেন। পুলিশ যে সময়ে তাঁদের খুঁজে বের করে, সেই সময় সংখ্যাটা ছিল ২,০০০ জন।
     

  10. একটি বিবৃতিতে, মার্কাজ নিজামুদ্দিন একটি বিবৃতিতে মার্কাজ নিজামুদ্দিন নিজের সমর্থনে বলেন, ২২ মার্চ  “জনতা কার্ফু” জারি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সদস্যরা বেরিয়ে যেতে পারেননি, কারণ ট্রেন বন্ধ ছিল, জানান হয় আয়োজকদের তরফে। তাঁদের দাবি,তারপর, প্রথমে দিল্লি সরকার এবং পরে প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের ঘোষণা করেন, ফলে সেখানেই থেকে যান সদস্যরা। যদিও সরকারি আধিকারিকরা উল্লেখ করেছেন যে, লকডাউনের অনেক আগেই সমস্ত জমায়েত, ধর্মী, সাংস্কৃতিক বা সামাজিক জমায়েত নিষিদ্ধ করে দিল্লি সরকার।



Post a comment
.