This Article is From May 27, 2020

পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার চিত্র, স্টেশনেই মরে পড়ে আছে মা, অবুঝ শিশু চেষ্টা করছে জাগাতে!

India Lockdown: মৃতার পরিবার জানিয়েছে, খাবার ও জলের অভাবে ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি, রবিবার বাড়ি ফেরার জন্যে গুজরাট থেকে ট্রেনে ওঠেন ওই মহিলা

Bihar Railway Station: ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে বাচ্চাটি একটি কাপড় দিয়ে মাকে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করছে

হাইলাইটস

  • করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশে লকডাউন জারি
  • এই লকডাউনের কারণে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন প্রবাসী শ্রমিকরা
  • একের পর এক উঠে আসছে তাঁদের দুর্দশার চিত্র
পাটনা:

করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে যত দিন এগোচ্ছে ততই যেন এক একটি মর্মান্তিক দৃশ্য ভেসে উঠছে চোখের সামনে। লকডাউনের (Lockdown) ফলে পরিযায়ী (Migrants) শ্রমিকদের দুর্দশার বিভিন্ন চিত্রের মধ্যেই যে ভিডিওটি ভাইরাল হলো সোশ্যাল দুনিয়ায় তা দেখে অতি কঠিন হৃদয়ের মানুষেরও চোখে জল আসতে বাধ্য। স্টেশনে নিঃসাড় হয়ে পড়ে আছে মৃত মা, আর অবুঝ শিশুটি মায়ের গায়ের উপর দেওয়া কাপড়টি একবার করে তুলে মাকে জাগাবার চেষ্টা করছে, আর পরক্ষণেই মাকে আবার সেই কাপড় দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে। বছর দেড়েকের শিশুটি বুঝতেও পারছে না কী হারালো সে! এমনিতেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকেই চরম খারাপ অবস্থায় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁদের বাড়ি ফেরাতে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানো হলেও তাতে চরম অব্যবস্থার খবর প্রায় প্রতিদিনের রিপোর্টে উঠে আসছে। আর তেমনই এক পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন এক পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের মহিলা সদস্য। বাড়ি ফেরার জন্যে গুজরাট থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ট্রেনের মধ্যেই গরম এবং খিদে-তেষ্টায় অসুস্থ হয়ে পড়েন মহিলা। বিহারের (Bihar) মুজফফরপুরের একটি স্টেশনে ট্রেনটি ঢোকার আগেই মারা যান তিনি।

পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা" নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট, বৃহস্পতিবার শুনানি

ভিডিও ক্লিপটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বিহারের মুজাফফরপুরের ওই স্টেশনেই পড়ে আছে মৃতার দেহ। পাশেই ঘোরাফেরা করছে তাঁর অবুঝ সন্তানটি। মা নেই, বোঝার মতো বয়সও হয়নি তাঁর। সে ভাবছে, মা বুঝি ঘুমোচ্ছে, এই আর একটু পরেই হয়তো মা উঠে কোলে তুলে নেবে তাকে। গত সোমবার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে একটি বিশেষ ট্রেন ওই স্টেশনে পৌঁছলে, সেখানেই নামানো হয় মহিলার দেহ।

এখানেই শেষ নয়, জানা গেছে ওই একই স্টেশনে দু'বছরের একটি শিশুও মারা গেছে। শিশুটির পরিবার রবিবার দিল্লি থেকে বিশেষ ট্রেনে বাড়ি ফেরার জন্যে ওঠে, কিন্তু খাবারের অভাবে ও অসহ্য গরমে মারা যায় শিশুটি।

‘‘মরতে হবে'': গরম সহ্য করে লাইনে দাঁড়িয়েও ট্রেন পেলেন না পরিযায়ীরা

ভারতে করোনা সংক্রমণের গতি রুখতে ২৫ মার্চ থেকে টানা চতুর্থ দফায় লকডাউন চলছে। এই লকডাউনের জেরে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বিভিন্ন রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কাজের খোঁজে বা অন্য প্রয়োজনে গিয়ে আটকে পড়া মানুষজন। যদিও পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরাতে ১ মে থেকে “শ্রমিক স্পেশাল” নামে বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে ভারতীয় রেল। তবু নানা সমস্যায় এখনও ঘর থেকে দূরে অন্য রাজ্যে চরম দুরবস্থার মধ্যে কাটাচ্ছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। 

এর আগেও দেখা গেছে, লকডাউনের মধ্যেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ফিরতে চেয়ে বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক। বহু শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন বিভিন্ন দুর্ঘটনায়। ঘরে ফেরার টানে অগুণতি শ্রমিককে দেখা গেছে তল্পিতল্পা নিয়ে রাজপথ ধরেই হাঁটা শুরু করেছেন গন্তব্যের দিকে। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে করতে মুখ থুবড়ে পড়ে পথের মধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন অনেক অসহায় পরিযায়ী। 

.