This Article is From May 21, 2019

ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস, ভাটপাড়ায় ১৪৪ ধারা জারি হল

রবিবার ভোট পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পরও শান্ত হয়নি ভাটপাড়া। আর তাই সোমবার ভাটপাড়া জুড়ে 144 ধারা জারি করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)

ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস, ভাটপাড়ায় ১৪৪ ধারা জারি হল

গোটা ভাটপাড়া জুড়ে রয়েছে পুলিশি প্রহরা। (প্রতীকী ছবি)

Kolkata:

ভাটপাড়া বিধানসভার উপনির্বাচন (Bhatpara Assembly By Election) ঘিরে পরিস্থিতি বেশ কিছুদিন ধরেই অশান্ত। নির্বাচনের আগের রাতেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র (,Madan Mitra)  গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া ভোটের দিন একাধিক সংঘর্ষ অভিযোগও ওঠে গোটা ভাটপাড়া জুড়ে। কাঁকিনাড়া  থেকে শুরু করে ভাটপাড়ার বিভিন্ন জায়গায় বোমা পড়তে থাকে।বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কিন্তু তবু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে না। এভাবে রবিবার ভোট পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পরও শান্ত হয়নি ভাটপাড়া। আর তাই সোমবার ভাটপাড়া জুড়ে 144 ধারা জারি করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। 

মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ! ফের জয়জয়কার জেলার, ৬৯৪ পেয়ে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুরের সৌগত

পাশাপাশি রবিবার ভোটে কী ধরনের গোলমাল হয়েছে তা বিস্তারিত জানতে চেয়েছিল কমিশন। উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলাশাসককে এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা  হয়। নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানান জেলা শাসক রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। আর সেই  রিপোর্ট পড়েই কমিশনের মনে হয়েছে ১৪৪ ধারা প্রয়োগ না করলে ভাটপাড়ায় শান্তি ফেরানো যাবে না। তাই সে বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি এখনও এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা রাখা রয়েছে। এদিকে নির্বাচনে অশান্তির অভিযোগ তুলে সোমবার কমিশনে আসেন মদন। তাঁর অভিযোগ বিজেপির নেতা অর্জুন সিং বাহুবল প্রয়োগ করে তাঁকে এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছেন না। মদন বলেছেন যদি কমিশন কোন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তিনি সত্যাগ্রহ করবেন। এ রকমই নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা জারি করার কথা জানাল কমিশন। 

রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ রুখতে অনলাইনে ছাত্র ভর্তির নিদান দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

 উত্তর চব্বিশ পরগনার এই কেন্দ্র  নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে। এই ভাটপাড়া থেকে চারবার বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছেন অর্জুন সিং। একদা তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা এখন বিজেপিতে। লোকসভা নির্বাচনে তিনি ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কইন্তু দল বর্তমান সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী উপরেই ভরসা রাখে। সেই ক্ষোভেই  অর্জুন বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁকেই প্রার্থী করে বিজেপি। এরপর থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে ব্যারাকপুর ভোটের দিনও উত্তেজনা ছিল চরমে। খোদ অর্জুনকে আক্রমণ করা হয়। তাঁর ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। পাশাপাশি অর্জুনের অনুগামীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে।  

.