This Article is From May 19, 2020

Cyclone Amphan: ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়... কিন্তু কেন এর নাম "আমফান" জানেন?

Amphan: এই ঝড়ের কেন্দ্রস্থল ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৯৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে, পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ১,১৩০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে

Cyclone Amphan: ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়... কিন্তু কেন এর নাম

Cyclone Amphan Update: ঘূর্ণিঝড় আমফান শক্তি বাড়িয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে

হাইলাইটস

  • ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান
  • আছড়ে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায়
  • দুই রাজ্য়েই মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফের টিম
নয়া দিল্লি:

বঙ্গোপসাগর উপর ঘনীভূত ঘূর্ণিঝড় আমফান (Amphan) ক্রমেই নিজের শক্তি বাড়িয়ে এখন তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়টির (Cyclone Amphan) কারণে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি উপকূলবর্তী জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতার আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরের নির্দেশক জি কে দাস জানিয়েছেন যে, পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপপুঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে দিয়ে আগামী ২০ মে সন্ধে নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড়টি (Cyclone Amphan) খুবই মারাত্মক আকার ধারণ করে বয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর ১৭ টি দল মোতায়েন করা হয়েছে বাংলা এবং ওড়িশায়, পশ্চিমবঙ্গের ৬ জেলায় রয়েছে ৭ টি দল ও ওড়িশায় ১০ টি দল, চলছে সবরকমের প্রস্তুতি। এনডিআরএফের প্রতিটি দলে ৪৫ জন করে কর্মী রয়েছেন।

এই ঝড়ের কেন্দ্রস্থল ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৯৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে, পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ১,১৩০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ১২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম কেন "আমফান" রাখা হয়েছে তা জানেন? 

1. ২০০৪ সালে প্রস্তুত যে ঝড়ের নামের তালিকা তৈরি হয়েছিল "আমফান" তার সর্বশেষ নাম। এই ঝড়ের নামটি প্রস্তাব করেছিল থাইল্যান্ড।

2. মোট ৫ টি কমিটি সারা বিশ্ব জুড়ে হওয়া সামুদ্রিক ঝড়ের নামকরণ করে। এদের নামগুলোও ঝড়ের নামেই। এই কমিটিগুলোর নাম হ'ল: (১) এস্কেপ টাইফুন কমিটি (২) এস্কেপ প্যানেল অফ ট্রপিকাল সাইক্লোন (৩) আরএ ১ ট্রপিকাল সাইক্লোন কমিটি (৪) আরএ -৪ (৫) আরএ -৫  ট্রপিকাল সাইক্লোন কমিটি।

3. বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা প্রথমে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা শুরু করে। এরপর ২০০৪ সাল থেকে ভারতও ঝড়ের নামকরণ করা শুরু করে। ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান ও থাইল্যান্ডও ঝড়ের নামকরণের পথ বেছে নেয়। এই ৮ টি দেশের প্রস্তাবিত নামগুলো দেশগুলোর নামের প্রথম অক্ষর অনুযায়ী পরপর ক্রমতালিকায় সাজানো হয় এবং সেই অনুযায়ীই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়।

4. এই আটটি দেশই বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থাকে (World Meteorological Organization) ঝড়ের নামের তালিকা দিয়েছে। এতে ভারত 'অগ্নি', 'বিদ্যুৎ', 'মেঘ', 'সাগর' এবং 'আকাশ' এর মতো নাম দিয়েছিল। একই সময়ে, পাকিস্তান দেয় 'নিলোফার', 'বুলবুল' এবং 'তিতলি' এর মতো নাম। এই নামগুলির মধ্যে থেকেই, ওয়ার্ল্ড মেট্রোলজিকাল অর্গানাইজেশন ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে।

5. এই আটটি দেশের মধ্যে কোথায় যদি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয় তবে পাঠানো নামগুলির মধ্যে থেকেই বিকল্প যেকোনও একটি নাম বেছে নেওয়া হয়। ভারতে যেমন ১০ বছরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের একই নাম ব্যবহার করা হয় না। এবারে থাইল্যান্ডের দেওয়া নাম থেকেই নাম রাখা হয়েছে "আমফান"।
 

.