This Article is From Apr 22, 2019

বিশ্বের ছ’টি স্বাতন্ত্র্যকে তুলে আনলো ‘ওয়ার্ল্ড আর্থ ডে’র গুগল ডুডল

গুগল আর্থ ডে ২০১৯-এর ডুডলের স্রষ্টা কেভিন লাফলিন বলেন, ‘‘আমি চাইনি শুধু মাত্র কতগুলো প্রাণীর মিষ্টি চেহারাকে তুলে এনে উপস্থাপিত করতে।"

বিশ্বের ছ’টি স্বাতন্ত্র্যকে তুলে আনলো ‘ওয়ার্ল্ড আর্থ ডে’র গুগল ডুডল

World Earth Day: আজ গুগল ডুডলে পৃথিবীর ছ’টি অর্গানিজমকে দেখা যাচ্ছে।

New Delhi:

আজ ওয়ার্ল্ড আর্থ ডে। গুগল এই দিনটিকে চিহ্নিত করার জন্য একটি খুব সুন্দর ডুডল নিয়ে এসেছে। সেখানে পৃথিবীর ছ'টি অর্গানিজমকে দেখা যাচ্ছে। আজকের গুগল ডুডল পুরোটাই আর্থ ডে-কে উদ্দেশ্য করে বানানো। প্রত্যেক বছর ২২ এপ্রিল আর্থ ডে উদযাপিত হয়। এর উদ্দেশ্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যে জীববৈচিত্র্য রয়েছে তাকে তুলে আনা। ডুডলে দেখা যাচ্ছে ছ'টি এমন একেবারে স্বতন্ত্র বিশেষত্বকে যা এ পৃথিবীতেই পাওয়া যায়। তার মধ্যে রয়েছে দীর্ঘতম, ক্ষুদ্রতম, প্রাচীনতম প্রভৃতি।

‘আনন্দিততম শহর' ডেনমার্ক, তার খুশির জিওনকাঠি কী?

গুগল আর্থ ডে ২০১৯-এর ডুডলের স্রষ্টা কেভিন লাফলিন বলেন, ‘‘আমি চাইনি শুধু মাত্র কতগুলো প্রাণীর মিষ্টি চেহারাকে তুলে এনে উপস্থাপিত করতে। তেমনটা করলে হয়তো আমাদের স্তন্যপায়ীদের অনুভূতিকে খুব বেশি নাড়ানো যেত না। বরং আমরা চেয়েছি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কিছু বিশেষ স্বতন্ত্র অর্গানিজিমকে তুলে আনতে।''

গুগলের আজকের ডুডলের দেখা যাচ্ছে ওয়ান্ডারিং অ্যালবাট্রস, কোস্টাল রেড উড, পিডোফ্রাইন অ্যামিউনেসিস, আমাজন ওয়াটার লিলি, কোলকান্থ এবং ডিপ কেভ স্প্রিংটেলকে।

দ্য ওয়ান্ডারিং অ্যালবাট্রস পাখির কাছেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাখনা থাকে। ফলে ওই পাখিগুলি একবার মাত্র ডানা ঝাপটে ১০০ মাইলের বেশি যেতে পারে। কোস্টাল রেড উড বিশ্বের সবথেকে দীর্ঘতম গাছ। এর উচ্চতা প্রায় ৩৭৭ ফুট। এই গাছের মানবদেহের হিসেবে প্রায় ৭৫ জন মানুষের উচ্চতাকে যোগ করলে তার সমান। পিডোফ্রাইন অ্যামিউনেসিস পৃথিবীর সবথেকে ক্ষুদ্রতম ব্যাঙ। এর উচ্চতা মাত্র ৭.৭ মিলিমিটার। আমাজন ওয়াটার লিলি পৃথিবীর সব থেকে বড় জলজ উদ্ভিদ। এর মধ্যে একটি ছোট বাচ্চা ভালোভাবে বসে থাকতে পারে। কোলকান্থ আদতে চারশো সাত মিলিয়ন পুরনো এক ধরনের মাছ। এরা খুবই বিরল। পৃথিবীতে ডাইনোসরের আমল থেকেই রয়েছে। ডিপ কেভ স্প্রিংটেল হল আদিম চক্ষুবিহীন এক ধরনের পোকা। বিজ্ঞানীদের মতে এরাই সবথেকে গভীরতম স্থলজ প্রাণী।

লাফলিং বলেছেন, ‘‘প্রতিটি জীবনই অসামান্য ও অমূল্য। প্রতিটি জীবনকেই উদযাপন করা উচিত। আমি যদি কারও মধ্যে সামান্যতম বিস্ময় বা কৌতুহলবোধের জন্ম দিতে পারি তা হলে আমার থেকে খুশি আর কেউ হবে না।''

.