Cyclone Fani: কড়া সতর্কতা রাজ্যে, মৃত ১
হাইলাইটস
- ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিবেগে ওড়িশায় আছড়ে পড়ল ঝড়
- সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে আরও ঘণ্টা তিনেক ওড়িশাতেই থাকবে ঘূর্ণিঝড়
- ভয়াবহ বৃষ্টির সম্ভাবনা' জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর
পুরী, ওড়িশা: Cyclone Fani: আজ সকাল আটটা নাগাদ ওড়িশায় আছড়ে পড়েছে ফণী। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ৩ জন। ওড়িশাকে কাবু করে আজ বিকেল সন্ধ্যায় মধ্যেই রাজ্যে আসছে ফণী। বহু এলাকায় বৈদ্যতিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।সমূলে উৎপাটিত হয়েছে বহু গাছ। ভারী বর্ষণের ফলে মন্দিরের শহর পুরীর বহু এলাকা জলের তলায়। অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী বহু এলাকায় ঝড় হাওয়া প্রবাহিত হয়েছে। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় (Wind Speed) প্রায় ২০০ কিলোমিটার। আবহাওয়া দপ্তরের সূত্র বলছে দুপুর পর্যন্ত ওড়িশায় তাণ্ডব চালাবে ফণী (Cyclone Fani)। তারপর তা এগোতে থাকবে পশ্চিমবঙ্গের দিকে । সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে আরও কয়েক ঘণ্টা ওড়িশাতেই থাকবে ঘূর্ণিঝড়।এমনিতেই ওড়িশার গোপালপুর, পুরী,পারাদ্বীপের মতো জায়গায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পুরী থেকে শুরু করে আরও কয়েকটি জায়গায় অতিভারী বৃষ্টিপাতের খবর মিলেছে। জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক সেরেছেন ওড়িশার মুখ্যসচিব। সকাল সোয়া ৯টা নাগাদ আবহাওয়া দপ্তরের তরফে বলা হয় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ১৮০ কিলোমিটার।
১৯৯৯ সালের ওড়িশার পারাদ্বীপে সুপার সাইক্লোনের (Super Cyclone) পর এই সাইক্লোন ফণীই সবথেকে বেশি শক্তিশালী ও মারাত্মক। ওড়িশায় ওই সাইক্লোনে প্রাণ গিয়েছিল প্রায় ১০ হাজার মানুষের। গত ৪৩ বছরে ভারতের সামুদ্রিক অঞ্চলের দিকে এত বড় ঝড় আর ধেয়ে আসেনি। আগেই ভয়াবহ বৃষ্টির সম্ভাবনা' জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আজ সকাল আটটার কিছু পরেই ঘূর্ণিঝড়ের লক্ষণ স্পষ্ট হতে শুরু করে। এর আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওড়িশার ১১'টি জেলা থেকে মানুষকে সরানো কাজ শুরু হয়। পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রাপাড়া, ভদ্রক, বালাসোর, ময়ূরভঞ্জ, গজপতি, গঞ্জাম, খুরদা, কটক এবং জাজপুর। একটি সূত্র বলছে উদ্ধার করে নিয়ে আসা মানুষদের খাওয়ানোর জন্য সব মিলিয়ে হাজার পাঁচেক অস্থায়ী রান্নাঘর খোলা হয়েছে।
ফুঁসছে, গর্জাচ্ছে ফণী, দেখুন আজ সকালে উড়িষ্যায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের ভিডিও
উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র।
জানা গিয়েছে পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে এবং খবরাখবর দিতে কন্ট্রোল রুম খুলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেটির নম্বর ১৯৩৮। সকাল প্রায় ১১ টা পর্যন্ত ওড়িশাতে একই ভাবে থাকবে ঝড়। তারপর তার শক্তি কমতে থাকবে। তবে হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার সময়ও সেটি সিভিয়র সাইক্লোন-ই থাকবে। ঘন্টায় ১৭০ কিলোমিটার থেকে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল সেটা ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানাল আবহাওয়া দপ্তর। এর আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওড়িশার ১১'টি জেলা থেকে মানুষকে সরানো চলেছে। ৪০০০'টি শিবিরে রাখা হয়েছে এই বাসিন্দাদের।
ফণীর সতর্কতা; আজ রাত থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কলকাতা বিমান বন্দর
পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র সৈকতগুলি থেকে সরানো হচ্ছে পর্যটকদের। দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমনি, তাজপুর- লোক সরানো হচ্ছে সব জায়গা থেকেই। এই সাইক্লোনের প্রভাব পড়তে পারে কলকাতা, দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও ঝাড়গ্রাম জেলাতেও। ইতিমধ্যেই কলকাতা বিমান বন্দর বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বন্ধ করতে দেওয়া হয়েছে ভূবনেশ্বরের বিমান বন্দর। ঝড়ের আংশিক প্রভাব পড়তে চলেছে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম, বিজয়নগরম এবং বিশাখাপত্তনমেও।