
Congress: এক সময় এই ছবি পরিচিত ছিল, একসঙ্গে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং সচিন পাইলট (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত দুঃখজনক, বলেন সচিন পাইলট
- সমস্যাগুলি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত বলেই মনে করেন তিনি
- কংগ্রেস ছেড়ে বুধবারই বিজেপিতে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
কংগ্রেসের একসময়ের দুঁদে তরুণ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার (Jyotiraditya Scindia) দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দল চাইলে তাঁকে আটকাতে পারতো বলেই মনে করেন রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট। তিনি মনে করেন যে, দলের মধ্যেই সমস্যাগুলির সমাধান করা যেতে পারে। হোলির দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। পদত্যাগের একদিন পরেই, অর্থাৎ বুধবার, তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে (BJP) যোগ দেন। জ্যোতিরাদিত্যের দল ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সঙ্কটের সম্মুখীন হয় মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ সরকার (MP Govt Crisis)। এদিকে বিজেপিতে যোগদানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে রাজ্যসভার প্রার্থীও করা হয়। এরপরেই একসময় জ্যোতিরাদিত্যের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা কংগ্রেসের আরেক তরুণ নেতা সচিন পাইলট এই দলবদলের বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন।
যোগ দেওয়ার পরেই, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে রাজ্যসভার প্রার্থী করল বিজেপি
একটি টুইটে পাইলট লেখেন,"জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ায় কংগ্রেস ত্যাগ খুবই দুঃখের, আমার ধারণা চাইলে দলের মধ্যেই এই সমস্যাগুলির সমাধান করা যেত। দীর্ঘদিন ধরেই দলের মধ্যে অবহেলার শিকার হচ্ছিলেন তিনি, এই নিয়ে তিনি অত্যন্ত অসন্তুষ্টও ছিলেন এবং এই কারণেই তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন"।
Unfortunate to see @JM_Scindia parting ways with @INCIndia. I wish things could have been resolved collaboratively within the party.
— Sachin Pilot (@SachinPilot) March 11, 2020
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের ২২ জন বিধায়কও নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, এর ফলে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার ঘোরতর সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের দাবি যে তিনি বিধানসভায় নিজের সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন।
"এটা শুধু টার্নিং পয়েন্ট নয়": বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
যদিও এটা বাস্তব যে, জ্যোতিরাদিত্য অনুগামী বিধায়কদের ইস্তফা গৃহীত হলে মধ্যপ্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে কংগ্রেস, ফলে পড়ে যাবে কমল নাথ সরকার । এই সময় তাই বিধায়ক সংখ্যা একটা বড় ফ্যাক্টর দুই দলের কাছেই। সেই জন্যে বিজেপি এবং কংগ্রেস দলীয় বিধায়কদের আগলে রাখার জন্যে ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের বাইরে নিয়ে গেছে বলে খবর। জানা গেছে, বিজেপি তাঁদের বিধায়কদের গুরগাঁওয়ের একটি পাঁচতারা রিসর্টে এনে রেখেছে, অন্যদিকে কংগ্রেস তাঁদের বিধায়কদের নিয়ে গিয়ে রেখেছে রাজস্থানের জয়পুরে।