This Article is From Oct 30, 2019

বাম-কংগ্রেসের বৈঠক, রাজ্যে বিধানসভার উপনির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা

West Bengal Assembly Bypolls: উপনির্বাচনে লড়ার জন্যে আগামী ২৫ নভেম্বর দুই দলের প্রার্থীদের যৌথ নাম ঘোষণাও হবে

বাম-কংগ্রেসের বৈঠক, রাজ্যে বিধানসভার উপনির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা

তৃণমূল ও বিজেপিকে রুখতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধছে বামেরা

কলকাতা:

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজ্যের শাসক-বিরোধী সব দলই এখন ব্যস্ত নিজেদের রণনীতি ঠিক করতে।তবে তার আগেই রাজ্যে (West Bengal) হতে চলেছে বিধানসভার উপনির্বাচন। সেই উপনির্বাচনেও (Assembly bypolls) "হাত"(Congress)-এ উঠে আসবে "কাস্তে-হাতুড়ি" (CPIM)। মঙ্গলবার সেই লক্ষ্যেই সিপিআই (এম) -র নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা উপ-নির্বাচনের জন্য যৌথ আন্দোলনের পদ্ধতি এবং প্রচারের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বামফ্রন্টের সূত্র মতে, আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে একটি বৈঠক করে যৌথ আন্দোলনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবে তাঁরা। নির্ধারণ করা হবে একটি সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচি (সিএমপি)। উপনির্বাচনে লড়ার জন্যে আগামী ২৫ নভেম্বর দুই দলের প্রার্থীদের যৌথ নাম ঘোষণাও হবে। "আমরা খুব তাড়াতাড়ি কংগ্রেসের সঙ্গে একটি বৈঠক করব, সম্ভবত এই সপ্তাহের শেষের মধ্যেই আসন ভাগাভাগি এবং যৌথ আন্দোলনের বিভিন্ন দিক ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হবে", বলেন বামফ্রন্টের এক প্রবীণ নেতা।

এনসিআরবির নয়া তথ্য সামনে রেখে নতুন করে এনআরসির দাবি তুলতে চায় বিজেপি

রাজ্যে দ্রুত মূল বিরোধী শক্তি হিসাবে উঠে আসা বিজেপি এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বাড়বাড়ন্ত রুখতেই অগাস্টে কংগ্রেস এবং সিপিআই (এম) রাজ্যের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের আসন্ন উপনির্বাচনে আসন সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়।

শুক্রবার গভীর রাতে দুই দলের রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে কংগ্রেস উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ আসন এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, ওদিকে সিপিআই (এম) -র নেতৃত্বে বামফ্রন্ট লড়াই করবে নদিয়া জেলার করিমপুর আসনে।

মনে হচ্ছে বাংলায় কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই: রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর

বিজেপি বাংলায় ইতিমধ্যেই নিজেদের জমি অনেকটাই শক্ত করে ফেলেছে এবং ঐতিহ্যবাহী কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টকে যথাক্রমে বিরোধী দল হিসাবে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে ঠেলে দিয়েছে। বর্তমানে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসও ভাবছে তাঁদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপিই। এই পরিস্থিতিতেই জোট বেঁধে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম-কংগ্রেস।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে পেয়েছিল ১৮ টি আসন, শাসক দল তৃণমূলের থেকে মাত্র চারটি আসন কম ছিল গেরুয়া দলের। সেদিক থেকে দেখতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ২০১৪ সালে পাওয়া ৩৪ থেকে গত নির্বাচনে নেমে এসেছিল ২২টি আসনে। অন্যদিকে সিপিআই (এম) -র নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট এ রাজ্যে একটিও আসন পায়নি গত লোকসভা নির্বাচনে এবং কমেছে কংগ্রেসের আসন সংখ্যাও, গত বছরের ৪টি আসন থেকে তা নেমে এসেছে ২টি আসনে।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআই (এম) এবং কংগ্রেস বাংলায় জোট বাঁধলেও তেমন প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছিল। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে, আসন-ভাগাভাগির চুক্তিতে কোনও সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রস্তাবিত কংগ্রেস-সিপিআই (এম জোট) ভেঙে যায়।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.