This Article is From Feb 14, 2020

আমন্ত্রণ না জানানোয় কোচবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের জবাব চাইলেন রাজ্যপাল

West Bengal: কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে আমন্ত্রণ পত্রটি কেন পৌঁছায়নি সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হবে

আমন্ত্রণ না জানানোয় কোচবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের জবাব চাইলেন রাজ্যপাল

কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর অর্থাৎ আচার্য Jagdeep Dhankhar

হাইলাইটস

  • কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো কজ নোটিস দিলেন ধনখড়
  • উপাচার্যকে বরখাস্ত করা যায় কি না, তাও বিবেচনা করছেন রাজ্যপাল
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানোয় ওই পদক্ষেপ
কলকাতা:

কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে, আর তাতেই বেজায় চটেছেন তিনি (Jagdeep Dhankhar)। এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Cooch Behar Panchanan Barma University) উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়কে শো কজ নোটিস পাঠালেন রাজ্যপাল (West Bengal)। ঘটনার আইনি ব্যাখ্যা চেয়েছেন তিনি, এমনকী প্রোটোকল ভাঙায় কোচবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের (CBPBU) উপাচার্যকে অপসারণের দাবিও তুলেছেন ধনখড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ওই ঘটনার নেপথ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাজভবন থেকে দেওয়া ওই নোটিসে একথাও বলা হয়েছে, "ধনখড় সিবিপিবিইউ-এর উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়কে অপসারণের জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বিবেচনা করছেন।"

আজই (১৪ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার) পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। রাজভবনের অভিযোগ, সেই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিতদের তালিকায় রাজ্যের মন্ত্রীদের নাম থাকলেও নাম নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। আমন্ত্রণপত্রে রয়েছে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মণের নাম। কিন্তু আচার্যের নামই গরহাজির সেখানে। এরপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের জবাব তলব করে ওই নোটিস পাঠান রাজ্যপাল।

উত্তরবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন সম্পর্কে কেন তাঁকে কিছু জানানো হল না, টুইট রাজ্যপালের

উপাচার্যের কাছে পাঠানো নোটিসে রাজ্যপাল বলেন, "সিবিপিবিইউ আইনের ৯ নম্বর ধারা অনুসারে আপনাকে ১৪ দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আপনাকে মুখোমুখি জবাব দেওয়ার জন্যেও তলব করা হতে পারে।" এই শো কজের একটি অনুলিপি উচ্চ শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বার বার ফোন করা হলেও সেই ফোন ধরেননি তিনি।

গত বুধবার জগদীপ ধনখড় কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে আমন্ত্রিত না হওয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

"দেশের নতুন রীতি" এখন অসহিষ্ণুতা, গোঁড়ামি এবং বিদ্বেষ: Jagdeep Dhankhar

শুক্রবারের সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের "আচার্য হিসাবে উপস্থিত থাকার অধিকার" থাকলেও ধনখড় টুইট করে জানান তাঁকে ছাড়া অন্য অনেককেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। "কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম দেব, রবীন্দ্র নাথ ঘোষ এবং বিনয় কৃষ্ণ বর্মণকে সমাবর্তনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অথচ সভাপতির অধিকার প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের নামই আমন্ত্রণ পত্রে নেই। এ আমরা কোথায় যাচ্ছি!", টুইট করেন জগদীপ ধনখড়।

যদিও কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে আমন্ত্রণ পত্রটি কেন পৌঁছয়নি সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হবে।

.