This Article is From Oct 19, 2019

মন্ত্রীদের শিষ্টাচার বজায় রাখতে বলুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,পরামর্শ রাজ্যপাল জগদীপ ধানকরের

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের নিয়ন্ত্রণে রাখার করা বললেন রাজ্যপাল Jagdeep Dhankhar

মন্ত্রীদের শিষ্টাচার বজায় রাখতে বলুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,পরামর্শ রাজ্যপাল জগদীপ ধানকরের

জুলাই মাসে রাজ্যপাল হিসাবে এ রাজ্যের দায়িত্ব নেন Jagdeep Dhankhar

কলকাতা:

নাঃ, এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল (Bengal Governor) এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে মুখোমুখি কোনও দ্বন্দ্ব নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সরাসরি তাঁর মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের লাগাম দেওয়ার কথা বলে বসলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি (Jagdeep Dhankhar) বলেন যে তাঁকে একজন পর্যটক হিসাবে উল্লেখ করে তাঁর সাম্প্রতিক শিলিগুড়ি সফরকে লোক দেখানো বলে কটাক্ষ করা হয়েছে, যাতে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ তিনি। পাশাপাশি কেন্দ্র তাঁকে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তার বদলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াতেও রাজ্যের সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে রাজ্যপালকে, তা নিয়েও বিচলিত তিনি।

শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ডিসেম্বরে সেখানকার সমাবর্তনে সম্মানিতদের তালিকা নিয়ে এক বৈঠকে যোগ দেন জগদীপ ধনকর, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে প্রায় ৩ ঘণ্টা ব্যয় করেন তিনি। বৈঠকের শেষে হওয়া এক সাংবাদিক সম্মেলনে ধনকরকে রাজ্য পুলিশের সুরক্ষার বদলে সিআরপিএফ জওয়ানদের সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়কে রীতিমতো আক্রমণ করেন রাজ্যপাল। এর আগে মমতা মন্ত্রিসভার ওই মন্ত্রী কটাক্ষ করে বলেন যে, কখনো কোনও রাজ্যপাল এইভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিয়েছেন বলে তিনি শোনেননি। এতেই ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল।

রাজ্যপালকে জেড প্লাস ভিআইপি নিরাপত্তা, তরজায় তৃণমূল-বিজেপি

জগদীপ ধনকর বলেন, "আমি সুরক্ষা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করব না তবে রাজ্য সরকারের প্রবীণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই জাতীয় যে কোনও ইস্যু প্রথমে রাজ্যকে দেওয়া উচিত ছিল। আমি তাঁকে হাতজোড় করে অনুরোধ করব দয়া করে আপনার সরকারের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ নিন। একজন মন্ত্রীর পক্ষে সংবাদমাধ্যমের সামনে যা খুশি বলে দেওয়াটা অভিপ্রেত নয়"।

অন্য কোনও মন্ত্রীর নাম না নিলেও ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল বলেন যে, পশ্চিমবঙ্গে আসার পর থেকে বেশ কয়েকটি আপত্তিকর মন্তব্য তিনি শুনেছেন। ধনকর বলেন, "মন্ত্রীদের কাছ থেকে নানা দুঃখজনক মন্তব্য আসছে। তাঁদের একজন আমাকে রাজ্যের একজন পর্যটক হিসাবে দেখতে চাইছেন। আমি নিশ্চিত যে এখানে আপনারা কেউই নিশ্চয়ই এই বিষয়টিকে সমর্থন করবেন না যে একজন রাজ্যপালকে রাজ্যে একজন পর্যটকের মতো থাকা উচিত"। "আমার মনে হয় রাজ্যের মাননীয় মুখ্য়মন্ত্রীকে তাঁর মন্ত্রীদের কথাবার্তায় লাগাম পরানো উচিত", বলেন ধনকর। এছাড়াও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর (Jagdeep Dhankhar) জানান যে, তিনি গত সপ্তাহে কার্নিভালে গিয়ে ‘‘অপমানিত, গভীর ভাবে ব্যথিত ও বিরক্ত'' হয়েছেন।

রাজ্য সরকারের উচিত রাজ্যপালের কাছে ক্ষমা চাওয়া : মুকুল রায়

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সমাবর্তন বৈঠকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সম্মানসূচক ডক্টরেটস প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রস্তাবিত নামগুলি নিয়ে আলোচনা করতেই যোগ দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বিশ্ববিদ্যালয় তালিকার চারটি নাম হল- বিশিষ্ট বাঙালি কবি শঙ্খ ঘোষ, প্রাক্তন বিদেশ সচিব সলমন হায়দার, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসক্যাল ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টরে সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজ্ঞানী ডঃ সিএনআর রাও।

সূত্র মতে, ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত বিদেশ সচিব থাকা সলমন হায়দারের অন্তর্ভুক্তি সম্পর্কে রাজ্যপাল প্রশ্ন উত্থাপন করেন। তবে সভায় উপস্থিত থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের প্যানেল তাঁকে এই বিষয়ে চাপ দেওয়ায়, রাজ্যপাল এই তালিকায় সম্মত হন বলে খবর।

দেখুন ১৮.১০.২০১৯-এর সেরা খবর:

.