This Article is From Oct 16, 2019

রাজ্য সরকারের উচিত রাজ্যপালের কাছে ক্ষমা চাওয়া : মুকুল রায়

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর (Jagdeep Dhankhar) জানান, তিনি গত সপ্তাহে কার্নিভালে গিয়ে ‘‘অপমানিত, গভীর ভাবে ব্যথিত ও বিরক্ত'' হয়েছেন।

রাজ্য সরকারের উচিত রাজ্যপালের কাছে ক্ষমা চাওয়া : মুকুল রায়

বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, রাজ্য সরকারের উচিত রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের (Jagdeep Dhankhar) কাছে ক্ষমা চাওয়া।

নয়াদিল্লি:

বিজেপি নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy) বললেন, রাজ্য সরকারের উচিত রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের (Jagdeep Dhankhar) কাছে ক্ষমা চাওয়া। দুর্গাপুজোর পরে আয়োজিত কার্নিভালে (Durga Puja carnival) গিয়ে প্রবল অপমানিত বোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। ওই কার্নিভালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার রাজ্যপাল জানান, তিনি গত সপ্তাহে কার্নিভালে গিয়ে ‘‘অপমানিত, গভীর ভাবে ব্যথিত ও বিরক্ত'' হয়েছেন। কার্নিভালে তাঁকে প্রধান ডায়াসে বসতে দেওয়া হয়নি। এবং তাঁকে এক সেকেন্ডের জন্যই টিভিতে দেখানো হয়নি। রাজ্যপাল তিনি দুঃখ পেয়েছেন তাঁকে ভিন্ন এক ডায়াসে বসতে দেওয়া হয় বলে। মূল মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অন্য বিশিষ্টরা ছিলেন শুক্রবারের ওই অনুষ্ঠানে। সেরা ৭০টি পুজো মণ্ডপের শোভাযাত্রা দেখা গিয়েছিল ওইদিন।

দুর্গাপুজোর কার্নিভালে গিয়ে খুবই অপমানিত, ব্যথিত আমি: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর

সূত্রানুসারে, তাঁকে একটি কোনার দিকে আসন দেওয়া হয়েছিল এবং ওখানে বসে ঠিকমতো অনুষ্ঠানটি দেখতে পারছিলেন না তিনি। রাজ্যপাল সাংবাদিকদের জানান, তিনি চার ঘণ্টার ওই অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকলেও ওখানে উপস্থিত এতগুলির ক্যামেরায় একবারের জন্যও তাঁকে দেখানো হয়নি।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর সাংবাদিকদের বলেন, “আমি কার্নিভালে অপমানিত বোধ করেছি। আমি গভীরভাবে আহত হয়েছি এবং অস্থির রয়েছি। এই অপমান আমার নয়, এই অপমান পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মানুষের। তাঁরা কখনও আমার মতো পদাধিকারী মানুষের এমন অপমান হজম করবেন না। আমি পশ্চিমবঙ্গের জনগণের দাস। আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করা থেকে কোনও কিছুই আমাকে আটকাতে পারে না।”

‘দুর্গাপুজো কার্নিভাল'-কে ‘‘গণতন্ত্রের পরিহাস'' বলে কটাক্ষ বিজেপির

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা মুকুল রায় বলেন, ‘‘দয়া করে এটা মনে রাখুন যে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হলে রাজ্যপাল। এবং যেভাবে রাজ্য সরকার তাঁর সঙ্গে ব্যবহার করছে তা বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না। এটা সামগ্রিক ভাবে রাজ্যের পক্ষে অপমানজনক। তাই রাজ্যের একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি মনে করি এমনটা হওয়া উচিত নয় এবং রাজ্য সরকারের উচিত রাজ্যপালের কাছে ক্ষমা চাওয়া।''

দেখুন ভিডিও

.