This Article is From Jun 18, 2020

লাদাখ সংঘর্ষ নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Ladakh Clash: সোমবার ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ২০ জন ভারতীয় সেনা আত্মবলিদান দিয়েছেন

লাদাখ সংঘর্ষ নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Mamata Banerjee: "সঙ্কটের এই মুহুর্তে আমরা দেশ ও আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর পাশেই আছি", বললেন তৃণমূল নেত্রী

হাইলাইটস

  • ভারত-চিন সীমান্তের উত্তেজনার সমাধান খুঁজতে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক কেন্দ্রের
  • এই বৈঠকের সিদ্ধান্তকে নৈতিকভাবে সমর্থন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
  • সঙ্কটের পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস দেশের পাশেই আছে, বললেন তিনি
কলকাতা:

লাদাখে ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যার (Ladakh Clash) সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার যে সর্বদলীয় বৈঠক (all-party meeting) ডেকেছে সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সঙ্কটের সময়ে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস দেশের পাশেই আছে, একথাও জানান নেত্রী (Mamata Banerjee)। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রধান বলেন, "সঙ্কটের এই মুহুর্তে আমরা দেশ ও আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর পাশে দাঁড়িয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করছি। এই সময় যৌক্তিকভাবেও এটি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত" । চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সমস্যা সম্পর্কে কেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমরা বিদেশ মন্ত্রক সম্পর্কিত কোনও বিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাই না। কেন্দ্রীয় সরকারকেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দিন"।

৪ জি পরিষেবার উন্নতিতে ব্যবহার করা যাবে না চিনা সরঞ্জাম, বিএসএনএল-কে নির্দেশ কেন্দ্রের

লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার এক সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক  দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ২০ জন ভারতীয় সেনা আত্মবলিদান দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে শুক্রবার বিকেল ৫টার সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভাপতিরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই বৈঠকে অংশ নেবেন।

লাদাখ সংঘাতে বাংলার ২ শহিদ! পরিবারপিছু ৫ লক্ষ ক্ষতিপূরণ-চাকরি: মুখ্যমন্ত্রী

গোটা ঘটনার জন্যে চিন ভারতীয় সেনাদের অসহিষ্ণু আচরণকে কাঠগড়ায় তুললেও ভারতের তরফ থেকে এই সংঘর্ষের জন্যে চিনকেই দায়ী করা হয়েছে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, "সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট দায়িত্বশীল আচরণই করে এসেছে ভারত ৷ ওই এলাকায় যে কার্যকলাপ করা হয়েছে, তার সবটাই ভারতীয় এলাকার মধ্যে করা হয়েছে ৷ চিনের থেকেও আমরা একইরকম ব্যবহারের আশা রাখি আমরা ৷ ভারত সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা এবং যে কোনও সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে বিশ্বাসী ৷ তবে একই সঙ্গে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা বজায় রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে"।

৬ জুনের সামরিক স্তরের বৈঠকের পর চিন সেনার অধিগৃহীত জমি থেকে ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার কথা ছিল। সেই কাজ খতিয়ে দেখতে শহিদ কর্নেল বিএল সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে এলাকা পরিদর্শনে বেরোয় ভারতীয় বাহিনী। তাঁর সঙ্গে ছিল প্রায় ১০০ জন জওয়ান। এর পরেই তাঁরা ১৫,০০০ ফুট উচ্চতায় গালোয়ান উপত্যকা এলাকা গিয়ে দেখে সেখানে দিব্যি তাঁবুতে ঘাঁটি গেড়ে বসে লালফৌজ। তাঁদের বের করে সেই তাঁবু ভাঙতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কিছু তাঁবুতে। এতেই বিপদ বুঝে কাঠের তক্তা, লোহার রড, কাটা তার জড়ানো বাটাম-সহ আরও বাহিনী জড়ো হয় গালোয়ান এলাকায় । শুরু হয় দু'পক্ষের হাতাহাতি ও সংঘর্ষ। আর তাতেই নিহত হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে যে, ক্ষতি এড়াতে পারেনি চিনও। ওই সংঘর্ষে সেদেশে হতাহত কমপক্ষে ৪৩ জন জওয়ান। যদিও চিনের সেনা সূত্র থেকে এব্যাপারে কোনও নিশ্চিত বিবৃতি মেলেনি।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.