This Article is From Oct 22, 2019

কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নয়নে ভারতের পদক্ষেপকে স্বাগত: মার্কিন আমলা

এলিস ওয়েলস বলেন, “কাশ্মীরের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারকে সমর্থন করে আমেরিকা, তবে আলোচনা ভেস্তে দিতে জঙ্গিরা যে কার্যকলাপ করে, তার নিন্দা করে”

কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নয়নে ভারতের পদক্ষেপকে স্বাগত: মার্কিন আমলা

এলিস ওয়েলস বলেন, “যেখানে জম্মু ও লাদাখের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, স্বাভাবিক হয়নি উপত্যকা”।

নিউইয়র্ক:

জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পরিস্থিতির উন্নতি সাধন এবং “স্থানীয় সমস্যাগুলি শোনা”র ক্ষেত্রে ভারত সরকারের পদক্ষেপকে “স্বাগত” জানাল আমেরিকা, তবে সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক ও অন্যান্য কর্মীদের আটক করে রাখা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল, মঙ্গলবার জানালেন মার্কিন সহকারী (US Assistant Secretary Alice Wells)  সচিব এলিস ওয়েলস। ওয়াশিংটনে মহাসভা সাবকমিটির আয়োজিত দক্ষিণ এশিয়ার মানবধিকার সংক্রান্ত একটি শুনানিতে তিনি বলেন, “স্থানীয় অর্থনীতিকে ব্যাহত করতে, স্থানীয় ও বিদেশী জঙ্গিরা স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীদের যে ভয় দেখাচ্ছিল সেই খবরে উদ্বিগ্ন” ছিল আমেরিকা।

পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়াই ভারতের সঙ্গে আলোচনার "প্রধান বাধা"! মনে করছে আমেরিকা

তিনি বলেন, “সেখানকার অর্থনৈতিক উন্নতি, দুর্নীতিদমন করা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে সমস্ত আইন একভাবে কার্য করা, বিশেষ করে মহিলা ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে”, ভারত সরকারের সরকারেরর প্রচেষ্টা সমর্থন করে আমেরিকা। তাঁর কথায়, “যেখানে জম্মু ও লাদাখের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, স্বাভাবিক হয়নি উপত্যকা”। 

যাইহোক, এলিস ওয়েলস বলেন, “কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে এখনও উদ্বিগ্ন রয়েছে ডিপার্টমেন্ট, যেখানে ৫ অগস্ট, যখন ভারত সেখান থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহারের ঘোষণা করে, তার পদক্ষেপের প্রভাব পড়ে ৮ মিলিয়ন সংখ্যক মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ওপর”। তিনি বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের তিনজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীসহ স্থানীয় বাসিন্দা ও রাজনৈতিক নেতাদের আটক করা নিয়ে ভারত সরকারের পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডিপার্টমেন্ট”। তিনি আরও বলেন, “আমরা ভারতের কর্তৃপক্ষকে মানবধিকারকে সম্মান জানাতে বলেছি, এবং ইন্টারনেট, মোবাইলসহ পরিষেবাগুলি ফেরাতে অনুরোধ করেছি”।

বন্ধ ফোনের জন্যেও চার্জ করা হয়েছে কাশ্মীরিদের, বিল না দিলে বন্ধ পরিষেবা!

এলিস ওয়েলস বলেন, এলিস ওয়েলস বলেন, “কাশ্মীরের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারকে সমর্থন করে আমেরিকা, তবে আলোচনা ভেস্তে দিতে জঙ্গিরা যে কার্যকলাপ করে, তার নিন্দা করে”।

শুনানির শুরুতে, এশিয়া এবং প্যাসিফিকের হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভ সাবকমিটির ডেমোক্র্যাট চেয়ারম্যান ব্র্যাড শারমিন বলেন, কাশ্মীর পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে সারা বিশ্ব। 

তিনি বলেন, এটা বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক, কারণ, দুটি পরমাণুশক্তিধর দেশ রয়েছে এর মধ্যে।

আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন: 

সাবকমিটির রাঙ্কিং রিপাবলিকান সাবকমিটির সদস্য টেড ওহো উল্লেৎ করেন, কাশ্মীর “ভারতের একটি বিষয়”। তবে কাশ্মীরের নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন তিনি, বলেন, এই পরিস্থিতিতে “কেউ থাকতে পারে না”।

ভারতের সম্পর্কে সব মিলিয়ে এলিস ওয়েলস বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গী হিসেবে গর্বিত। এর সংবিধান একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের কথা বলেন, যা সব নাগরিকের ধর্মাচরণে স্বাধীনতা দেয়, মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয় এবং আইনের চোখে সমান অধিকার দেয়”।

.