This Article is From Jul 15, 2019

কলকাতায় অবৈধভাবে বোজানো হচ্ছে জলাধার, শীঘ্রই জলসঙ্কট দেখা দেবে, মন্তব্য হাইকোর্টের

বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের (Sabyasachi Dutta) দায়ের করা মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, সরকার ছাড়া, বাকি সবাই বুঝতে পারছে, চারিদিকে কী হচ্ছে।

কলকাতায় অবৈধভাবে বোজানো হচ্ছে জলাধার, শীঘ্রই জলসঙ্কট দেখা দেবে, মন্তব্য হাইকোর্টের

উদ্বেগ প্রকাশ করে আদালতের উপলব্ধি, এর ফলে খুব দ্রুত এখানেও জলসঙ্কট তৈরি হবে।(ফাইল ছবি)

কলকাতা:

বিল্ডিং এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তৈরির জন্য কলকাতায় জলাধার এবং সংলগ্ন এলাকাগুলি অবৈধভাবে ভরাট করা হচ্ছে, সোমবার এমনটাই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করে আদালতের উপলব্ধি, এইভাবে চলতে থাকলে, খুব দ্রুত এখানেও জলসঙ্কট তৈরি হবে।বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, জলাধারগুলি ভরাট করা হচ্ছে, এবং সরকার এই বিষয়ে কিছুই করছে না। বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের (Sabyasachi Dutta) দায়ের করা মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, সরকার ছাড়া, বাকি সবাই বুঝতে পারছে, চারিদিকে কী হচ্ছে। মেয়র পদ থেকে তাঁকে সরাতে চেয়ে কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর পাঠানো নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta)।

অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশ খারিজের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সব্যসাচী দত্ত

বিচারপতির কাছে সব্যসাচী দত্তের (Sabyasachi Dutta) আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, বেআইনিভাবে জলাধারগুলি বোজানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং অবৈধ নির্মাণগুলি ভেঙে ফেলার জন্যই মেয়র এই পদক্ষেপের “শিকার”। এই দাবি শোনার পরে আদালত(Calcutta High Court) বলে, বিধানগর এবং তার সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ নির্মাণ এবং জলাধার বোজানো সম্পর্কে জ্ঞাত ছিল তারা। বিচারতির পর্যবেক্ষণ, “সবকিছু সরকারের নাকের ডগায় হচ্ছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি জলাধার ভরাট করা হচ্ছে, সবাই জানে, শুধু সরকার জানে না, এটা আমায় বিশ্বাস করতে হবে”? ভিআইপি রোডের পাশের খাল ভরাট করার প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, “কার স্বার্থে এটা করা হচ্ছে”?

সব্যসাচী বিশ্বাসঘাতক, তৃণমূল ছাড়লে ভাল হবে: ফিরহাদ হাকিম

বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বলেন, শুধুমাত্র হতভাগ্য করদাতারাই ভোগেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর পর্যবেক্ষণ, জলাধার ভরাট করতে দেওয়ার ফলে, দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো এই শহরেও খুব দ্রুত জলসঙ্কট ত তৈরি হবে। বিচারপতির প্রশ্ন, “আমি বুঝতে পারছি না, তাঁরা কেন এই ভুল পথে হাঁটছেন? তাঁদের কি বিশ্ব উষ্ণায়ণ এবং তার প্রভাব সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই”? মেয়রের হয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, বিধাননগর পুর কমিশনারের তরফে মেয়রকে পাঠানো নোটিশ অবৈধ।

যেহেতু মেয়র একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সেই কারণে, পুরসভার চেয়ারপার্সনের উচিত এই নোটিশ পাঠানো, একজন সরকারি আধিকারিক কখনও জনপ্রতিনিধিকে পদচ্যূত করার নোটিশ পাঠাতে পারেন না। তাঁর মন্তব্যের বিরোধিতা করে অ্যাডিশনাল অ্যাডভোকেট জেনারেল এ মজুমদারের পাল্টা যুক্তি, চেয়ারপার্সনের নির্দেশেই ওই নোটিশ দিয়েছেন পুরকমিশনার, ফলে সেখানে বিষয়টি অবৈধ নয়।

ডানা ছাঁটা হল বিধাননগরের মেয়রের! মুকুল রায়ের সঙ্গে সব্যসাচীর বৈঠকে বাড়ছে জল্পনা

বিধাননগর পুর নিগমের চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে মামলার পক্ষ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত(Calcutta High Court)। 

বিধানগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের (Sabyasachi Dutta) বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলর। ৯ জুলাই তাঁকে নোটিশ পাঠান পুরকমিশনার। সেই নোটিশ খারিজের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) আবেদন করেন সব্যসাচী দত্ত।

নোটিশে, তাঁকে পদচ্যূত করার জন্য বিশেষ বৈঠক ডাকার কথা বলা হয়েছে। মেয়রের দাবি, এই নোটিশ অবৈধ এবং এই ধরণের নোটিশ খারিজ করা উচিত হাইকোর্টের(Calcutta High Court)। পাশাপাশি তাঁর দাবি, এই নোটিশ পশ্চিমবঙ্গ পুরনিগম আইন ২০০৬ মেনে পাঠানো হয়নি। কীভাবে ছুটিতে থাকা একজন কমিশনার নোটিশ পাঠাতে পারেন, তা নিয় বিষ্ময় প্রকাশ করেন তিনি।

মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক, সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে তৃণমূল

বিধাননগরের কাউন্সিলরদের একাংশ সব্যসাচী দত্তের (Sabyasachi Dutta) বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নেন। এরপরেই তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পর থেকেই দলের নেতাদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়। ব্যক্তিগত ইগো রক্ষা করতেই তাঁকে পদচ্যুত করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন সব্যসাচী দত্ত।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.