This Article is From Feb 22, 2020

"যদি বিশ্বভারতী বন্ধ হয়ে যায়...," তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিলেন উপাচার্য

সোনার ডিম দেওয়া হাঁস বিশ্বভারতী এখন আর্থিক মন্দার কবলে। দুঃস্থ হয়ে ভেন্টিলেশনে চলে গিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে দাবি করলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

হাইলাইটস

  • "আর্থিক মন্দার কবলে বিশ্বভারতী, দুঃস্থ হয়ে ভেন্টিলেশনে চলে গিয়েছে"
  • শুক্রবার ক্ষোভপ্রকাশ উপাচার্যের
  • ক্যাম্পাসের সাম্প্রতিক ঘটনাকে তোপ দেগে এমন ক্ষোভপ্রকাশ বলেই মত

সোনার ডিম দেওয়া হাঁস বিশ্বভারতী (Visva Bharati University) এখন আর্থিক মন্দার কবলে। দুঃস্থ হয়ে ভেন্টিলেশনে (On Ventilation) চলে গিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে দাবি করলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (VC Bidyut Chakraborty)। জল্পনা উসকে দিয়ে এদিন উপাচার্য বলেছেন, যদি এই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে অনেক সাংবাদিক না খেতে পেয়ে মরবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে (International Mother Tongue day) এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। তবে কীসের প্রেক্ষিতে তাঁর এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ তা নিশ্চিত হয়নি। তবে বিশ্বভারতীকে ঘিরে তৈরি হওয়া আয়ের উৎস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এমন দাবি করেছেন উপাচার্য। এমনটাই দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সূত্রের। সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে রমরমা ব্যবসা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম, দোকান ও হোটেলগুলোর।

"অমূল্য ভুল ছিল," মেয়ের সমালোচনায় সরব অভিযুক্ত "পাকিস্তান জিন্দাবাদ" তরুণীর বাবা

এদিকে উপাচার্যের ক্ষোভপ্রকাশ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অধ্যাপক বলেছেন, উপাচার্যই দিন দিন বিশ্ববিদ্যালয়কে দুঃস্থ করে তুলছেন। পড়ুয়া-অধ্যাপকদের উপর ছড়ি ঘোরাতে চাইছেন। ওঁর ভিত্তিহীন বক্তব্য শুনতে কেন যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। ওঁর সঙ্গে একেবারে আদালতেই দেখা হবে।  

এদিন তিনি আরও বলেছেন, গান্ধি টুপি পরে অনেকে ২ অক্টোবর রাজঘাটে গিয়ে ভিড় জমান। বাকি দিনগুলো তাঁরা গান্ধির আদর্শের উলটো পথে হাঁটেন। সম্প্রতি সিএএ, এনআরসি'র প্রতিবাদ ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে। বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত আর উপাচার্যকে কয়েকঘণ্টা আটক করে রেখেছিলেন বাম পড়ুয়ারা। সেই আন্দোলনের প্রত্যাঘাত দিতে সেই পড়ুয়াদের উপর লাঠি চালাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন উপাচার্য। এমন অভিযোগে ভাইরাল হয়েছিল একটা ভিডিও। সেই ভিডিওর সূত্র ধরেই নাকি ক্যাম্পাসের এক দলিত পড়ুয়াকে হস্টেল থেকে বের করে নিগ্রহ করেন এবিভিপি'র পড়ুয়ারা। এমন অভিযোগ তুলেছে বিরোধী ছাত্র সংগঠন। 

‘বাংলা ভালোবাসা-ও না ভালো ভাষাও না? কী লজ্জা!': কবীর সুমন

এদিকে, বিশ্বভারতীর ঐতিহাসিক পৌষমেলা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় আধিকারিকদের সঙ্গে বচসা বাঁধে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। পৌষ মেলায় হাট নিয়ে বসেছিলেন ওই ব্যবসায়ীরা। সেই বচসার প্রেক্ষিতে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও অন্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে চুরি ও নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করা হয়। একইভাবে গত জানুয়ারি মাসে বাম শিক্ষক সংগঠন অনুমোদিত অধ্যাপকদের ক্লাসরুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। 

.