This Article is From Oct 01, 2019

বাংলাদেশি এবং অন্যান্য 'বিদেশি'-দের শনাক্ত করে দেশ থেকে নির্বাসন দেওয়ার নির্দেশ

Uttar Pradesh: রাজ্যের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ "অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ", উত্তরপ্রদেশের পুলিশের মহানির্দেশক সমস্ত জেলা পুলিশ প্রধানকে চিঠি দিয়ে এ কথা বলেছেন

বাংলাদেশি এবং অন্যান্য 'বিদেশি'-দের শনাক্ত করে দেশ থেকে নির্বাসন দেওয়ার নির্দেশ

Assam NRC-র ছায়া এবার দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশেও, তাড়ানো হবে বাংলাদেশিদের, দেওয়া হল নির্দেশ

লখনউ:

বাংলাদেশি এবং অন্যান্য 'বিদেশি'-দের শনাক্ত করে দেশ থেকে নির্বাসন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল পুলিশকে। নিজের রাজ্যের (Uttar Pradesh) পুলিশকে ওই নির্দেশ দিল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। উত্তর প্রদেশের পুলিশকে যেভাবে বাংলাদেশি (Bangladeshi) এবং "অন্যান্য বিদেশি" চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে তাতে অনেকেই এর মধ্যে অসম এনআরসির (Assam NRC) ছায়া দেখছেন। রাজ্যের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ "অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ", উত্তরপ্রদেশের পুলিশের মহানির্দেশক সমস্ত জেলা পুলিশ প্রধানকে চিঠি দিয়ে এ কথা বলেছেন। নির্বাসনটি "নির্দিষ্ট সময়সীমাবদ্ধ এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হবে", বলেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা। তবে যোগী রাজত্বে এই নয়া নির্দেশ মনে করাচ্ছে আরেক বিজেপি-শাসিত রাজ্য অসমকে। সে রাজ্যে সংশোধিত নাগরিক তালিকা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে এই পদক্ষেপ করার নির্দেশ। অসমে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ প্রয়োগের ফলে সে রাজ্যের নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়েছে প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষের নাম। তাঁরা নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পারলে তাঁদের রাজ্য থেকে বিতাড়িত করা হবে।

নাগরিক পঞ্জি থেকে বাদ পড়া ‘ভোটার'রা আপাতত ভোট দিতে পারবেন, জানাল নির্বাচন কমিশন

উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে সমস্ত জেলার উপকণ্ঠে ট্রান্সপোর্ট হাব এবং বস্তি অঞ্চলগুলিতে সন্দেহজনক কোনও ব্যক্তিকে মনে হলেই তাঁর সমস্ত নথি যাচাই করার জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশকে এমন সরকারি কর্মচারীদেরও সন্ধান করতে বলা হয়েছে যারা "বিদেশিদের" জন্য জাল দলিল প্রস্তুত করতে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশি বা অন্যান্য বিদেশি হিসাবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের আঙুলের ছাপও নেওয়া হবে। পুলিশের তরফ থেকে সমস্ত নির্মাণ সংস্থাগুলিকে জানানো হয়েছে যে সমস্ত শ্রমিকের পরিচয়ের প্রমাণপত্র রাখা তাদের দায়িত্ব।

গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অসম এনআরসির প্রশংসা করেন এবং বলেন যে প্রয়োজনে তিনি তাঁর রাজ্যেও একই রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যে, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অসম এনআরসি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এনআরসি নিয়ে হিন্দু, ভারতীয় মুসলিমদের চিন্তার কোনও কারণ নেই, বললেন দিলীপ ঘোষ

অসমে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে হওয়া নাগরিকের তালিকাটি অবশ্য অন্যরকম ছিল। কারণ অসমে কারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং কে বাংলাদেশ বা প্রতিবেশী অঞ্চল থেকে এসেছিলেন তা নির্ধারণের লক্ষ্য হিসাবে এটি করা হয়েছিল। যাঁরা পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার একদিন আগে ১৯৭১ সালের ২৪ শে মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত অসমের বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা যদি তা প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে এনআরসিতে তাঁদের নাগরিক হিসাবে বিবেচনা করা হবে।

জেনে নিন সেরা খবরগুলি:

.