This Article is From Sep 17, 2019

ভারত-মার্কিন সম্পর্ক এই মুহূর্তে ঠিক কেমন, জানালেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) মঙ্গলবার জানালেন, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক (India-US Ties) খুব ভাল অবস্থায় রয়েছে।

মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী রবিবার ‘হাউডি, মোদি!’ ইভেন্টে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।

নয়াদিল্লি:

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) মঙ্গলবার জানালেন, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক (India-US Ties) খুব ভাল অবস্থায় রয়েছে। দু'দেশের বাণিজ্য সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই কথা জানান। তিনি দু'দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘৯০ শতাংশ পূর্ণ ও ১০ শতাংশ অর্ধেক।'' তিনি আরও বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) আগামী রবিবার ‘হাউডি, মোদি!' ইভেন্টে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। বিষয়টি অত্যন্ত সম্মানজনক বলেও জানান তিনি। তাঁর মন্ত্রকের ১০০ দিন পূর্তিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘ভারত-মার্কিন সম্পর্ক বহু দূর চলে এসেছে। বন্ধনটা দেখুন। রাজনৈতিক সুস্থিরতা, নিরাপত্তাজনিত সহযোগিতা... এমন কোনও ক্ষেত্র নেই গত ২০ বছরে যা ঊর্ধ্বমুখী হয়নি। হাউস্টনের ইভেন্টের মতো অনুষ্ঠানে দু'পক্ষেরই ভূমিকা দ্বিদলীয়। সম্পর্ক খুব ভাল অবস্থায় রয়েছে।''

তিনি আরও বলেন, ‘‘যে কোনও সম্পর্কের মতো এখানেও ইস্যু রয়েছে। বাণিজ্যগত সমস্যা অবশ্য স্বাভাবিক। এর থেকে সম্পর্ক কতটা বলিষ্ঠ, তা বোঝা যায়।''

PM Modi Birthday: জন্মদিনে মায়ের কাছে প্রধানমন্ত্রী, চাইলেন আশীর্বাদ

তিনি এও বলেন, সরকার গত কয়েক মাস ধরে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করে বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়টি মিটিয়ে নিতে সচেষ্ট হয়েছে।

তিনি বলেন পরিস্থিতি এমনই, যে গ্লাস ৯০ শতাংশ ভর্তি ও ১০ শতাংশ খালি।

‘হাউডি, মোদি!' ইভেন্টে পাকিস্তানের উপরে কী প্রভাব পড়বে, এপ্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘কেবল পাকিস্তান নয়। সারা বিশ্ব হাউস্টনের ইভেন্ট দেখবে। এবং শিক্ষা নেবে ভারতীয় মার্কিনরা কী পেল। বহু বার্তাই যাবে। পাকিস্তান কোনটা পড়বে সেটা তারাই জানে।''

গত মোদি সরকারেও ছিলেন জয়শঙ্কর। তিনি জম্মু ও কাশ্মীর প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন। গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নেওয়া হয়। বহু রাজনীতিবিদকে আটক করা হয়। রাজ্যে বহু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

তিনি বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে মানুষ কী বলছে তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। ভারতের অবস্থান ১৯৭২ সাল থেকে পরিষ্কার।''

মার্কিন কংগ্রেসের কাছে এব্যাপারে বাধার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে তিনি জানান, ‘‘যদি আমি কংগ্রেসের কোনও সদস্যের মুখোমুখি হই, আমি জানতে চাইব, আপনারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়েছ। আপনাদের প্রতিক্রিয়া কী? নিস্পৃহ থাকা? আপনারা কী করতেন যদি আপনাদের দেশের সর্বত্র এক আইন সর্বত্র প্রযোজ্য না করা যেত?''

.