This Article is From Feb 21, 2020

১৯৪৭ সালেই মুসলিমদের পাকিস্তানে পাঠানো উচিত ছিল, বললেন গিরিরাজ সিং

Giriraj Singh: "সিএএ বিরোধিতার নামে ভারতবিরোধী কর্মসূচি চলছে, পাকিস্তানের মতো ভাষায় কথা বলছে কংগ্রেস, জেডিইউ এবং কমিউনিস্টরা", বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় পশুপালন, দুগ্ধ ও মৎস্যমন্ত্রী হলেন Giriraj Singh

হাইলাইটস

  • ফের একবার মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করলেন গিরিরাজ সিং
  • ১৯৪৭ সালের আগে মুসলিমদের পাকিস্তানে পাঠানো উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি
  • সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওই মন্তব্য তাঁর
পটনা:

মোদি-মন্ত্রিসভার বিতর্কিত মন্তব্যকারী ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁর নাম প্রথমের সারিতে আসবে তিনি হলেন গিরিরাজ সিং। এবার মুসলিম সম্প্রদায়কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গেল ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ( Giriraj Singh)। এর আগেও তাঁর কথায় মুসলিম বিদ্বেষ ধরা পড়েছে। এবার সরাসরি তিনি বলেন যে ১৯৪৭ সালের আগেই এ দেশ থেকে সব মুসলমানদের (Muslims) পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন,"১৯৪৭ সালের আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা স্বাধীনতার জন্য যখন লড়াই করে যাচ্ছিলেন, জিন্নাহ তখন দেশকে একটি ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা করছিলেন। তখন আমাদের পূর্বপুরুষরা একটি বড় ভুল করেন। যদি সেই সময় কেবলমাত্র মুসলিম ভাইদের সেখানে (পাকিস্তান) পাঠানো হত এবং সব হিন্দুদের এখানে নিয়ে আসা হত, তবে আজকের দিনটি দেখতে হত না। ভারতের জনগণ যদি ভারতেই আশ্রয় না পান, তবে পৃথিবীতে এমন কোন দেশ আছে কী যারা তাদের আশ্রয় দেবে?"

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act ) নিয়ে দেশজুড়ে যে বিক্ষোভ চলছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়েই ওই কথা বলেন গিরিরাজ সিং। ওই বিতর্কিত আইন অনুসারে,  ২০১৫ সালের আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা কেবলমাত্র অমুসলিম শরণার্থীদেরই ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও এই আইনের মাধ্যমে সরকার সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা এবং আইনটিকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বলেও তোপ দাগা হয়েছে।

ইসলাম শিক্ষাকেন্দ্রকে “সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর” বলে মন্তব্য করলেন গিরিরাজ সিং

সরকার অবশ্য বলেছে যে প্রতিবেশী দেশগুলিতে যারা ধর্মীয় নিপীড়নের মুখোমুখি হয়েছে তাদের সহায়তা করার জন্যেই এই আইনটির প্রয়োজন ছিল।

গিরিরাজ সিং বলেন, "সিএএ বিরোধিতার নামে ভারতবিরোধী কর্মসূচি চলছে, পাকিস্তানের মতো ভাষায় কথা বলছে কংগ্রেস, জেডিইউ এবং কমিউনিস্টরা। সেই জন্যেই আমি বলছি যে দিল্লির শাহিনবাগে দাঁড়িয়ে শারজিল ইমাম যখন বলেন যে তিনি একটি ইসলামী রাষ্ট্র তৈরি করবেন এবং ভারতের গলা কেটে ফেলবেন, তখন এটা আর গণতান্ত্রিক আন্দোলন থাকে না, এটা খিলাফৎ আন্দোলনে পরিণত হয়।"

সিএএএ-বিক্ষোভের বিরোধিতায় রাষ্ট্রপতিকে চিঠি প্রাক্তন বিচারপতি, সেনা আধিকারিকদের

এনপিআর নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন," এনপিআরে যে সমস্ত জিনিস চাওয়া হয়েছে তা আধার কার্ডেj সময়েও চাওয়া হয়েছিল। তাহলে এনপিআরের বিরোধিতা কেন?  আসলে সুকৌশলে ভারতের অভ্যন্তরেই দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। দেশকে ভেঙে ফেলার জন্য এই আন্দোলন কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয়, এটা খিলাফৎ আন্দোলন। এর পরে আবার সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমার বলেছেন যে দেশের মূল সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতেই নাকি এই সব করা হচ্ছে। কিন্তু সরকার এখনও পর্যন্ত তার সমস্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে"।

যদিও গিরিরাজ সিংকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন কানহাইয়া কুমারও। তিনি বলেন, "পাকিস্তান ছাড়া ওনার মুখে আর কিছু কথা নেই। উনি সবাইকেই পাকিস্তানে পাঠানোর কথা বলতে থাকেন। ওনার পশুপালন মন্ত্রী না হয়ে ভিসা মন্ত্রী হওয়া উচিত ছিল। পাশাপাশি ওনার উচিত ছিল লাহোরে একটি পর্যটন সংস্থা খোলা"।

.