This Article is From Jul 21, 2019

‘‘১৯-এ হাফ, ২১-এ সাফ’’: তৃণমূলকে বিঁধে বাবুলের টুইট

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, বাংলার শাসক দল ২০২১ সালে বিধানসভায় ধুয়েমুছে যাবে।

‘‘১৯-এ হাফ, ২১-এ সাফ’’: তৃণমূলকে বিঁধে বাবুলের টুইট

বাবুলের দাবি, বাংলার শাসক দল ২০২১ সালে বিধানসভায় ধুয়েমুছে যাবে।

হাইলাইটস

  • তৃণমূল কংগ্রেস ২০২১ সালে ক্ষমতা হারাবে বলে দাবি বাবুল সুপ্রিয়র
  • এদিকে তৃণমূলের শহিদ সমাবেশকে ‘সার্কাস’ বলে দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ
  • এদিকে কালো টাকা ও নোটবন্দির মতো ইস্যু তুলে তৃণমূলের আক্রমণ বিজেপিকে
কলকাতা:

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, বাংলার শাসক দল ২০২১ সালে বিধানসভায় ধুয়েমুছে যাবে। ব্যাঙ্গাত্মক একটি টুইটে বাবুল (Babul Supriyo) লেখেন— ‘‘১৯ মে হাফ হুয়ে, ২১ মে সাফ হো জায়েঙ্গে (তৃণমূল সমাবেশ)।'' অর্থাৎ তৃণমূলের শক্তি ২০১৯ সালে অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে তারা ধুয়েমুছে যাবে। এদিনই শহিদ দিবস উপলক্ষে তৃণমূল সমাবেশেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত ভোটের প্রচার শুরু করে দিলেন। তিনি মধ্য কলকাতার ওই সমাবেশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে কালো টাকা ও নোটবন্দিসহ নানা ইস্যু তুলে আক্রমণ শানালেন।

কাটমানির পাল্টা ব্ল্যাকমানি ফেরানোর দাবি তুললেন মমতা

এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি আগের বারের দুই থেকে ১৮টি আসন দখলের পর এবারের শহিদ দিবসের মঞ্চে মমতা যে বিজেপিকে আক্রমণ করবেন সেটা মোটামুটি প্রত্যাশিতই ছিল।

২০১৪ সালের লোকসভায় তৃণমূল পেয়েছিল ৩৪টি আসন। বিজেপি পেয়েছিল দু'টো। এবার তৃণমূল ২২-এ নেমে এসেছে। আর বিজেপি পৌঁছে গিয়েছে ১৮-এ। দুই দলের মধ্যে আসনসংখ্যার পার্থক্য ছিল ৪টি।

তৃণমূল নেতাদের বাস থেকে টেনে নামানোর ‘হুমকি', এফআইআর দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে

তৃণমূলের শহিদ সমাবেশকে ‘সার্কাস' বলে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এছাড়াও তিনি জানান, তিনি দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, যে তৃণমূল নেতারা ‘কাটমানি' বাবদ নেওয়া অর্থ ফেরত দেননি, তাঁদের যেন কলকাতায় সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া থেকে আটকানো হয়। দিলীপ কার্যত ‘হুমকি' দিয়ে জানিয়ে দেন, ‘‘আমরা ওঁদের টেনে বাস থেকে নামিয়ে দেব।''

তৃণমূল দিলীপ ঘোষের এফআইআর দায়ের করার পাশাপাশি এই অভিযোগও তোলা হয় যে, বিজেপি, সরকার সমাবেশের জন সমাগম আটকাতে অন্য রবিবারের তুলনায় ৩০ শতাংশ কম ট্রেন চালাচ্ছে।

তাঁর দলের দাবি, বিজেপি এটা করছে যাতে তৃণমূল সমর্থকরা শহরে এসে সমাবেশে যোগ দিতে না পারে। শনিবার সব খুঁটিয়ে দেখতে সমাবেশের স্থল পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই সাংবাদিকদের সামনে তিনি জানান, প্রত্যেক দলেরই অধিকার রয়েছে মিছিল-সমাবেশ করার। এটা কেড়ে নেওয়া উচিত নয়।

.