This Article is From Jan 12, 2020

সিএএ-র সমর্থনে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ৫ লক্ষেরও বেশি চিঠি প্রকাশ অমিত শাহর

অমিত শাহ বলেন, ‘‘কেবল শব্দ মাত্র নয়, এই চিঠিগুলি লেখা হয়েছে হৃদয় দিয়ে। সিএএ-র বিরুদ্ধে যে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে, তাই উত্তরে আমাদের এই প্রচার অনুষ্ঠান।’’

সিএএ-র সমর্থনে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ৫ লক্ষেরও বেশি চিঠি প্রকাশ অমিত শাহর

অমিত শাহ যে মঞ্চে ভাষণ দেন, তার উপরেই স্তৃপীকৃত ছিল সেই পোস্টকার্ডগুলি।

আহমেদাবাদ:

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) জন‌্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ধন্যবাদ জানিয়ে পাঁচ লক্ষ চিঠি এসেছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিজেপি (BJP) কর্মীদের এক জমায়েতে এমনই জানালেন তিনি। মঞ্চের উপরেই স্তৃপীকৃত ছিল সেই পোস্টকার্ডগুলি। সেই জমায়েতে অমিত শাহ বলেন, ‘‘কেবল শব্দ মাত্র নয়, এই চিঠিগুলি লেখা হয়েছে হৃদয় দিয়ে। সিএএ-র বিরুদ্ধে যে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে, তারই উত্তরে আমাদের এই প্রচার অনুষ্ঠান।'' রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলতকে আক্রমণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজস্থানে কংগ্রেসের এক সরকার রয়েছে। সেই রাজ্যে কংগ্রেস কথা দেয়, পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু ও শিখদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।''

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরেই সিএএ বিরোধী সভায় গেলেন মুখ্যমন্ত্রী

অমিত শাহ ব‌লেন, ‘‘আমরা আপনাদের দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতিই রাখছি। আপনারা কেন বিরোধ করছেন?''

তিনি আরও দাবি করেন, ‘‘২০০৬ ও ২০০৯ সালে অশোক গেহলত একটি চিঠিতে এবিষয়ে জানিয়েছিলেন। আমরা এই আইনের মাধ্যমে হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান সবাইকে সুরক্ষা দিচ্ছি। আপনারা (রাজস্থান সরকার) কেবল হিন্দু ও শিখদের উল্লেখ করেছিলেন।''

সিএএ'র উদ্দেশ্য দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করা, অভিযোগ সনিয়া গান্ধির

তিনি আরও দাবি করেন, এই আইনের সাহায্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লক্ষ লক্ষ মানুষকে মানবাধিকার দিয়েছেন।

এদিনের সভায় অমিত শাহ আক্রমণ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। তাঁদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই আইন কী করে মুসলিমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে তা বোঝাতে।

তিনি বলেন, ‘‘এমন কোনও আইন নেই। পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে লক্ষ, কোটি মানুষ নিজেদের ধর্ম ও আত্মসম্মানকে সুরক্ষিত রাখতে ভারতে এসেছেন নিজেদের বাঁচাতে। তাঁরা কোথায় যাবেন?''

এদিন অমিত শাহ আরও বলেন, ‘‘প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং মহাত্মা গান্ধি নিজে বলেছিলেন, পাকিস্তান থেকে যাঁরাই আসবেন তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈনদের আর কোথাও যাওয়ার নেই।''

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।

.