This Article is From Aug 16, 2019

কাশ্মীর নিয়ে রুদ্ধধার বৈঠক রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের

UNCS Meet on Kashmir: স্বাভাবিকভাবেই, রাষ্ট্রসংঘের এই বৈঠকের ফলাফলের ঘোষণা হবে না, যেহেতু বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক নয়

কাশ্মীর নিয়ে রুদ্ধধার বৈঠক রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের

বৈঠকে উপস্থিত নেই ভারত ও পাকিস্তান (প্রতীকি ছবি)

রাষ্ট্রসংঘ:

জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) নিয়ে শুক্রবার বিরলভাবে রুদ্ধধার বৈঠক করল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (United Nations Security Council)। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে “রুদ্ধদ্বার আলোচনা”র আবেদন জানিয়েছিল, সবসময়েই পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা চিন। স্বাভাবিকভাবেই, রাষ্ট্রসংঘের (UNCS) এই বৈঠকের ফলাফলের ঘোষণা হবে না, যেহেতু বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক নয়। বৈঠকে উপস্থিত নেই ভারত ও পাকিস্তান, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে থাকতে পারে ৫টি স্থায়ী এবং ১০টি অস্থায়ী সদস্য।  রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ভারত, পাকিস্তানের ভাল সম্পর্ক তাদের, “রুদ্ধদ্বার বৈঠক”-এর আবেদন জানিয়েছিল তারা।

“পুরোপুরিই অভ্যন্তরীণ বিষয়”, কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর বলল ভারত

নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনা কক্ষে সকাল ১০টায় (ভারতীয় সময় সন্ধ্যে ৭.৩০) শুরু হয়। ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়। তারমধ্যে একটি জম্মু ও কাশ্মীর এবং অপরটি লাদাখ।

ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায়, নয়াদিল্লির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর সিদ্ধান্তের পরেই, ভারতের হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করে পাকিস্তান।

ভারত নির্দিষ্টভাবে আন্তর্জাতিক মহলকে জানিয়ে দিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা প্রত্যাহার ভারতের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত এবং বাস্তবটিকে মেনে নেওয়ার জন্য  পাকিস্তানকে বার্তা দেয় ভারত।

রাশিয়ার ডেপুটি স্থায়ী প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিয়ানস্কি, বৈঠকে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের বলেন, মস্কো মনে করে, বিষয়টি ভারত ও পাকিস্তানের “দ্বিপাক্ষিক বিষয়”।

পরমাণু নীতি নিয়ে রাজনাথের ইঙ্গিত: ‘‘ভবিষ্যতে কী হবে তা পরিস্থিতির উপরে নির্ভরশীল''

তিনি বলেন, কী হচ্ছে, সেটা জানার জন্যই বৈঠকে আয়োজন করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “সেই কারণেই রুদ্ধ-বৈঠক। রাশিয়া যা ভাবছে সেটা হল, পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে---আমরা ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের পক্ষে। আপনারা জানেন, আমাদের অবস্থান। এর বদল হবে না। আজ, রুদ্ধদ্বার আলোচনা হবে এবং আমরা মত বিনিময় করব এবং দেখব আমরা কী করতে পারব এবং কী করতে পারব না। এটা স্বাভাবিক বিষয়”।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নিয়ে রাশিয়া উদ্বিগ্ন কিনা, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমরা এটা এড়িয়ে চলার ব্যাপারে আশাবাদী”।

পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারবে কিনা, সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “প্রথমে আমাদের আলোচনা করতে হবে এবং তারপরে আমরা দেখব”।

অন্য  একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “কোনও সময় এই ধরণের বিষয়ে এগিয়ে না আসাই ভাল। এটা একটা দ্বিপাক্ষিক বিষয়”।

প্রতিবাদের নয়া পাক-পথ , এবার ভারতের শ্যাম্পু-সাবানের বিজ্ঞাপনও নিষিদ্ধ !

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বিপত্তি যে, তাদের চিঠি নিয়ে আলোচনা গোপন থাকবে এবং বৈঠকের পর সম্ভবত কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে না।

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের চিঠিতে, পাকিস্তান অনুরোধ করে, বৈঠকে তাদের প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হোক। যদিও তাদের অনুরোধ গ্রাহ্য করা হয়নি বলে সূত্রের খবর।

রাষ্ট্রসংঘের রেকর্ড অনুযায়ী, শেষবার “ভারত পাকিস্তান প্রশ্ন”, নিয়ে “নিরাপত্তা পরিষদে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাস নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে খারাপ সম্পর্ক নিয়ে” আলোচনা হয়েছিল ১৯৬৫ তে।

পরিষদের সময়সূচী থেকে জানা গিয়েছে, “নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনা (শেষ) ভারত/পাকিস্তান”, সকাল ১০টা।

উপত্যকায় ১১দিন কাটিয়ে দিল্লি ফিরলেন অজিত দোভাল

তারপর থেকে সেটি আলোচনার পর্যায়েই, কোনওরকম ফলাফলই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নয়।

রাষ্ট্রসংঘের এক কূটনীতিবিদ পিটিআইকে জানান, “ভারত পাকিস্তান প্রশ্ন” সম্পর্কিত আলোচনার আবেদন জানিয়েছিল চিন।

ওই কূটনীতিক বলেন, “নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট জোয়ান্না রোনেকাকে লেখা পাকিস্তানের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই এই অনুরোধ আসে”। অগস্টে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট পোল্যান্ড।

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের মধ্যে রয়েছে, চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন এবং আমেরিকা।

.