This Article is From Nov 01, 2019

দাঁতের গড়ন আঁকাবাঁকা বলে পোষাচ্ছে না সঙ্গে থাকা! স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন স্বামী!

৩১ অক্টোবর মুস্তাফার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৪৯৮ ধারায়, যৌতুক আইন ও তিন তালাক আইনের আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দাঁতের গড়ন আঁকাবাঁকা বলে পোষাচ্ছে না সঙ্গে থাকা! স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন স্বামী!

রুখসানা বেগম জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে বাড়ির ভিতরে ১০ থেকে ১৫ দিন আটকে রেখেছিল।

হায়দরাবাদ:

স্ত্রীর দাঁতের গড়ন ভালো নয়, তাই আর সঙ্গে থাকা পোষাচ্ছে না স্বামীর। এই অদ্ভুত কথা বলেই স্ত্রীকে তিন তালাক (triple talaq) দিলেন স্বামী! শুধু তাই নয় বিয়ের পর থেকেই আরও পণ চেয়ে স্ত্রীকে অত্যাচারের অভিযোগও উঠেছে। ঘটনাটি হায়দরাবাদের, স্বামী মুস্তাফা ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে আঁকাবাঁকা দাঁতের (misaligned teeth) কারণে তিন তালাক দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলাও দায়ের করেছেন অত্যাচারিতা রুখসানা বেগম (Rukhsana Begum)। রুখসানা বেগমের আরও অভিযোগ, তার স্বামী মুস্তাফা (Mustafa) ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে রীতিমতো হেনস্থা করত তাঁকে। রুখসানা বেগম এবং মুস্তাফার বিয়ে হয় চলতি বছরেরই ২৭ জুন। পুলিশ জানিয়েছে (Hyderabad Police), ৩১ অক্টোবর  মুস্তফার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৪৯৮ ধারায়, যৌতুক আইন ও তিন তালাক আইনের আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুশাইগুদার সার্কেল ইন্সপেক্টর, কে চন্দ্রশেখর এএনআইকে বলেন, “রুখসানা বেগমের কাছ থেকে আমরা অভিযোগ পেয়েছি যে তার স্বামী রুখসানার আঁকাবাঁকা দাঁতের জন্য নানাভাবে হেনস্থা করত এবং অতিরিক্ত যৌতুকের জন্য চাপ দিত, এবং রুখসানাকে সে তিন তালাক দিয়েছে।"

আরও পড়ুনঃ তিন তালাকের অভিযোগ দায়েরে অস্বীকার পুলিশের, বধূকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন

“আমাদের বিয়ের সময় মুস্তাফা ও তার পরিবার অনেক কিছুই দাবি করেছিল এবং আমার পরিবার তাদের দাবি পূরণও করেছিল। আমাদের বিয়ের পরে আমার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ি আমাকে হেনস্থা করতে শুরু করে, আমাকে বাড়ি থেকে আরও সোনা আর টাকা আনতে চাপ দিতে থাকে। এমনকি আমার ভাইয়ের কাছ থেকে একটি বাইকও নিয়েছিলেন মুস্তাফা,” বলেন রুখসানা বেগম।

রুখসানার কথায়, “তারা আমাকে নিয়মিত নির্যাতন করত এবং শেষ পর্যন্ত মুস্তাফা বলেছিলেন যে, আমার দাঁতগুলো আঁকাবাঁকা, তাই তিনি আমাকে পছন্দ করেন না এবং আর আমার সঙ্গে থাকতেও চান না। আমার শ্বশুরবাড়ি আমাকে তাদের বাড়ির ভিতরে ১০ থেকে ১৫ দিন আটকে রেখেছিল।” রুখসানা আরও জানান যে পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে মুস্তাফা ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে তার বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

আরও পড়ুনঃ ওষুধ কিনতে স্বামীর কাছে মাত্র ৩০ টাকা চাওয়ায় মহিলাকে তালাক দেওয়ার অভিযোগ

“আমি স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি এবং আমার শ্বশুরবাড়ি এবং মুস্তফা আপোষ করতে রাজি হয়েছে। তারা বলেছে যে তারা আমাকে ফিরিয়ে নেবে। তবে ১ অক্টোবর মুস্তফা আমার বাপের বাড়ি এসে বলেছিলেন যে তিনি আমাকে আর সঙ্গে নিয়ে যাবেন না। তিনি আমার বাবা-মাকে গালাগালি করেন এবং তিনবার তালাক তালাক তালাক উচ্চারণ করেন,” বলেন রুখসানা।

রুখসানা আরও জানান যে ১২ অক্টোবর মুস্তফার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফের তিনি তিনবার তালাক উচ্চারণ করেন। বেগম বলেন, “২৬ অক্টোবর আমি তিন তালাক উচ্চারণ ও যৌতুক দাবি করার জন্য আমার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আমি আমার মামলায় বিচার চাই।"

.