This Article is From Jun 06, 2019

বাঙালিদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য তথাগতর, পথে নামলেন তৃণমূলের নেত্রীরা

মেঘালয়ের রাজ্যপাল প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে পথে নামল তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন মহিলা সংগঠন ‘বঙ্গজননী বাহিনী’।

বাঙালিদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য তথাগতর, পথে নামলেন তৃণমূলের নেত্রীরা

হাইলাইটস

  • তথাগত রায়ের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে পথে নামল তৃণমূল।
  • বৃহস্পতিবার হাজরা ক্রসিংয়ে প্রতিবাদ সভায় বসেন তৃণমূল নেত্রীরা।
  • শশী পাঁজা বলেন, ‘‘বিজেপি কোনওদিন মহিলাদের সম্মান করেনি।’’
কলকাতা:

মেঘালয়ের (Meghalaya) রাজ্যপাল প্রাক্তন বিজেপি (BJP) নেতা তথাগত রায়ের (Tathagata Roy) বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে পথে নামল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নতুন মহিলা সংগঠন ‘বঙ্গজননী বাহিনী'। তথাগত বলেছিলেন, বাঙালি ছেলেরা বাইরের রাজ্যে গিয়ে ঝাঁট দেওয়ার কাজ করে। আর মেয়েরা কাজ করে বার ডান্সার হিসেবে। সেই মন্তব্যের প্রতিবাদেই এগিয়ে এল ‘বঙ্গজননী বাহিনী'। কেন্দ্রের হিন্দি আবশ্যিক করার প্রস্তাবের প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে পরপর করা কয়েকটি টুইটের মধ্যে একটিতে গত ৪ জুন তথাগত লেখেন, ‘‘এখন কেরল বা হরিয়ানায় গিয়ে বাংলার ছেলেরা মেঝে ঝাঁট দেয় এবং বাঙালি মেয়েরা মুম্বইয়ে গিয়ে বার ডান্স করেন, যা আগে কখনও ভাবা যেত না।'' তিনি লেখেন, বাঙালির হিন্দি শিক্ষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আসলে রাজনৈতিক কারণে।

‘‘বাঙালি ছেলেরা মেঝেতে ঝাঁট দিচ্ছে, মেয়েরা বারে নাচছে'': তথাগত রায়ের নতুন টুইট

তথাগতর এহেন মন্তব্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাজরা ক্রসিংয়ে প্রতিবাদ সভায় বসেন রাজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা, জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন দলের সক্রিয় মহিলা কর্মীরা। লাল পাড় সাদা শাড়ি পরে তাঁরা প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড হাতে ওই সভায় অংশ নেন। প্ল্যাকার্ডগুলিতে লেখা ছিল তথাগত রায়ের মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদের ভাষা।

রাজ্যের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘‘বিজেপির আদর্শেই মারাত্মক ত্রুটি রয়েছে। ওরা কোনওদিন মহিলাদের সম্মান করেনি। সবসময় মানুষের মধ্যে বিভেদ আনতে চেয়েছে ওরা। নারীদের সম্পর্কে অবমানানমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ওদের।''

তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘প্রত্যেক ভারতীয়র অধিকার রয়েছে নিজের পেশা বেছে নেওয়ার। যারা কারও পেশা নিয়ে অবমাননামূলক মন্তব্য করে তাদের ন্যূনতম শিক্ষা নেই।''

সকলের হিন্দি ভাষা শেখা উচিত এই বিষয়ে নিজের মত জানাতে গিয়ে তথাগত বাঙালিকে আক্রমণ করেন। তিনি তাঁর টুইটে লেখেন, ‘‘এটা কোনও সঠিক বিরোধিতাই নয়। ওরা রাজনৈতিক কারণেই চেঁচামেচি করছে। অসম, মহারাষ্ট্র, ওড়িশাও অ-হিন্দিভাষী রাজ্য, কিন্তু তারা হিন্দির বিরোধিতা করেনি। দ্বিতীয় যুক্তিটা হল বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ও নেতাজির দেশ বাংলা, তাহলে কেন বাঙালি হিন্দি শিখবে?''

এই প্রশ্ন তুলে তিনি লেখেন, ‘‘এই সব মহান মানুষদের সঙ্গে হিন্দি শেখার বিরোধিতার সম্পর্ক কোথায়? দ্বিতীয়ত, হে ঈশ্বর, কে এদের বোঝাবে এই সব কিংবদন্তিদের যুগটাই বহুদিন আগে শেষ হয়ে গিয়েছে। এবং বাংলার মহত্বও। এখন কেরল বা হরিয়ানায় গিয়ে বাংলার ছেলেরা মেঝে ঝাঁট দেয় এবং বাঙালি মেয়েরা মুম্বইয়ে গিয়ে বার ডান্স করেন, যা আগে কখনও ভাবা যেত না।''

.