This Article is From Dec 19, 2019

দিল্লি-গুরগাঁও সীমান্তে বিশাল জ্যাম, লাল কেল্লার কাছে নিষিদ্ধ যে কোনও বড় জমায়েত

Citizenship Amendment Act: রাজধানীতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জন্য অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ

দিল্লি-গুরগাঁও সীমান্তে বিশাল জ্যাম, লাল কেল্লার কাছে নিষিদ্ধ যে কোনও বড় জমায়েত

Delhi: পরিকল্পিত বিক্ষোভ রুখতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট ঘিরে রাখা হয়েছে

হাইলাইটস

  • নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে আজও উত্তাল হতে পারে দিল্লি
  • লাল কেল্লায় পরিকল্পিত বিক্ষোভের জন্যে জড়ো হতে পারেন অসংখ্য মানুষ
  • যদিও কোনও বিক্ষোভ-সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি
নয়া দিল্লি:

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের কারণে দিল্লির বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি চলাচলে বিধি নিষেধ জারি, ফলে রাস্তায় বেরিয়ে সাংঘাতিক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে রাজধানীর (Delhi) মানুষজনকে। ওই বিতর্কিত আইনের (Citizenship Amendment Act) প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে, তার ফলে ব্যাপক জ্যাম দেখা গেছে দিল্লি-গুরগাঁও সীমান্তে। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায় দিল্লি পুলিশ বিভিন্ন রাস্তাঘাট ব্যারিকেড করে রেখেছে এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত বিক্ষোভ রুখতে যান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, ফলে ব্যস্ত রাস্তায় সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য গাড়ি। সূত্রের খবর, দিল্লির লাল কেল্লার কাছে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।

ট্র্যাফিক পুলিশ জানিয়েছে যে, বিক্ষোভকারীরা কোনও গাড়ির মধ্যে আত্মগোপন করে যাতে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থলে না পৌঁছতে পারেন সে জন্যে তাঁরা শহরে প্রবেশ করা প্রতিটি গাড়িকেই পরীক্ষা করে দেখে নিচ্ছেন।

পুলিশ এর আগেই ঘোষণা করে দেয় যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনস্বার্থ রক্ষায় কোনও প্রতিবাদ মিছিল করতে দেওয়া হবে না । "আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২ টায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে দিল্লির মাণ্ডি হাউস থেকে যন্তর-মন্তর পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করার জন্যে অনুমতি চায় কমিউনিস্ট দল, কিন্তু সেই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি", বুধবারই একটি টুইট বার্তায় ঘোষণা করা হয়।

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আজ ১০টি শহরে বিক্ষোভের সুনামি: দেখুন ১০ টি তথ্য

পুলিশ ঘোষণা করেছে যে, মথুরা রোড-কালিন্দী কুঞ্জ রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং নয়ডা থেকে আসা যাত্রীদের ডিএনডি ফ্লাইওয়ে বা অক্ষরধাম সড়ক দিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করতে বলা হচ্ছে। দিল্লি মেট্রো চলাচলও অনেকাংশে প্রভাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছে তাঁরা। প্রশাসন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, জসোলা বিহার, শাহীনবাগ, প্যাটেল চক, লোক কল্যাণ মার্গ, শিল্প ভবন, আইটিও, খান মার্কেট এবং মুনিরকা স্টেশন এবং প্রগতি ময়দানের প্রবেশ ও প্রস্থান দ্বার বন্ধ করে রেখেছে।

চলতি সপ্তাহে দু'বার বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় রাজধানী। সেই জন্যেই আগাম সতর্কতা হিসাবে হয়তো মিলল না অনুমতি।  লাল কেল্লা থেকে ওই প্রতিবাদ মিছিল হওয়ার কথা ছিল। তবে পুলিশ অনুমতি না দিলেও, "মিছিল হচ্ছে", "আমরা ভারতের মানুষ", এমন নানা বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। তাই এটা এখনও পরিষ্কার নয় যে বিক্ষোভকারীরা ওই সমাবেশ উপলক্ষে দিল্লির লাল কেল্লায় একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করবেন কিনা।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে সব অমুসলিম মানুষরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা এবার ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নতুন আইনটির মাধ্যমে ধর্মের ভিত্তিতে বিবেচনা করে অবৈধ অভিবাসীদের দেশের নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী। এই আইন নাগরিকদের জীবন ও মৌলিক অধিকার তথা সাম্যের অধিকার লঙ্ঘন করে, বলছেন এই আইনের বিরোধীরা।

"যেভাবে বিতর্ক চলছে তার জন্যে ভারতীয় গণতন্ত্রকে সম্মান জানাই": নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে আমেরিকা

গত বুধবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই আইনে স্বাক্ষর করার পরেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়। বিশেষত  দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, বাংলা এবং দিল্লিতে এই আইনের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। রবিবার থেকেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানী দিল্লি, অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। 

দেখে নিন এই ভিডিও:

.